জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু (Neem Phuler Modhu)। বলাই বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে নবনীতা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে বর্ষাকে সে কিছুতেই আর ঘরে তুলবে না। সেই কথা শুনেই পর্ণাকে অপমান করতে থাকে কৃষ্ণা। এরপর নবনীতাকে বোঝানোর জন্য অমিবাবু, সৃজনকে নিয়েই বেরিয়ে যান কৃষ্ণা। পর্ণাকে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তার কেউই তার কথা শুনতে চায়না।
এরপর নবনীতার বাড়িতে গিয়ে দরজা ধাক্কাতে শুধু করে কৃষ্ণা। কিন্তু নবনীতা কিছুতেই দরজা খুলতে চাননা। প্রতিবেশী লোকেরা তাদের ফোন করে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে। কিন্তু তাদেরও প্রশ্নের কোন উত্তর দেয়না নবনীতা। তখন অমিবাবু তাদের অনেক অনুরোধ করে। মৃত্যুঞ্জয়বাবু নবনীতাকে বলেন দরজা খুলে দিতে কিন্তু অর্ণব তাকে জানিয়ে দেয় যে তার মা যা করেছে একদম ঠিকই করেছে। তখন কৃষ্ণা সৃজনকে বলে পর্ণার হয়ে ক্ষমা চাইতে। কিন্তু সৃজন মনে মনে ভাবে পর্ণা কোন দোষ করেনি তাই পর্ণা হয়ে সে ক্ষমা চাইবে না।
এদিকে নবনীতা তাদের জানায় তিনি অর্ণবের আবার বিয়ে দেবেন। সেটা শুনেই বুকে ব্যাথা শুরু হয়ে যায় অমিবাবুর। সৃজন তাকে তড়িঘড়ি বাড়িতে নিয়ে আসে। তার এই পরিস্থিতি দেখে খুব কান্নাকাটি করতে থাকে পর্ণা। তখন রুচিরা বলে “বিদেশে মেয়েদের অনেক স্বাধীনতা আছে। কিন্তু এদেশেরই জানি না কেন সব দোষ মেয়েদের।” সেটা শুনেই বেরিয়ে যায় পর্ণা। ওদিকে অর্নবদের বাড়ির বেল বেজে ওঠে। তারা দরজা খুলতেই দেখেন পুলিশ এসেছে। পুলিশ অফিসার জানায় তারা ভিসার কারণে এসেছেন। তখন সকলের বিষয়ে দেখার পর পুলিশ অর্ণবের স্ত্রীর কথা জিজ্ঞাসা করে।
তখন নবনীতা বলেন তার স্ত্রী বাপের বাড়ি গেছে। সেটা শুনে পুলিশ তাদের জানান তার স্ত্রী আসলে পুরো বাড়ির একসঙ্গে ভেরিফিকেশন হবে। সেটা শুনে পুলিশকে নবনীতা কিছু টাকা ধরিয়ে বলেন জল মিষ্টি খেতে। নবনীতার এরকম আচরণ দেখে আরও রেগে যান অফিসার। তখন অর্ণব এবং মৃত্যুঞ্জয়বাবু অফিসারকে বুঝিয়ে বলেন নবনীতা সবটা না বুঝে করেছে। তখন পুলিশও কড়া ভাষায় তাদের জানিয়ে দেয় তার স্ত্রী যদি না আসে তাহলে অর্ণবের ভিসা বাতিল করে দেবেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ হিন্দি ধারাবাহিকের দুনিয়ায় বাড়ছে বাংলা ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা! আসতে চলেছে জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিকের রিমেক
ওদিকে পর্ণার জন্য চিন্তা করতে থাকে সৃজন। তখনই চলে আসে পর্ণা। পর্ণা সৃজনকে জানায় সে এমন ব্যবস্থা করে এসেছে যে এবার নবনীতা নিজে আসে বর্ষাকে নিয়ে যাবে। ওদিকে ঠাকুরের কাছে কান্নাকাটি করতে থাকে বর্ষা। সে ঠাকুরকে বলে এখনও সে পিকলুকে খুব ভালবাসে। তাই অর্ণবরা যেন তাকে নিতেই না আসে। তখনই চলে আসে পিকলু। বর্ষাকে পিকলু বলে সে যদি আগেই সবটা পর্ণাকে বলে দিতে তাহলে হয়তো এরকম হত না। তখনই পিকলুকে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে বর্ষা। পিকলু তাকে বলে পালিয়ে যেতে। তখন তারা বেরিয়ে যাওয়ার সময় চলে আসে পর্ণা। তাহলে কি পিকলুদের পালাতে সাহায্য করবে পর্ণা? নাকি নবনীতার হাতে তুলে দেবে বর্ষাকে?
View this post on Instagram