টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি যেখানে প্রায় প্রতিদিনই নতুন মুখ আসে, সেখানে একজন অভিনেত্রী নিজেকে নিরাপদ রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জের। একদিকে সেলিব্রিটিদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ, আবার অন্যদিকে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই থাকে। এবার সেই নিয়েই খোলামেলা আলোচনা করলেন অভিনেত্রী ইশা সাহা (Isha saha)। তাঁর কথায় উঠে এসেছে এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা, যা অনেকেই জানেন না। কী সেই অভিজ্ঞতা?
ইশা জানালেন, তিনি একজন আউটসাইডার, আর এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিলো অনেকটাই এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু সেফটি নিয়ে তার অভিজ্ঞতা শুনে অনেকেই অবাক হতে পারেন। তিনি একেবারে সোজাসাপটা বললেন, “আমি যথেষ্ট সেফ ছিলাম, আছি, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার সঙ্গী সহ-অভিনেত্রীরা মানসিকভাবে ক্ষতি করেছেন।” কিন্তু কেন তিনি এতটা ভরসা করে এ কথা বললেন? কেন ইন্ডাস্ট্রিতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলো?
ইশা নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, “আমি একজন আউটসাইডার হলেও, যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তারা আমাকে সেফ ফিল করিয়েছেন। আমার প্রথম কাজ ছিল একটি টিভি শো, যেখানে মহিলা ডিরেক্টর ছিলেন। আমি সেখানে কোনো অস্বস্তিতে পড়িনি। তবে, সহ-অভিনেত্রীদের থেকে কিছু অস্বস্তি পেয়েছি। নতুন ছিলাম বলে মুখ খুলতে পারিনি, তবে এই ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল।” ইশার বক্তব্য যেখানে মহিলাদের এমন আচরণ হতে পারে যেটি মানসিকভাবে ক্ষতিকর।
তবে ইশা আরও বলেন, “এটি শুধুমাত্র খারাপ অভিজ্ঞতা নয়, আমি যা কাজ করেছি, তাতে সহকর্মীরা অনেক সহযোগিতাপূর্ণ ছিলেন। পরবর্তী কাজ ছিল অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে, যিনি টলিউডের এক নম্বর ভদ্রলোক। তারপর ছিল গুপ্তধন, যেখানে আবির দা ও অর্জুন সঙ্গী ছিলেন, যারা কখনও মনে করতে দেননি যে আমি বাইরের। আর সোয়েটার ছবিতে খরাজ দা এবং অন্যান্যদের সঙ্গে কাজ করেও নিরাপদ অনুভব করেছি।”
আরও পড়ুনঃ ইস্পাত কঠিন মানসিকতা! পায়ে তীব্র চোট নিয়েও শুটিংয়ে ছুটে, লাফিয়ে অভিনয় করে গেলেন অভিনেত্রী অনুমিতা দত্ত
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “মহিলারা বরং অনেক সময় রুঢ় কথা বলেন, মানসিক আঘাত করেন, কিন্তু আমি এত বছর কাজ করেছি, কখনও শারীরিকভাবে নিরাপত্তাহীন অনুভব করিনি।” এই প্রসঙ্গে ইশা বলেন, টলিউডে অনেক হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, তবে তার নিজের অভিজ্ঞতা তেমন ছিল না। তার সঙ্গে কাজ করা ব্যক্তিরা সবসময় তাকে নিরাপদ রেখেছেন। আগামীতে ইশা সাহা তাকে অপরিচিত ছবিতে ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং অনির্বাণ চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা যাবে।