সোহিনীর জীবনে অন্ধকার সময়, বাড়ছে মানসিক চাপ? অবসাদের কারণ জানালেন অভিনেত্রী

টেলিভিশন এবং সিনেমা জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)। তার অভিনয়ের দক্ষতা এবং স্বতঃস্ফূর্ত ব্যক্তিত্ব তাকে বাংলা বিনোদন জগতে বিশেষ জায়গা করে দিয়েছে। ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা, সব ক্ষেত্রেই তিনি নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। তার অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ দর্শকরা তাকে সবসময় পর্দায় দেখতে ভালোবাসেন। সম্প্রতি রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পডকাস্ট শো ‘সহজ কথা’-তে এসে নিজের জীবনের নানা খুঁটিনাটি ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি সোহিনীর জীবনে বড় পরিবর্তন এসেছে। তিনি সদ্য বিবাহিত হয়েছেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মানসিক অবসাদ তাকে গ্রাস করতে শুরু করে। ব্যক্তিগত জীবনে হঠাৎ পরিবর্তন এবং পেশাগত চাপের কারণে সোহিনী এক অদ্ভুত মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তার মতে, জীবনে ঘটে যাওয়া নানা পরিস্থিতি এবং সম্পর্কের পরিবর্তন তাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলে। তবে এই অবস্থা কেন এবং কীভাবে তিনি তা মোকাবিলা করেছেন, সেটাই তার ভক্তদের জন্য বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়।

sohini sarkar

বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দিতে পারে। তবে সোহিনী স্পষ্ট করেছেন যে, এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে নয়, বরং পেশাগত চাপ এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানা জটিলতার কারণে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। পডকাস্টে তিনি বলেন, “ডাক্তারের সাহায্য নেওয়ার আগে নিজেকে সাহায্য করতে হবে। জীবনে খারাপ সময় না এলে ভালো সময়ের মূল্য বোঝা যায় না।” তিনি আরও জানান, সুইসাইডাল টেন্ডেন্সি এবং হতাশার সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন।

সোহিনী আরও জানান, অবসাদ কাটাতে তিনি কাউন্সেলিং এবং বই পড়ার মতো কার্যকরী পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। তার মতে, “কাউন্সেলিং করাতে গিয়ে অনেকবার কেঁদেছি। তবে সেই কাঁদার পরেই নিজের মধ্যে পজিটিভ এনার্জি তৈরি হয়েছে।” কাজ এবং বই পড়ার মাধ্যমে নিজের মনকে চ্যানেলাইজ করাটাও তার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হয়েছে। তিনি জানান, বন্ধুরা সবসময় সমস্যার সমাধান দিতে পারে না, তাই নিউট্রাল কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া উচিত।

আরও পড়ুনঃ ‘কোলের শিশুকে নিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল ওরা’, জীবনের কঠিন সময় পেরিয়ে আজ সেই মেয়ের হাত ধরেই নতুন স্বপ্ন দেখছেন মল্লিকা

সোহিনীর এই সাহসী স্বীকারোক্তি অনেকের জন্যই অনুপ্রেরণা হতে পারে। তার মতে, জীবন সবসময় মসৃণ হয় না, কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জগুলোই মানুষকে শক্তিশালী করে তোলে। তার এই খোলামেলা আলোচনা ভক্তদের মধ্যে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করছে।