নিতবর সেজে দিলীপ ঘোষের বিয়ে নিয়ে কটাক্ষ! কাশ্মীর হামলায় মুখে কুলুপ মীরের! ‘নিজের ধর্ম বলেই এমনটা করছেন!’ কটাক্ষ নেট পাড়ার

এখনকার দিনে অনেকেই নিজের কথা স্পষ্ট করে বলতে ভয় পান। কেউ কেউ আবার নির্দ্বিধায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সব কিছু নিয়ে মুখ খোলেন, হাসি ঠাট্টা করেন, সমাজ নিয়ে ব্যঙ্গ করেন— আর তাতেই তাঁরা হয়ে ওঠেন পরিচিত মুখ। সাধারণ মানুষ এই মুখগুলোকে দেখে ভাবে, এরা আমাদের মতোই, আমাদের কথা ভাবে, আমাদের আবেগ বোঝে। তাই তাদের কাছে প্রত্যাশাটাও একটু বেশি থেকেই যায়।

মীর, যার কণ্ঠস্বরেই মানুষ সকাল শুরু করে, আবার রাতেও মন ভালো করে ফেলতে পারে। রেডিও থেকে টেলিভিশন, রিয়েলিটি শো থেকে থিয়েটার— কোথায় নেই তিনি? তাঁর কথার মধ্যে একটা আলাদা মজার টান, সঙ্গে থাকে তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণশক্তি। তিনি মজার মানুষ ঠিকই, কিন্তু অনেক সময় তাঁর কথায় সমাজের অনেক কঠিন সত্যিও উঠে আসে। তাঁর মতো মানুষ যখন কিছু বলেন, তখন সেটি শুধুই ‘মজা’ নয়— মানুষ সেটিকে গুরুত্ব দিয়েই নেয়।

সম্প্রতি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বিবাহ নিয়ে একটি খোঁচা দেন মীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মন্তব্য ঘুরে বেড়ায় অনেকের ফোনে। কেউ বলেন মজা করেছেন, কেউ আবার বলেন— এটি খুবই নিম্নমানের ট্রোল। একজনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এমন কটাক্ষ কি ঠিক? অনেকেই প্রশ্ন তোলেন— এমন একজন মানুষ, যিনি সমাজের কথা বলেন, তিনি কি এমন মন্তব্য করতে পারেন?

এই ঘটনার পরেই অনেকের নজর পড়ে আরেকটি বিষয়ে— কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আমাদের সেনারা, কিন্তু এই বিষয়ে মীরের তরফে একটা লাইনও শোনা যায়নি। যিনি একজন বিখ্যাত মানুষ, যাঁর কথা লক্ষ লক্ষ মানুষ শোনে— তিনি যখন এমন একটি বিষয়ে চুপ থাকেন, তখন প্রশ্ন উঠেই যায়। কেউ কেউ বলেন, “যদি অন্য ধর্মের কেউ হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকত, তাহলে কি মীর চুপ থাকতেন?” এমনকি একাংশ মনে করছেন, মীর ইচ্ছাকৃতভাবেই চুপ করে রয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ “স্বামীর মৃ’তদে’হের পাশে ওই নববধূর কথা ভেবে শিউরে উঠছি!” কাশ্মীরে হিন্দুদের র’ক্ত বন্যা, ঘুম উড়েছে ভরত কলের! বললেন— ১৯৮৯ আবার ফিরে এলো, এবার রাস্তায় দাঁড় করিয়ে গু’লি করা হোক!

প্রশ্নটা এখানে মীর একা নন— প্রশ্নটা সব ‘জনপ্রিয় মুখ’-দের জন্যই। আপনি যত বেশি জনপ্রিয়, আপনার প্রতিটি কথার গুরুত্ব ততটাই বেশি। একজন বিখ্যাত মানুষ হিসেবে শুধু ট্রোল বা মজার ভিডিও বানালেই চলবে না, দেশের সংকটের সময়ে পাশে দাঁড়ানোও দায়িত্বের অংশ। মানুষ আজ সেই দায়িত্বের কথাই মনে করিয়ে দিতে চাইছে। আজ মীরকে কেউ অপমান করছে না, কিন্তু তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে— আর সেটাই হয়তো একজন শিল্পীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।