“পিঠটা আছে তো!” আঁচলের পর এবার ডিজাইনার ব্লাউজ! বর্তমান সমাজের পোশাক নিয়ে ফের মন্তব্য করলেন মমতা শঙ্কর!

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদ মাধ্যম, কিছুদিন আগেই সবটাই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar)। শাড়ির আঁচল নামিয়ে পড়া মেয়েদের কটাক্ষ করতে গিয়ে তার ব্যবহৃত শব্দবন্ধ “ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাড়িয়ে থাকা মেয়ে”, “রাস্তার মেয়ে” নিয়ে শুরু হয় ট্রোলিং। এমনকি স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের শাড়ি পড়া নিয়েই মন্তব্য করতে ছাড়েননি তিনি। সম্প্রতি এই নিয়েই ফের মুখ খুলেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর। জনপ্রিয় সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

নিজের পূর্ব উক্তিকে স্পষ্ট করে তিনি বলেছেন “কেউ বুঝলোই না আমি কি বলতে চাইলাম। আমি কোন মান্ধাতা আমলের নয়, আমি অত্যন্ত মর্ডান। তবে আমি মনে করি নিজের ডিগনিটি রাখা উচিত। আমি আর আমার বউদি তনুশ্রী আমেরিকান কনসুলেটের প্রোগ্রামে গেছিলাম। তখন আমার বয়স ১৫। সেখানে অভিনেত্রী জয়শ্রী রায় আসতেন। উনি ব্লাউজ ছাড়াই শাড়ি পড়তেন এমনকি সারা বা কোন অন্তর্বাসও পড়তেন না। ওনাকে কিন্তু কখন দেখতে খারাপ লাগেনি আঁচলটা এক ফোঁটাও সরতে না। এত গ্রেসফুল মহিলা ছিলেন।”

ভারতের পোশাক কখনও দৃষ্টিকটু লাগে না, ভারতের বৈচিত্র্যময় পোশাক এবং বর্তমানে ব্লাউজ নিয়ে কি বলেছেন মমতা শঙ্কর:

তিনি জানিয়েছেন “আমাদের ভারতের পোশাক খুব আধুনিক। সেটা সাঁওতাল এলাকার হোক বা নাগাল্যান্ডের মেয়েদের। মৃগয়াতে আমার পোশাক কোন ছিল! আমার বাবা মা কিন্তু খুব প্রাচীনপন্থী ছিলেন। কিন্তু তারাও কখনও আমার পোশাক নিয়ে কিছু বলেননি। ট্রাইবটার সম্প্রদায়ের প্রতি নিজের সম্মান দেখানোর জন্য আমি ওর পোশাকটা পড়েছিলাম নিজেকে জাহির করার জন্য নয়। তবে আঁচল তো তাও অনেকভাবে নেওয়া যায়, কিন্তু ব্লাউজ! আমি একটা সাক্ষাৎকারে পড়েছিলাম আঁচল নয়, ব্লাউজ আর অন্তর্বাসের জন্য সমস্যা। আমি যদি কোন ডিজাইনার ব্লাউজ পড়ি তাহলে আমার পিঠটা আছে তো ডিজাইনারের কাছে ডিজাইন করার জন্য। আর আমি যদি সামনেই দিকে ডিজাইন থাকে তাহলে আঁচলটা সামনে করে নিলেই হয় তাহলে খারাপ লাগবে কেন!”

টলিউড, মমতা শঙ্কর, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, tollywood, Mamata Shankar, Swastika Mukhopadhyay

তিনি এও বলেছেন “শারীরিক গড়ন দেখতে হবে শরীরের সিংস মানাচ্ছে কিনা। আমি দোকানে গিয়েছি, রাস্তাঘাটে গেছি কোন ডিজাইনার ব্লাউজ পড়িনি কিন্তু ওইভাবে আঁচল নিইনি। ডিজাইনারদের কাছে আমার আর্জি আমাদের দেশে কত ধরনের পোশাক হয়। যেগুলো রিভিলিং কিন্তু খারাপ লাগে না। নাগা মেয়েদের দেখুন না কেন! আমাদের দেশের কত ঐতিহ্য আছে আমাদের নকল করতে হবে কেন। কেউ বলবে আগে কার দিনের দেবদেবীর মূর্তি এরকমই ছিল। কাঁচুলি পড়া কেন। আমার হাতে এটাকে দেখুন (নিজের পাশে রাখা মূর্তি দেখিয়ে) এর গায়ে তো কিছু নেই। কিন্তু এভাবে চাইলে আমি তো আর বেরিয়ে যেতে পারব না।”

আরো পড়ুন: ফের বদল! টিআরপিতে দারুণ পারফর্ম করেও রাতারাতি কথা ধারাবাহিক ছাড়ছেন প্রধান নায়িকা! হঠাৎ কি ঘটলো?

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তব্যে কি বলেছেন মমতা শঙ্কর:

মমতা শঙ্করের বিতর্কের পর মমতা শঙ্করের সঙ্গে ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা একজন মেয়ের ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় লিখেছেন “আমিও এরকম একটা ছবি তুলব ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েদের উৎসর্গ করে। শাড়ির আঁচলে সম্মান লুকিয়ে থাকে সেটা যদি তারা জানত! আমার ফটোগ্রাফার বন্ধুরা হাত খালি থাকলে আমাকে জানিও।” অভিনেত্রীর এই মন্তব্যে নাম না করে মমতা শঙ্কর বলেছেন “আমার কাছের লোকেরাই আমাকে ট্রোল করছে। বলতে পারত মমপিসি তুমি যেটা বলেছ তার সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। আমি তাদের কত স্নেহ করি। সেটা না নিজেদের ছোট করল। মেয়ে হতে মেয়েদের খাটো করা উচিত নয়। অনেকেই এইভাবে পোশাক পরলে ভাবে গেঁয়ো আমি মনে করি আমি বেশি সাহসী আর মর্ডান।”