বিপাশা দিল উচিৎ শিক্ষা! কোর্টে এসে পলাশের নামে সাক্ষী দিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করল বিপাশা! মনের কথায় ধুন্ধুমার পর্ব

Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। একের পর এক নতুন নতুন চমকের কারণে বারবার চর্চার সম্মুখীন হয়েছে ধারাবাহিকটি। প্রথমে টিআরপি তালিকায় গীতা LLB-র বিপরীতে ধারাবাহিকটি বিশেষ ভালো ফল করতে ব্যর্থ হলেও সময়ের পরিবর্তনের ফলে ধারাবাহিকের টিআরপিতে আসে আমূল পরিবর্তন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ধারাবাহিকের টিআরপি। এখনও অব্দি ধারাবাহিকটি স্লট না পেলেও বর্তমানে বেশ জমে উঠেছে ধারাবাহিকের কাহিনী। ধারাবাহিকের কাহিনীতে নতুন মোড় বেশ উপভোগ করছেন বাংলার গৃহিণীরা।

সম্প্রতি শিমুলের সংসারে ফিরে এসেছে তার পুরোনো শত্রু প্রতীক্ষা। পলাশ আর প্রতীক্ষা মিলে শিমুল হ’ত্যা করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন তারা। পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানায় শিমুল। ধরে পড়ে যাওয়ার ভয়ে শিমুলকে কেস তুলতে বাধ্য করার জন্য মধুবালা দেবীকে হাতে আনে পলাশ। শিমুলকে অনবরত মধুবালা দেবী চাপ দিতে থাকেন কেস তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্তু থানায় গিয়ে শিমুল জানতে পারে কোর্টে চার্জ সিট পেশ করা হয়ে গেছে ফলত কোর্টে কেসটা উঠবেই।

কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ১৩ মে (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode 13 May)

ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে এসেছে নতুন চমক। প্রতীক্ষা আর পলাশের অপমানের জেরে বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিমুল আর পলাশ। যদিও বড় ছেলেকে বউয়ের জন্য বেরিয়ে যেতে দেখি রেগে যান মধুবালা দেবী। যদিও দাদা আর বৌদির এই সিদ্ধান্তে মনে মনে খুশি হয় পলাশ আর প্রতীক্ষা। প্রতীক্ষা শিমুলকে নানা কথা বলে অপমান করতে থাকে। এমনকি শিমুল এইসবটা সম্পত্তির জন্য করছে এমনটাও দাবি জানায় প্রতীক্ষা। যদিও প্রতীক্ষার কথায় একেবারেই কর্ণপাত করেনি শিমুল।

মধুবালা দেবীকে উচিত শিক্ষা দিল শিমুল

শিমুল স্পষ্টভাবে পলাশকে জিজ্ঞাসা করে যদি সে দোষী না হয় তবে কেন সে এত ভয় পাচ্ছে। তখন কথাটাকে ঘুরিয়ে দেয় পলাশ। মধুবালা দেবী শিমুলকে বলেন চুপ করতে কিন্তু শিমুল স্পষ্টভাবে মধুবালা দেবীকে জানান পরাগ তো তার ছেলে তিনি কি করেছেন ছেলের জন্য? এইভাবে যদি তিনি বারবার অপমান করে তাহলে এবার রুখেদ দাঁড়াতে বাধ্য হবে শিমুল কারণ এক ভুলের বারবার ক্ষমা হয়না। কথা শুনেই চুপ করে যান মধুবালা দেবী। পরেরদিন কেস ওঠে কোর্টে। প্রতীক্ষার উকিল শিমুলের বিষয়ে নানা অভিযোগ এনে শিমুলের চরিত্র নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে।

আরও পড়ুনঃ গাঢ় হচ্ছে স্রোতের প্রতি সার্থকের ভালোবাসার অনুভূতি! স্রোতের ঘুরতে যাওয়ার টাকা জোগাড় করে দিল সার্থক!

কোর্টে সাক্ষী পলাশের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিল বিপাশা, সুচরিতা

তখন শিমুলের উকিল সাক্ষী হিসেবে ডাকেন বিপাশাকে। বিপাশা তখন মহামান্য বিচারপতিকে জানায় শিমুল খুব ভালো মেয়ে। তার ওপর শুরু থেকে অ’ত্যা’চার করে এসেছে তার শাশুড়ি, স্বামী, দেয়র আর জা। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিমুলের স্বামী পরাগের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে কিন্তু বদলায়নি পলাশ আর প্রতীক্ষা। তারা বারবার শিমুলকে মা’রার চেষ্টা করেছে। বিচারপতিকে এই একই কথা জানায় সুচরিতা। তখন শতদ্রুর মাকে ডাকেন প্রতীক্ষার উকিল। তিনি শিমুলের বিষয়ে নানা খারাপ মন্তব্য করতে থাকেন। তখন শিমুলের উকিল জানায় তার কাছে এমন একটি প্রমাণ আছে যেটা পলাশকে দোষী সাব্যস্ত করবে যেটা শুনেই ঘাবড়ে যায় পলাশ আর প্রতীক্ষা। তবে কি এবার শাস্তি পাবে পলাশ, আপনাদের কি মনে হয়?