মহিলাদের শৌচালয় নেই! কুম্ভে গিয়ে চরম বিশৃঙ্খলার সম্মুখীন কাঞ্চনপত্নী! উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন ব্যর্থ, কটাক্ষ শ্রীময়ীর

বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ভারতবাসীদের মধ্যে কুম্ভ মেলার রব। আর বাঙালিরা তো এমনিতেই হুজুগে, ইতিমধ্যেই অসংখ্য বাঙালিরা প্রয়াগরাজে গিয়ে ডুব দিয়েছে গঙ্গাসাগরে। বিশিষ্ট ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই এই পূর্ণ অর্জনের সুযোগ ছাড়তে নারাজ।

১৪৪ বছরের মহাযোগ শেষ হতে চলেছে আগামী শিবরাত্রিতে। হাতে মাত্র গোনা আর কয়েকটা দিন বাকি এর মধ্যেই সারতে হবে পুণ্য স্নান। মহাকুম্ভ মেলার শেষ মুহূর্তে স্বামীর কাছে আবদার করে বসলেন টেলি অভিনেত্রী শ্রীময়ী, যেতে চান কুম্ভ মেলাতে। শ্রীময় ও কাঞ্চনের জীবনে যেন ঘটলো উঠল ‘বাই তো কটক যাই’।

স্ত্রী এর আবদার রাখতে প্রয়াগরাজে পৌঁছে গেল স্বস্ত্রিক কাঞ্চন মল্লিক। মেয়ে ছোট হলে দিদার কাছে রয়েছে কৃষভি। তোরি হরি করে শুক্রবার মাঝরাতে পৌছালেন বারাণসি। সেখান থেকে তারকা দম্পতি জানালেন, “ভায়া মির্জাপুর হয়ে সেখান থেকে প্রয়াগরাজে পৌঁছতে শনিবার সকাল গড়িয়ে যায়”।

কুম্ভের মেলা থেকে ফেরার পথে শহরের সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন তাঁদের অভিজ্ঞতা। কাঞ্চনপত্নী জানালেন, “মহিলাদের শৌচালয় নেই। চোখের সামনে দেখছি কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাচ্ছেন”। অভিনেত্রী আরো বললেন, “কাঞ্চন আসতে চায়নি। ওঁর কথায়, ‘সব গঙ্গাই তো এক।’ আমিই জোর করে নিয়ে এলাম। তবে হুজুগে এসে দেখলাম, একেবারে ফেঁসে গিয়েছি। চূড়ান্ত অব্যবস্থা এখানে। নেটে তারকাদের স্নানের ছবিগুলো দেখে ঝকঝকে ব্যবস্থা ভাবলে ঠকতে হবে! ত্রিবেণী সঙ্গমে ভিআইপি জোনেই আস্থার ড়ুব দিয়েছি আমরা। শুধু স্নানটুকু শান্তিতে করতে পেরেছি। সঙ্গমের খুব সুন্দর পরিবেশ। পোশাক বদলানোর জন্য জায়গা পেয়েছি। তবে তার আগে-পরের অবস্থা অবর্ণনীয়!”

আরও পড়ুনঃ চোখে মুখে রক্তের দাগ, ক্ষতবিক্ষত মিমি! রাস্তায় পড়ে ছিলেন অভিনেত্রী, কিভাবে ঘটলো এমন দুর্ঘটনা?

বিধায়ক পত্নী খানিকটা অভিযোগের সুরেই বললেন, “মহিলাদের শৌচালয় পর্যন্ত নেই। রাস্তাঘাটে যে যার মতো পারছে গাড়ি চালাচ্ছে। কেউ বাইক চালাতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে। তাকে তোলার মতো কেউ নেই পর্যন্ত। মহাকুম্ভে ঢুকেই চোখের সামনে দেখলাম মানুষ অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। তড়িঘড়ি প্রাথমিক চিকিৎসা যে করবে, সেই ব্যবস্থাটুকু নেই। স্নান সেরে ফেরার পথে আমারও চোখ ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। চোখেমুখে জল দিয়ে একটু শান্তি পাই। কাঞ্চনের এক বন্ধু আমাদের সঙ্গে এসেছেন, তিনি রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আর কী মারাত্মক যানজট! আমাদের যিনি গাইড ছিলেন, স্থানীয় মানুষ হওয়া সত্ত্বেও সিভিক ভলান্টিয়ার বা পুলিশদের যা ব্যবহার দেখলাম, তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। আমাদেরও তো তারকেশ্বরে উৎসব হয়। তবে কলেবরে ছোট হলেও ব্যবস্থাপনা তুলনামূলক ভালো। প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা শৌচালয়ে যেতে পারিনি। কোনও বায়ো টয়লেট নেই এখানে। মহিলা হিসেবে আমার সত্যিই খুব অসুবিধে হয়েছে। রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে গেলে জলের বোতল কেনার ব্যবস্থাও নেই। পুলিশ বলছে, ‘আগে বেড়িয়ে…।’ গোটা রাস্তায় পাণীয় জলের ব্যবস্থা দেখলাম না। সবাই তো ভিআইপি নয়। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই বললাম। এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা। এত কোটি কোটি মানুষ পুণ্যার্থে যোগ দিচ্ছেন যখন, তখন ব্যবস্থাপনায় আরও নজর দিলে ভালো হত।” ইতিমধ্যেই কাঞ্চন শ্রী মায়ের মহাকুম্ভের কিছু ফটো তাঁরা আপলোড করেছি সোশ্যাল মিডিয়ায়।