পক্ষপাতের অভিযোগ ইন্ডিয়ান আইডল-এ! পরপর দুই সপ্তাহে বাদ পড়লেন বাংলার প্রতিযোগীরা!

দেশজুড়ে ট্যালেন্ট শো-র জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। এখানে হাজারো প্রতিভা খুঁজে পায় নিজের জায়গা। মঞ্চে উঠে আসে বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিযোগীরা, যাঁরা স্বপ্ন দেখেন সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানোর। তবে প্রশ্ন হল, এই স্বপ্ন সত্যি করার সুযোগ কি সকলের সমানভাবে মেলে? বিশেষত, বাঙালিদের জন্য কি এই সুযোগ ধীরে ধীরে সীমাবদ্ধ হয়ে আসছে? জনপ্রিয় শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ (Indian idol)-এর সাম্প্রতিক ঘটনা যেন এই প্রশ্নটিকেই উস্কে দিল।

এই সপ্তাহেই ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৫-এর পঞ্চম এলিমিনেশনে বাদ পড়লেন কলকাতার মেয়ে রঞ্জিনী সেনগুপ্ত। উল্লেখ্য , বিচারকদের থেকে কম নম্বর পাওয়ার জন্যই শেষ তিনে ছিলেন রঞ্জিনী, ময়ূরী সাহা এবং স্নেহা শঙ্কর। শো-র সঞ্চালক আদিত্য নারায়ণ ঘোষণা করেন, বাদ পড়েছেন রঞ্জিনী। গত সপ্তাহে বাদ গিয়েছিলেন বাংলার ছেলে সৃজন পোড়েল। পরপর দু’সপ্তাহ বাংলার প্রতিযোগীদের বাদ পড়া নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দর্শকরা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে দাবি উঠেছে, “ইন্ডিয়ান আইডল বাঙালিদের প্রতি পক্ষপাত করছে।”

রঞ্জিনী সেনগুপ্তের জীবনের গল্প যেন আরও মর্মস্পর্শী। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন। দিদার অভিভাবকত্বে বেড়ে ওঠা রঞ্জিনীর স্বপ্ন ছিল ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি জিতে তাঁর ৮৭ বছরের দিদাকে উৎসর্গ করবেন। তবে সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই এলিমিনেশনের খাঁড়া নেমে এল। আগের সপ্তাহে বাদ পড়েছিলেন সৃজন, যাঁর গান নিয়ে বিচারকরা বেশ প্রশংসা করেছিলেন। এভাবে পরপর দুই প্রতিযোগীর বিদায়ে প্রশ্ন উঠেছে, ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারব্যবস্থা কতটা সঠিক?

ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে সিজন ১৫-তে সেরা ১৫-তে জায়গা করে নিয়েছিলেন বাংলার সাত প্রতিযোগী—শুভজিৎ চক্রবর্তী, বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মানসী ঘোষ, ময়ূরী সাহা, প্রিয়াংশু দত্ত, রঞ্জিনী সেনগুপ্ত এবং সৃজন পোড়েল। কিন্তু একের পর এক বাঙালি প্রতিযোগীর বাদ পড়া দেখে দর্শকদের মনেই কেবল ক্ষোভ নয়, বঞ্চনার অভিযোগও উঠছে। বাঙালিরা কি সত্যিই অবহেলার শিকার হচ্ছেন?

আরও পড়ুনঃ ছোটপর্দার রঞ্জা থেকে বড়পর্দার কিশোরী, সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারে সম্মানিত ইধিকা

তবে এখনও বাংলার প্রতিযোগীদের আশা শেষ হয়নি। শুভজিৎ, বিশ্বরূপ, মানসী এবং ময়ূরী শীর্ষ স্থানে লড়াইয়ে রয়েছেন। এখন দেখার, তাঁদের কেউ ট্রফি জিততে পারেন কি না। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, বাংলার প্রতিভা কি সত্যিই ন্যায্য মূল্যায়ন পাচ্ছে? নাকি পক্ষপাতের অভিযোগেই ঢেকে যাচ্ছে তাঁদের সাফল্যের সম্ভাবনা?