Aratrika Maiti life struggle: পর্দার ধারাবাহিকের কাহিনী কিন্তু পুরোটাই কাল্প’নিক নয়, ধারাবাহিক সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বাস্তব জীবন। যেমন ধরুন ধারাবাহিক মিঠিঝোরায় (Mithijhora) আপনারা দেখছেন রাইপূর্ণার জীবনের লড়াই। বাবার মৃ’ত্যুর পর সংসার সামলানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় রাই। পরিবারকে বাঁ’চাতে নিজের ভালোবাসার মানুষকে তুলে দেয় বোনের হাতে। তবে এই রাইয়ের জীবনের সঙ্গেই কিন্তু অস’ম্ভব মিল রয়েছে বাস্তব রাই অর্থাৎ আরাত্রিকা মাইতির (Aratrika Maiti) জীবনের।
বর্তমান সময়ে ছোটপর্দায় অতি জনপ্রিয় অভিনেত্রী আরাত্রিকা। সিঙ্গেল মাদার হোক কি দায়ি’ত্ব’শীল বড় মেয়ে। সবেতেই নম্বর ১ তিনি। খেলনা বাড়ি থেকে মিঠিঝোরা ধারাবাহিকের মধ্যে তিনি বিরতি পেয়েছেন ১-২ মাসের। মিতুল মায়ের চরিত্র দর্শকদের মন থেকে সরতে না সরতেই সেই স্লটেই রাইপূর্ণাকে নিয়ে জি বাংলার পর্দায় চলে এসেছে আরাত্রিকা। বাড়ির বড় মেয়ে রাই। বাবার মৃ’ত্যুর পর সংসারের দা’য়ভার সামলানোর জন্যই নিজের ভালোবাসার মানুষকে প্র’ত্যাখ্যান করেছে সে। নিজের বোন নীলুর সঙ্গেই বিয়ে দিয়েছেন হবু স্বামীর। ইতিমধ্যেই রাইপূর্ণার চরিত্রটিকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দর্শকরা।
তবে সম্প্রতি জানা গেছে শুধু ধারাবাহিকে নয়, বাস্তবেও এতটাই দায়িত্ববান আপনাদের রাই অর্থাৎ অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি। মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামের একটি নিম্ন’বিত্ত পরিবারের মেয়ে আরাত্রিকা। রানী রাসমণি ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিনি পা রেখেছিলেন ছোটপর্দায়। হেসে খেলে চলে যাচ্ছিল অভিনেত্রীর জীবন। তবে এরপরই আসে লকডা’উন। বন্ধ দোকানপাট, যান চলাচল, বন্ধ সিনেমা হল, বন্ধ শুটিং। অভিনেত্রী জীবনে নেমে আসে সম’স্যার কা’লো ঘন মেঘ। শুরু হয় জীবন সং’গ্রাম।
সেই দিনের কথা ভেবেই চোখ ছল’ছল করে ওঠে অভিনেত্রীর। তিনি জানিয়েছেন “লকডাউনের সময় অডিশন চলছিল। কিন্তু সেইসময় ট্রেন চলাচল বন্ধ। ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতায় আসার জন্য বাবা মায়ের আংটি বি’ক্রি করে দেয়। যদি অভিনয় না করতে পারি তাহলে সংসার চলবে কি করে?” কিন্তু না কথায় বলে যদি তুমি কিছু মনে থেকে চাও তাহলে ভগবানও তোমার পাশে এসে দাঁড়াবেন। এক্ষেত্রেও ঘটেছিল তাই।
আরো পড়ুন: ‘সাদা চুলেও মাসি ছিলেন অসামান্য সুন্দরী!’ শেষ জীবনে কেমন দেখতে হয়েছিলেন সুচিত্রা সেন? খোলসা করলেন বোনঝি
অভিনেত্রী অভিনয়ের গুন খালি হাতে ফিরতে দেয়নি তাকে। সুযোগ পান সান বাংলার ধারাবাহিক অগ্নি’শিখায় অভিনয়ের। তারপর আর ফিরে তাকায় হয়নি অভিনেত্রীকে। অগ্নি’শিখা শেষ হওয়ার পরই তিনি সুযোগ পান খেলনা বাড়ি ধারাবাহিকের। কিছুদিনের মধ্যেই দর্শকদের থেকে পেয়েছে অনেক ভালোবাসা। অভিনেত্রী এও বলেছেন “তুমি যদি মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে তুমি একটা সময় নিশ্চয়ই সফল হবে। প্রথমবার না হোক, দ্বিতীয়বার না হোক কিন্তু তৃতীয় বার হবেই।” আপনাদের অভিনেত্রী আরাত্রিকাকে কেমন লাগে?