এক বেলা কোনমতে খাবার জোটে তো অন্য বেলা জোটে না, মানুষ খুব অত্যাচার করে! কষ্টে রয়েছেন রানু মন্ডল

রানু মন্ডল (Ranu Mondal), এক সময় নেট পাড়ার ভাইরাল মহিলা ছিলেন ইনি। স্থায়ী কোনো ঘর ছিল না, চালচুলোহীন এই মহিলা দিবারাত্রি পড়ে থাকতো রেল স্টেশনে। কার্যত, ভিক্ষা করে জোগাড় করতেন খাবার। এই মহিলার খালি গলায় গাওয়া গানের ভিডিও এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) পোস্ট করায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ে রানু দেবী।

ব্যাপকভাবে প্রচারের আলোয় আশায় সুরকার হিমেশ রেশমিয়ার এক ডাকতে পারি দিয়েছিলেন সুদূর মুম্বাই। সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল মহিলা থেকে রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়ে ওঠেন রানু মন্ডল। তবে, প্রচারের আলো তাঁর জীবনে দীর্ঘস্থায়ী হল না। আজ আবারও ফিরে এসেছেন সেই চেনা অন্ধকার জগতে, হারিয়েছেন খ্যাতিও।

এমনকি, উঠতি গায়িকাকে যাঁরা সেলিব্রিটি বানিয়েছিলেন তাঁরাও আজ কোনো খোঁজ রাখে না। সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই মনে করেন বলিউডে গান গাওয়ার সময় থেকেই অহংকারের চূড়ায় পৌঁছেছিলেন রানু দেবী। তাই, আজ তাঁর এই অবস্থা।
ভাইরাল হওয়ার সময় প্রায় রোজই রানু দেবীর গলায় গান শোনার জন্য ভীড় জমতো।

বলিউড ছাড়াও আর অন্যান্য জায়গা থেকে অফার আসতো গান রেকর্ডিং এর জন্য। বর্তমানে, এক ভাঙাচোরা বাড়িতেই ঠাঁই জুটেছে তাঁর। বিনোদন দুনিয়ার থেকে অনেক দূরে নিভৃতে দিন যাপন করছেন রানু মন্ডল। এই মুহূর্তে তাঁর মানসিক পরিস্থিতিরও বেশ অবনতি ঘটেছে। উপার্জনের কোনো উপায় নেই, এক বেলা খাবার জোটে,তো আরেক বেলা জোটে না। এক কথায়, বেহাল অবস্থা ‘তেরি মেরি কাহানী’র গায়িকার।

আরও পড়ুনঃ  যৌনকর্মীদের জন্য বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থার রুক্মিণী মৈত্রর! বদলাচ্ছে সমাজ, নায়িকার উদ্যোগকে প্রশংসায় ভরালেন নেটিজেনরা

সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের আনু মন্ডল জানিয়েছেন, “২০১৯ সালটা তার জীবনে লাকি ছিল। তারপর থেকে খুব বাজে ভাবে দিন কাটছে। ঘরে আটা-ময়দা টুকুও থাকে না। আজকাল সাধারণ মানুষ তাকে টর্চার’ করে। কারো মধ্যে কোনও মনুষ্যত্ব বোধ নেই”। তিনি আরও বলেন, “যারা আমায় ভাইরাল করেছিল আজ তারা কেউ খোঁজ রাখে না”।