সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কি পদ্মবিভূষণের যোগ্য নন? হৈমন্তী শুক্লা কি এমন যে সংগীত একাডেমী পুরস্কার দিতে হবে? বিস্ফোরক গায়িকা আরতি মুখোপাধ্যায়

একটা সময় ছিল যখন বাংলা সঙ্গীত জগতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় এবং আরতি মুখোপাধ্যায় একটি জুটি। পদবী এক বলে অনেকেই ভেবেছেন হয়তো তাঁদের মধ্যে কোনও আত্মীয়তার বন্ধন রয়েছে। তবে রক্তের সম্পর্ক না হলেও সঙ্গীতের দিক থেকে তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে বেঁধে গিয়েছেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণে দুঃখিত এবং ক্ষুব্ধ গায়িকা আরতি মুখোপাধ্যায়ও। তিনি যে শুধু শোকাহত তা নন, প্রতিবাদও গর্জে উঠেছে তাঁর কণ্ঠে।

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে শেষ বয়সে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়ায় ক্ষুব্ধ আরতি। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, তাঁর বক্তব্য ন্যূনতম একটা পদ্মবিভূষণ দেওয়া উচিত তাঁকে। এদিকে গায়িকা হৈমন্তী শুক্লাকে সঙ্গীত নাটক একাডেমি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ তিনি। বম্বেতে কয়জন তাঁকে চেনেন? বাংলায় কটা গান তাঁর হিট? এই প্রশ্ন করেছেন আরতি। তাঁর বক্তব্য হৈমন্তী শুক্লাকে এই পুরস্কার দেওয়ার আগে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সেটা প্রাপ্য ছিল। এমনকি তিনি এও বলেন যে তিনি হৈমন্তী শুক্লার মত অতটা প্রচারে থাকেন না বলেই পুরস্কার পান না। অন্যদিকে সরকারের তরফ থেকে দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়কে যে পরিমাণ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে সেটা অন্য কোনও শিল্পী পাননি, অভিযোগ আরতি মুখোপাধ্যায়ের।

স্মৃতিচারণায় আরতি মুখোপাধ্যায় বলেন তিনি মুম্বই থেকে কলকাতা গেলেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি যেতেন ঘুরতে। তাঁর বাড়ি বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। বাড়ির মন্দিরে ঢুকলে মন পবিত্র হয়ে যেত। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের স্বামী রাশভারী স্বভাবের ছিলেন এবং তাঁর লেখা কথাতেও গান গেয়েছেন আরতি। শেষবার ফুল-মিষ্টি নিয়ে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছিলেন আরতি। তারপর আর দেখা হয়নি তাঁদের। ফোনে নিয়মিত কথা বলতেন তাঁরা। একসঙ্গে গানও গেয়েছেন।

Arati Mukhopadhyay