‘গ’ন্ড’মূ’র্খে’র মতো ভোটে দাঁড়িয়ে গালাগালি খেতে পারবো না!’ ‘রাজনীতিতেও পড়াশোনার প্রয়োজন!’ ভোটে দাঁড়ানো তারকাদের আয়না দেখালেন শ্রুতি

বর্তমানে টলিপাড়ার অতি জনপ্রিয় মুখ অভিনেত্রী তিনি। নির্বাসিত সিনেমার মাধ্যমে তিনি পা রেখেছিলেন অভিনয় জগতে। তারপর ২০১৯ সালে গৌরব রায় চৌধুরীর বিপরীতে জি বাংলার ত্রিনয়নী ধারাবাহিক তাকে এনে দিয়েছিল জনপ্রিয়তা। এরপর দেশের মাটি, রাঙা বউ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও ঘরে বাইরে আজ, এক্স প্রেম, বাদামি হায়নার কবলে সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। ডক্টর আরোরা ধারাবাহিকে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা গেছে অভিনেত্রী শ্রুতি দাসকে (Shruti Das)

২০২০ সালের হ্যাপিলি এভার আফটার নামে একটি ওয়েব সিরিজেও পার্শ্ব চরিত্র হিসেবে দেখা গেছিল তাকে। তবে বরাবরই অভিনেত্রীকে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তার অদম্য সাহসিকতার জন্য। শুধু পর্দায় নয়, বাস্তবেও যে শ্রুতি নিজের কাহিনীর নায়িকা সেটা বারবার তিনি প্রমাণ করেছেন জনসম্মুখে। কাটোয়া থেকে মহানগরীতে এসে তার লড়াই সহজ ছিলনা মোটেও। এছাড়াও কৃষ্ণবর্ণা হওয়ার কারণেও বহুবার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তিনি।

তবে বারবার অভিনয়ের দক্ষতা এবং যোগ্যতায় তিনি প্রমাণ করেছেন নিজেকে। বয়সে প্রায় ১০ বছরের বড় পরিচালক স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি নিজের আঁকা বাঁকা দাঁতে মিষ্টি হাসির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে তিনি জানিয়েছেন তার মা তাকে বলেছে তার সবটাই সুন্দর। তার মধ্যেই কোন খুদ নেই আর তিনিও তাই বিশেষ করেন। তবে এবার তিনি মুখ খুললেন রাজনীতি নিয়ে। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করেছিলে রাজনীতি। বর্তমানে বেজে গেছে ভোটের দামামা। সম্প্রতি টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী যোগ দিয়েছেন রাজনীতিতে।

এখন যেখানে রাজনীতি তারকাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি কি মনে করছেন? নির্বাচনে কি দাঁড়াবেন তিনি? অভিনেত্রী জানিয়েছেন “পড়াশোনা করতে হবে। তারপর হ্যাঁ বলব কিনা এখনও বলতে পারছি না কারণ আমি এখনও এই ব্যাপারে এতটা বড় হয়নি। আমার ছোটবেলা থেকে পড়শোনা আছে, নাচ নিয়ে পড়াশোনা আছে কিন্তু রাজনীতি নিয়ে আমার পড়াশোনা নেই। আমি গণ্ডমূর্খের মতো রাজনীতিতে দাঁড়াতে পারব না। তারপর লোকের গালাগাল খেতে পারব না। আমি একজন অভিনেত্রী অনেকে আমায় ভালোবাসেন। সেটা বজায় রেখে সবটা করা। দেবদা হল আমার আইডল এক্ষেত্রে।”

আরো পড়ুন:’মুখ্য চরিত্র বা পার্শ্ব চরিত্র গুরুত্বপূর্ন নয়, অভিনয়টা আসল’ পঞ্চমীর পর অষ্টমীতেও খলনায়িকা চরিত্রে ফিরছেন ‘উমা’ শিঞ্জিনী চক্রবর্তী!

অভিনেত্রী এও জানিয়েছেন “আমায় দেবদা বললেও আমি দেখব কি বিষয়ে প্রচারে যাচ্ছি। এবং আমি পড়াশোনা করব যে যে কারণে আমি প্রচারে যাচ্ছি সেটা সফল হবে তো নাকি এমনই যাচ্ছি।” হিন্দুত্ববাদ এবং বিজেপি এটাকে আপনি কিভাবে দেখছেন? অভিনেত্রী জানিয়েছেন “আমি অত বুঝি না আমার বাড়িতে বজরংবলীর মূর্তি আছে। আমি হনুমান চালিশা পড়ি। আমি জয় শ্রীরাম বলি। আমি হরে কৃষ্ণ বলি তাহলে কি লোকে আমায় এটা বলবে আমি দিদির আমলে বিজেপি করছি! আমি এই নোংরামগুলো দেখতে পারিনা। আমি দিদিকে ভালবাসবো না মোদিকে ভালবাসবো সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের কি কোন ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই সেটা আমি বুঝি না। আমি থালা বাজাবো না দিদির নাম করব সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার যদি সেটা কারুর পছন্দ না হয় তাহলে আমার এই সমাজে থেকে লাভ নেই।” তাহলে আপনারা কারা অভিনেত্রী সঙ্গে একমত?