“ইন্ডাস্ট্রি তো মদ খেয়ে গাড়ি চালাতে বলেনি! অপরাধ ঢাকতে ইন্ডাস্ট্রিকে টানবেন না।”—ঠাকুরপুকুর কাণ্ডে মন্তব্য তৃণা সাহার!

রবিবার সকালটা যে এমন মর্মান্তিক হবে, তা ভাবেননি কেউই। দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুরপুকুর (Thakurpukur) বাজার এলাকায় ভোর বেলায় ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে পথচলতি গাড়ির ধাক্কায়। আহত একাধিক পথচারী এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। অভিযোগ, মদ্যপ (Drunk Driving) অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন পরিচালক ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস (Vikto)। সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন (Rii Sen)ও সান বাংলার কার্যনিবাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু (Shreya Basu)

পুলিশের তৎপরতায় ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক সিদ্ধান্ত দাসকে। দুর্ঘটনার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হতে থাকে ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিও। শুরু হয় আলোচনা, সমালোচনা, অভিযোগ এবং জল্পনা। প্রথমে নাম জড়িয়ে পড়ে স্যান্ডি সাহা ও আরিয়ান ভৌমিকের। যদিও পরে পুলিশি তদন্তে প্রমাণিত হয় এই দুইজন ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত নন, তাঁরা সেই সময়ে নিজেদের কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

এদিকে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন নিজে স্বীকার করেছেন যে, তিনি গাড়িতেই ছিলেন। তবে ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে সেখান থেকে বের করে আনে। অভিনেত্রীর দাবি, তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত, একেবারে ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। এই ঘটনা দেখে স্তম্ভিত আম জনতা থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। সমাজ মাধ্যমে তারকাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কার্যকলাপ আর ঘৃণ্য অপরাধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।

ঘটনাটি সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান টলিউড অন্যতম অভিনেত্রী ‘তৃণা সাহা’ (Trina Saha)। তাঁর কথায়, “মদ খেয়ে গাড়ি চালানো অপরাধ, সেটা যে-ই করুক না কেন। কোনও তারকা বলে পার পাবে না। যারা সব জানার পরও এই অন্যায়কে সমর্থন করছে, তারাও সমান দোষী।” পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে একঘরে করাটা অনুচিত। কারণ, প্রত্যেকেই এক নয়, ইন্ডাস্ট্রিতো কাউকে শিক্ষা বা অনুমতি দায়েনি যে মদ্যপান করে গাড়ি চালাও।

আরও পড়ুনঃ দুঃসংবাদ! তার হাতেই তৈরি হয়েছে কাজল রানীরা! প্রয়াত ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় নির্মাতা

অনেকেই আছেন যারা সচেতন। আমি নিজেও পার্টিতে গেলে ড্রাইভার নিয়ে যাই, অথবা ক্যাব বুক করে যাতায়াত করি।” এখন সকলের একটাই প্রশ্ন—এরপর কী? একজন প্রাণ হারালেন, কেউ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, আর অভিযুক্তরা কি এভাবেই পার পাবে? টলিপাড়ার গ্ল্যামারের আড়ালে এমন গা ছমছমে অপরাধ আদেও কি শাস্তি পাবে না? সময়ই দেবে উত্তর, তবে আপাতত জনমনে ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।