খারাপ খাবার খেয়ে বিপদে শিশুরা, আনন্দীর উদ্যোগে নতুন সমাধানের খোঁজ! পারবে আনন্দী এই চ্যালেঞ্জ জিততে?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় আনন্দী ( Anondi ) ধারাবাহিকের গল্প এখন আরও জমজমাট হয়ে উঠেছে। টিআরপি তালিকায় ভাল ফলাফলের পাশাপাশি দর্শকদের মনও জয় করে চলেছে এই জনপ্রিয় ধারাবাহিক। গতকালকের পর্বে দেখানো হয়, আনন্দী তার বাবাকে স্বপ্নে দেখে। স্বপ্নে বাবা আনন্দীকে আশীর্বাদ করে জানান, তিনি আনন্দীকে নিয়ে গর্বিত। বাবার এই স্বপ্ন দেখে আনন্দীর মন আবেগে ভরে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে আনন্দী সকলের আশীর্বাদ নিয়ে ঠাকুর প্রণাম করে নার্সিংহোমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। তবে চৈতির জন্য এই চাকরি একদমই পছন্দ নয়। সব বাধা পেরিয়ে আদি আনন্দীকে নিয়ে নার্সিংহোমে পৌঁছে দেয়।

আনন্দী আজকের পর্ব ১৭ ডিসেম্বর (Anondi Today Episode 17 December)

আজকের পর্বে আনন্দী নার্সিংহোমে পৌঁছানোর পর দেখা যায় শিশুরা তাকে দেখে খুব খুশি হয়। কিন্তু আনন্দী অবাক হয়ে লক্ষ্য করে, সকাল থেকে বাচ্চারা কিছুই খায়নি। দেওয়া খাবার তারা খেতে পারছে না। আনন্দী খাবার দেখে বুঝতে পারে কেন শিশুরা খাবার ফিরিয়ে দিচ্ছে। পাউরুটিগুলো পোড়া, স্যুপে সবজি নেই আর সুজিতে চিনি নেই। এমন নিম্নমানের খাবার কেউই খেতে পারবে না। আনন্দী চিন্তিত হয়ে পড়ে যে শিশুরা খাবার না খেলে ওষুধ খেতে পারবে না এবং অসুস্থ হয়ে পড়বে।

Anondi, Bengali Serial, Zee Bangla, anondi Today Episode, anondi Today Episode 29 November, আনন্দী আজকের পর্ব ২৯ নভেম্বর, আনন্দী আজকের পর্ব,আনন্দী , বাংলা সিরিয়াল, জি বাংলাঠিক সেই সময় আদির কাকা কেবিনে এসে এই পরিস্থিতি দেখে অবাক হয়ে যান। আনন্দী তাকে জানায় যে খাবারের মান এতটাই খারাপ যে শিশুরা তা খেতে চাইছে না। আদির কাকা নিজে খাবার পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন সমস্যার গভীরতা। তিনি নন্দিনীর কাছে গিয়ে সব জানিয়ে দেন। কিন্তু নন্দিনী বিষয়টি গুরুত্ব দেয় না এবং আনন্দীকে তার নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে বলে। অন্যদিকে আনন্দী বাইরে গিয়ে দেখে আদি তিতিরকে ফোন করছে। আদি জানায় তিতির একজন ডাক্তার এবং সার্জারির সময় পাশে থাকে বলে তার চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। আনন্দী এতে রেগে গিয়ে আদিকে প্রশ্ন করে।

ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরে আনন্দী বাচ্চাদের খাবার নিয়ে ভাবতে বসে। কীভাবে তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে সে চিন্তা করতে থাকে। খাবারের টেবিলে বসে বিজয়া এবং আনন্দী একসঙ্গে খাচ্ছিল। তখনই আনন্দীর মাথায় একটি নতুন বুদ্ধি আসে। আনন্দী বিজয়াকে বলে, নার্সিংহোমের শিশুদের জন্য বাড়িতে খাবার তৈরি করে দেওয়ার কথা। কিন্তু বিজয়া প্রথমে এতে ভয় পেয়ে যায়। সে ভাবে, যদি এই কথা বাইরে জানাজানি হয়, তাহলে অশান্তি অবশ্যম্ভাবী। আনন্দীও এই বিষয়ে দ্বিধায় পড়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ ছোটো ছোটো পায়ে সাফল্যের সঙ্গে একে পা কথার! টিআরপির শীর্ষ স্থানে থেকেই পার করলো একটি বছর

শেষে আনন্দীর মাথায় আসে একটি নতুন উপায়। সে সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাউড কিচেনের স্টিকার লাগিয়ে বিজয়ার রান্না করা খাবারের প্যাকেট নার্সিংহোমে পাঠানো হবে। এতে কেউ আর সন্দেহ করতে পারবে না। আনন্দী কিছু স্টিকার সংগ্রহ করে এনে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। তবে আনন্দীর এই পরিকল্পনা সফল হবে কি না, সেটাই এখন দেখার। আগামী পর্বে আনন্দীর এই নতুন চেষ্টার ফল কী দাঁড়ায় তা জানার জন্য দর্শকদের অপেক্ষায় থাকতে হবে।