বাংলা বিনোদন জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং জনপ্রিয় অভিনেতা ঋতব্রত মুখার্জি (Ritobroto Mukherjee)। একদা ‘জেনারেশন আমি’ খ্যাত অপু ওরফে ঋতব্রত মুখার্জি একাধিক নামকরা কাজ করে দর্শক মনে নিজের ঠাঁই পাকা করেছেন। বর্তমানে একটি সাক্ষাৎকারে এসেছিলেন তিনি। আর সেখানেই বিনোদন জগত থেকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একাধিক বক্তব্য তুলে ধরলেন।
ঋতব্রতর অভিনেতা হওয়ার পিছনে মায়ের ভূমিকা কতটা?
জনপ্রিয় অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের ছেলে ঋতব্রত। তাঁর বাবা টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা। একই সাথে ঋতব্রতও দারুন নাম করেছেন বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করে। তবে সব জায়গায় অভিনেতার বাবার কথা উল্লেখ থাকলেও মায়ের বিষয়ে খুব বেশি জানা যায় না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মায়ের ভূমিকা নিয়ে কথা বললেন অভিনেতা।
ঋতব্রত জানান, তাঁর অভিনেতা হওয়ার পিছনে যে মানুষটার ভূমিকা না বললেই নয় তিনি হলেন তাঁর মা। প্রত্যেকদিন সকালবেলায় অভিনেতার মা প্রশ্ন করেন, বাবা এবং ছেলের কলিং টাইম কখন। যদি বারোটায় কলিং টাইমের কথা বলা হয় তখন মা বলেন যে, “আচ্ছা আমার কলিং টাইম তাহলে ছটা।” অর্থাৎ দশভূজা মা সকাল থেকেই দুজনের জন্য লড়ে যান।
অভিনেতা সাক্ষাৎকারে বলেন, বাবা শান্তিলাল ছাড়া তাঁর জীবনে পিতৃস্থানীয় দুজন হলেন এক তাঁর মেজমেসো। আর অপরজন হলে অভিনেতা চন্দন সেন। অভিনেতা চন্দন সেন সম্পর্কে প্রশংসা ঝরে পড়ল ঋতব্রতর মুখে। ‘মানিক বাবুর মেঘে’ চন্দন সেনের অভিনয় নিয়ে প্রশংসিত বাক্য তুলে ধরলেন তিনি। বললেন চন্দন সেনের চোখ দেখার জন্য দর্শকরা যেন ‘মানিক বাবুর মেঘে’ শুধুমাত্র আটকে না থাকেন।
আরও পড়ুন: সিরিয়াল থেকে সিনেমা সর্বত্রই দাপট দেখিয়েছেন তিনি, শাকিব থেকে দেবের নায়িকা হয়েও নিরহঙ্কার ইধিকা
নেগেটিভিটি কতটা এফেক্ট ফেলে ঋতব্রতর উপর? সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছেন, নেগেটিভিটি নিয়ে তিনি খুব বেশি ভাবেন না। আবার সেগুলিও যে তাঁকে একেবারে প্রভাবিত করে না তা নয়। তবে ঋতব্রত নিজের কাজে বিশ্বাসী এবং আগামী দিনে আরো ভালো ভালো কাজ করার জন্য ভীষণভাবে আগ্রহী তিনি।