রাজবাড়িতে বন্দী বড় রানীর অতীত এলো সবার সামনে! বড় রানীর মধ্যেই ফুলকি খুঁজে পেল নিজের মাকে! এবার প্রকাশ্যে আসতে চলেছে ফুলকির অতীত

জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) ধারাবাহিকে ফুলকির অতীতের রহস্য আরও ঘন হচ্ছে। একদিকে স্বপ্নে মায়ের ঘুমপাড়ানি গান শুনে কেঁদে ওঠে ফুলকি, অন্যদিকে ধানুর বিয়ে ঠিক হয়ে যায় চৌধুরী রাজবাড়ির বড় কুমারের সাথে। সেই রাজবাড়িতেই বড় রানী কাটাচ্ছেন দুয়ো রানীর জীবন। রাজবাড়ির অন্দরে ঘুমিয়ে এক নৃশংস অতীত। আরেকদিকে সংশোধনাগারে রুদ্রের জানতে পারে ফুলকির জন্ম-সংক্রান্ত গোপন তথ্য। সব মিলিয়ে ফুলকির চারপাশে তৈরি হচ্ছে রহস্যের ঘনজাল।

আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় একদিকে কুলদেবতার মন্দিরে পুজো চলছে, অন্যদিকে বড় রানী অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন। তিনি বারবার সবাইকে বলতে থাকেন, “বাইরে কে এসেছে আমি দেখব আমাকে যেতে দাও।” অবশেষে তাঁকে কেউ সামলাতে না পেরে দরজা বন্ধ করে চলে যায়। ঠিক সেই সময় ওঠে প্রবল ঝড়, কুলদেবতার মন্দিরে পুজো বিঘ্নিত হয়। আশ্চর্যজনকভাবে বড় রানীর ঘরের দরজা নিজের থেকেই খুলে যায়, এবং তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন।

Abhishek bose

বড় রানী দৌড়ে মন্দিরের দিকে আসতে থাকেন, এরপর মুখোমুখি হন বড় রানী আর ফুলকি। ফুলকির কাছাকাছি আসতেই বড় রানী হাত বাড়ায় তার দিকে ফুলকি হাতটা ধরার আগেই পরিচারিকারা বড় রানীকে সঙ্গে করে ঘরে নিয়ে যায়। ফুলকি মনে মনে নিজেকে বলতে থাকে, কেন তার মনের মধ্যে এমন উচাটন করছে, কেন এক ঝলকেই সে বড় রানীর প্রতি এতটা মায়ায় জড়িয়ে পড়েছে। বড় রানী শারীরিক অবস্থা নিয়ে উঠবেগ প্রকাশ করে রোহিত জানতে চায় তাঁর কি হয়েছে? আদিত্য নারায়ণ এর বাবা জানান, তার দাদার স্ত্রী হলেন বড় রানী।

শিকার করতে গিয়ে তাঁর দাদা মারা যাওয়ার পর বড় রানীর মানসিক স্থিতি আর ঠিক হয়নি। এই পর্যায়েই উন্মোচন হয় ছোট রানীর পরিচয়। ছোট রানীর নাম ‘আশাভরী’ এবং অতীতে তিনি বড় রানীর বান্ধবী ছিলেন। এত কিছু সত্য জানাজানি হওয়ার পর বড়রা ঠিক করেন আজই বিয়ের দিন পাকা করে ফেলবেন, আর ছোটরা মিলে বাড়ি ঘুরে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ছাদে ধানু আর আদিত্যকে একান্তে কথা বলার জন্য পাঠায় সবাই। একদিকে ধানু যখন রাজবাড়ির শোভা উপভোগ করছে,

অন্যদিকে আদিত্য অপলক দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। দুজনের মধ্যে মিষ্টি এক মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। ঠিক সেই সময় ফুলকি আর রোহিত আসে। ফুলকি জানাই কিছুতেই আর রোহিতকে আটকে রাখা যাচ্ছে না। রোহিত বলে আদিত্যকে যে তাঁর সাথে আলাদা করে কিছু কথা বলার আছে। এরপর দুজনে খানিকটা দূরে গিয়ে কথোপকথন করতে থাকে। দূরে দাঁড়িয়ে ফুলকিরা দুশ্চিন্তা করতে থাকে। এবার আদিত্যর উদ্যেশ্যে রোহিতকে বলতে শোনা যায়, “ধানু খুব ভালো একজন উকিল আর সবাই কেরিয়ার শুরু করেছে,

বিয়ের পর কি এই বাড়িতে থেকে ধানু নিজের মতন করে কেরিয়ারটা চালিয়ে যেতে পারবে?” উত্তরে আদিত্য তাঁকে নিশ্চিত করে ধানুর কোনও অসুবিধা হবেনা। রোহিত এবার তাঁকে বলে, বিয়ের পর কোনও সম্পর্কই সবসময় মধুর থাকে না। কখনও মতবিরোধ, তর্ক, ঝগড়া হতেই থাকে। এমন পরিস্থিতি তাদের সম্পর্কে এলে আদিত্য ধানুর হাত ছেড়ে দেবে না তো? আদিত্য এবারও নিশ্চিত করে, আর বলে তাঁর মতে ধানু তাঁর যোগ্য সহধর্মিণী আর তাঁর পাশে আদিত্য সবসময় থাকবে।

রোহিত এতে আশ্বস্ত হয় আর বিয়েতে মত দিয়ে দেয়। বিয়ের আনন্দের মাঝে ফুলটির অন্যরকম ভালোলাগা তৈরি হয়, বড় রানীর জন্য। সে মনে মনে বলে, “এই বাড়ির সাথে আমাদের সম্পর্ক হচ্ছে মানে মাঝে মাঝেই এখানে আসতে পারব আর বড় রানীকে দেখতে পাব।” ফুলকি সিদ্ধান্ত নেয় এখান থেকে যাওয়ার আগে বড় রানীকে একবার দেখে যাবে সে। এরপর লাবণ্য এসে সবাইকে নিচে ডেকে নিয়ে যায়। ছাদ থেকে নিচে নামার সময় ফুলকি আবার সেই ঘুম পাড়ানি গান শুনতে পায়।

রোহিতকে ফুলকি জানায় ঠিক এমনই গান সে স্বপ্ন শুনেছে। এরপরে সারা বাড়ি খুঁজে বড় রানীর ঘরে গিয়ে উপস্থিত হয়। বড় রানী সেখানে এক মনে গান গেয়ে চলেছেন। রোহিতের হাজার বারণ সত্বেও ফুলকি তাঁর দিকে এগিয়ে যায়, কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই বড় রানী, গান থামিয়ে ফুলকির দিকে তাকায়। ফুলকি তাঁকে জানায় এই গান সে স্বপ্নেও শুনেছে, উনি কি করে জানলেন এই গান? এরপর একে অপরের হাত ধরে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকে দুজনে। ছোট রানী হঠাৎ করে এসে অস্বস্তিতে পড়ে গিয়ে ফুলকিকে হাতটা ছেড়ে দিতে বলেন।

আরও পড়ুনঃ “এরা গলা অবধি মদ খেয়ে পার্টি করবে, আর সকালে ফেরার সময় গাড়িচাপা দিয়ে নিরীহ মানুষদের হ’ত্যা করবে!”— স্টার জলসার ‘কথা’র ৫০০ পর্ব উদযাপন দেখে দর্শকরা বলছেন এটা সেলিব্রেশন নাকি নোংরামি?

অজুহাত দেখিয়ে তিনি বলেন যে তাঁর বাড়ির লোকেরা তাঁর জন্য নিচে অপেক্ষা করছে। বাড়ি ফিরে আসে ফুলকি সেই ঘোর কাটাতে পারেনা। রোহিত সবাইকে খুলে বলে বড় রানী মার সাথে দেখা করতে গেছিলো ফুলকি আর তারপর কি কি হয়েছে। ফুলকিও বলে কি সুন্দর উনি গান গাইছিলেন বালিশ নিয়ে ঘুম পাড়ানি গান। লাবণ্যর সন্দেহ হয় যে হয়তো বড় রানী সন্তানকেও হারিয়েছেন, আর জেঠিমাও বলেন পুরো রাজবাড়িতে ওই একটাই অন্ধকার জায়গা। ফুলকি কি জেনে যাবে নিজের অতীত? বড় রানী কি ফিরে পাবে তাঁর হারানো মেয়ে ফুলকিকে?