বিনোদন জগতে বিচ্ছেদ নতুন বিষয় নয়। হিন্দি থেকে বাংলা দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই বহুবচর ধরে সংসার করার পর ভেঙেছে সেই সংসার। শনিবার সকাল থেকেই টলিউডে নতুন গুঞ্জনের শোরগোল। অভিনেতা সম্রাট মুখোপাধ্যায় ও ময়না মুখোপাধ্যায়ের ২৩ বছরের দাম্পত্য নাকি ভাঙনের পথে। শোনা যাচ্ছে, ‘আকাশ কুসুম’ ধারাবাহিকে অভিনয় করতে গিয়ে সহ-অভিনেত্রী কথা চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছে সম্রাটের, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে পারিবারিক টানাপোড়েন। তবে এই খবর সত্যি নাকি নিছকই গুজব, তা নিয়েই চর্চা তুঙ্গে।
গুঞ্জনের সূত্রপাত সরস্বতী পুজোর দিন। সম্রাট অভিনয়ের পাশাপাশি একটি অভিনয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালান, যেখানে প্রতি বছর ধুমধাম করে পুজো হয়। তবে এ বছর তাঁর বাবা প্রয়াত হওয়ায় পুজোর আয়োজন হয়নি। সেদিন তিনি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গেলেও স্ত্রী ময়নার দেখা মেলেনি। তখন সম্রাট জানান, ময়না অসুস্থ, তাই আসতে পারেননি।
এই কথা ছড়িয়ে পড়তেই ময়নার কাছে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে থাকেন। কিন্তু অভিনেত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে লেখেন, “কে বলল আমি অসুস্থ? এই ভুয়ো খবর কে ছড়াচ্ছে?” এক অনুরাগী জানান, স্বয়ং সম্রাটই নাকি এই তথ্য দিয়েছেন। এরপর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। এই গুঞ্জনের তীব্রতা বাড়ায় এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করে সম্রাট-ময়নার সঙ্গে। দু’জনেই স্পষ্ট জানান, বিচ্ছেদের খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং এতে তাঁরা বিরক্ত। সম্রাট বলেন, “২৩ বছর ধরে সুখে সংসার করছি, সেটা হয়তো অনেকের সহ্য হচ্ছে না। তাই মিথ্যে খবর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আমাদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য।”
তাঁর সন্দেহ, এই গুঞ্জন তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ কারও ছড়ানো হতে পারে। পাশাপাশি তিনি তাঁদের যমজ ছেলেদের নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ স্কুলে এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়লে তাদের মানসিক চাপের মুখে পড়তে হতে পারে। ময়নাও এই গুজব নিয়ে হতাশ। তিনি বলেন, “সম্রাট এত বছর ধরে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করছেন, তাতে বিপরীতে নায়িকারা থাকবেনই। কিন্তু এতদিন তো কিছু শোনা যায়নি, হঠাৎ এখনই এসব গুজব কেন?”
আরও পড়ুনঃ বিদেশের মাটিতে সপরিবারে দাঁড়িয়ে এরকম কুটনামি কে করে? দর্শককে বোকা বানানো এমন সস্তা গল্প কেন লেখেন? গৃহপ্রবেশ নিয়ে কটাক্ষ
সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “এ বছর কালাশৌচ চলছিল, তাই সম্রাটের স্কুলে পুজো হয়নি। তবে ছেলেদের স্কুলে হয়েছিল, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। সত্যিই শরীর একটু খারাপ লাগছিল, তাই ওর স্কুলে যাইনি।” তবে ময়নার মতে, সুখী পরিবার দেখলে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হন, আর অকারণ গুজব ছড়িয়ে তাদের জীবনে অশান্তি ডেকে আনতে চান।