‘আমার মৃতদেহে তোমাদের ষড়যন্ত্র…’ এত বছর পর মিলে যাচ্ছে সিধুর গাওয়া গান! কবে ন্যায় পাবে তিলোত্তমা?

লাশ কাটা ঘরে ময়নাতদন্ত, আমার মৃতদেহে তোমাদের ষড়যন্ত্র…জানি সব করবে লোপাট যা কিছু তথ্য প্রমাণ, তবুও রেহাই নেই তোমাদের রেখে গেলাম আমার গান…”। ক্যাকতাসের (Cactus) গানের ছত্রে ছত্রে শিউরানি। মনের মধ্যে ভেসে উঠছে একটাই নাম ‘তিলোত্তমা’। যেন আরজি করের (RG Kar Medical College and Hospital) সেই নির্যাতিতা মৃত্যুর পর তারস্বরে চিৎকার করে ন্যায়ের দাবি জানাচ্ছে। রাজপথের মিছিলে পা মিলিয়ে নিজের ন্যায় বিচারের জন্যই গলা ফাটাচ্ছে।

চলতি মাসের ৯ই আগস্ট, ভোররাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের চার তলায় চেস্ট মেডিসিন বিভাগে ঘটে ছিল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ধর্ষণ করে খুন করা হয় হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তারকে। বয়স ৩০। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান তিলোত্তমা। ছোটবেলা থেকে দু-চোখ জোড়া স্বপ্ন ডাক্তার হবেন।

স্বপ্ন সফলও হয়েছিল অভয়ার। ডাক্তারির পড়াশোনা শেষ করে, চেস্ট মেডিসিনে পিজিটি করছিলেন রাজ্যের এক নম্বর সরকারি হাসপাতাল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে। ৯ই আগস্ট স্বপ্ন ভেঙেছিল তাঁর। কোল খালি হয়েছিল মায়ের। অর্ধনগ্ন ছিন্নভিন্ন অবস্থায় হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।

তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রাই নাম এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। যদিও আমজনতার ধারণা, শুধু সঞ্জয় নয়। ঘটনায় জড়িত রয়েছে একাধিক মাথা। কেঁচো খুড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারে কেউটে। তাই তদন্তের গতিবিধির উপর একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন।

আরও পড়ুন: রবিবাসরীয় ভাতঘুম ভুলে রাজপথে ছোটপর্দার শিল্পীরা! দাবি একটাই ‘তিলোত্তমার বিচার চাই…’

ডাক্তার ছাত্রী এহেন মর্মান্তিক পরিণতি মনে করিয়ে দেয় প্রায় এক দশক আগে ক্যাকটাসের গান ‘লাশ কাটা ঘরে ময়নাতদন্ত’। যেন মেয়েটির মুখের কথা গানের ভাষায় ব্যক্ত হয়েছে। তিলোত্তমা বিচার পায়নি। পাকড়াও হয়নি তাঁর আসল খুনি। প্রকাশ্যে আসেনি খুনের আসল কারণ। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা হেরে গেলাম। নাকি অস্ত্রে ছিলো না শান? গানের শেষ লাইনই এখন আশার আলো। ‘বিপ্লব আসবেই’কে সঙ্গে করে পথে নামতে হবে আমাদের।