বাংলা সংস্কৃতির অবমাননা?অনন্যা-সুকান্তের লিপলক ঘিরে বিতর্কের ঢেউ সমাজ মাধ্যমে!

টলিউড অভিনেত্রী অনন্যা গুহ (Ananya Guha) এবং ইউটিউবার সুকান্ত কুণ্ডু (Sukanta Kundu) গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বাগদান সম্পন্ন করেন। সকালে আশীর্বাদ (Engegment) এবং বিকেলে আংটি বদলের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তাঁদের পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। অনন্যা এবং সুকান্ত উভয়েই ডেইলি ভ্লগিং করেন, ফলে তাঁদের বাগদানের সাজ থেকে উপহার, সবটাই ভিডিওর মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।

বাগদানের পর, সুকান্ত তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে দেখা যায়, তাঁদের বন্ধু-বান্ধব একে একে সরে যাচ্ছেন, আর পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা অনন্যা এবং সুকান্ত একে অপরকে চুম্বন করছেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে সুকান্ত লেখেন, “এখন তুমি বউকে চুমু খেতে পারো।” অনেকেই এই ঘটনাকে ভালোবাসার প্রকাশ বলে স্বাভাবিকভাবে দেখলেও, প্রচুর মানুষ এতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। অনেকের মতে, বাঙালি সংস্কৃতির মূল ভাবধারার সঙ্গে এই ধরনের আচরণ বেমানান, বিশেষত যখন এটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

তবে, কিছু নেটিজেন এই প্রকাশ্য চুম্বনকে সমর্থন জানালেও, অনেকে এর সমালোচনা করেন। একজন মন্তব্য করেন, “তোমাদের দুজনকে আমি খুব পছন্দ করি। কিন্তু তোমরা দু’জন যেটা করলে এটা আমার কাছে খুব অপ্রত্যাশিত ছিল।” অন্য একজন লেখেন, “ছিঃ, বাঙালি সংস্কৃতির অধঃপতন শুরু হয়ে গেছে।” সমালোচকদের বক্তব্য, “এটা কি প্রেম, না সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডে থাকার কৌশল? আমাদের সংস্কৃতি কোথায় যাচ্ছে!” কেউ কেউ আবার কটাক্ষ করে বলেছেন, “নিজের বউকে চুমু খেলে লোক সেটা দেখবে কেন, বরং অন্যের বউকে চুমু খেতে হতো।”

আবার অনেকে লিখেছেন, “প্রেম থাকুক, কিন্তু সবকিছুর একটা সীমা থাকা উচিত!” অনেকেই এই ঘটনাকে বাঙালি সংস্কৃতির অবমাননা হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, এই ধরনের প্রকাশ্য চুম্বন বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নয় এবং এটি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, অন্যপক্ষের যুক্তি, ব্যক্তিগত মুহূর্ত শেয়ার করা তাঁদের নিজস্ব বিষয় এবং এটি নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয়। তবে ভক্তরা আবার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, “বলিউডে যখন এই ঘটনা হামেশাই হয়ে থাকে তখন আমরা তাকে বাহবা জানায় তাহলে নিজের ঘর নিয়ে আপত্তি কোথায়?”

আরও পড়ুনঃ আগে শেখ কিভাবে মহিলাদের সম্মান করতে হয়, শেখার পরে আর প্রেম করিস না সোজা বিয়ে করে নিস! সায়ন্তকে উপদেশ সায়কের

এই পুরো বিতর্কের মাঝেও অনন্যা ও সুকান্ত এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে তাঁদের ঘনিষ্ঠমহল বলছে, এই ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যে পাত্তা না দিয়ে তাঁরা নিজেদের মতো করেই সম্পর্ক উপভোগ করতে চান, তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা থাকতে পছন্দ করেন। তাঁদের মতে, ভালোবাসা লুকিয়ে রাখার কিছু নেই এবং তাঁরা তাঁদের সুখের মুহূর্তগুলি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান। তবে, সামাজিক মাধ্যমের এই প্রতিক্রিয়াগুলি তাঁদের ভবিষ্যতে কতটা প্রভাবিত করবে, তা সময়ই বলবে।