আগের স্মৃতি ফেরাতে মোক্ষম চাল দিল শুভলক্ষ্মী! আদির দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে বলেছে ডাক্তার! তবে কি এবার ফিরবে আদৃতের স্মৃতিশক্তি? নাকি মোহনার কাছে ফিরে যাবে সে?

আদির স্মৃতি ফেরাতে বড় একটা ঝুঁকি নিয়ে নিল শুভ। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকের যত পর্ব এগোচ্ছে দেখা যাচ্ছে, আগের রোজকার জীবনের ছন্দে ফিরছে আদৃত। এই সিরিয়ালের গত পর্বে দেখা গেছে, সকালবেলায় খাবার টেবিলে বসে সবাই যখন ব্রেকফাস্ট করছে তখন সেবন্তী, ঠাম্মি সবাই মিলে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণা করছে।

এমন সময় নানার কথার মাঝে আদি হঠাৎই শুভ পাঠানোর বাংলা চিঠির কথা বলে ওঠে। এইরকম, কথা শুনে আদির সঙ্গে সঙ্গে সবাই অবাক হয়ে যায় সে কি করে এই পুরনো দিনের কথা বলতে পারলো? এরপর আদি নিজে থেকেই বলে এমন করতে করতে হয় তো হঠাৎই একদিন তার সব মনে পড়ে যাবে। এরপর আদি অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে ঘরে চলে গেল।

গৃহপ্রবেশ, Grihoprobesh, star jalsha, স্টার জলসা

আদি ঘরে নিজে একাই তৈরি হওয়ার পর কেশবের সঙ্গে কথা বলতে থাকে আর নিজের রুমাল ও মানিব্যাগ খুঁজে পাচ্ছি না বলে শুভলক্ষী বলে ডাক দিতে থাকে। অনেক হাঁকডাকের পর শুভ ঘরে এলে তাঁকে রুমাল ও মানিব্যাগ খুঁজে দেওয়ার কথা বলে। এরপর শুভ নিজের কাজ করে তাদের সাথে কোন কথা না বলেই চলে যায়।

এমন সময় আদি কেশবকে বলতে থাকে শুভলক্ষ্মী কিছুতেই তার কাছে যাচ্ছে না। এই কথা আড়াল থেকে শুনতে পায়ে শুভ আর মনে মনে বলে, সে আদি সামনে গেলেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারবে না। তাই সে যতটা পারছি নিজেকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

এরপর, আদি তৈরি হয়ে নিচে নামার সময় সেজকাকে ডাকাডাকি করতে থাকে অফিস যাওয়ার জন্য। আদির এই পুরনো রূপ ফিরে আসছে দেখে সবাই আনন্দিত হয়ে ওঠে। এরপর শুভ লক্ষ্মীর থেকে লাঞ্চ ব্যাগ নিয়ে আদি রওনা দেয় অফিসের দিকে। এরপর এই বাড়িতে আসে ডাক্তার। ডাক্তার এসে আদির খবরাখবর নিতে থাকে।

কথায় কথায় ডাক্তার বলে এবার একটা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হবে। সেটার জন্য যদি সবাই প্রস্তুত থাকে তাহলেই সেই কাজটা করা যাবে। এই সোনা মাত্রই বসু বাড়ি সবাই চিন্তায় পড়ে যায় আর আলোচনা করার সময় হঠাৎই আদি আকাশকে নিয়ে বাড়িতে হাজির হয়। এরপর সবার সামনেই খোলাখুলি ভাবে ফেরানো নিয়ে কথা হতে থাকে। শুভ আজকে বলে, ডাক্তার বলেছে তাঁর যেভাবে দুর্ঘটনায় ঘটেছে নদীয়ায় সেই রকমই আবার একইভাবে ঘটনা ঘটাতে হবে যাতে তার পুরোটা মনে পড়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ সবাইকে চমকে দিয়ে গোপন তথ্য ফাঁস করলেন উড়ানের পূজারিণী ওরফে রত্নাপ্রিয়া দাস! তার স্বীকারোক্তিতে শোরগোল নেট পাড়ায়! কি বললেন তিনি?

এই নিয়ে সবাই ভাবনা চিন্তা করতে থাকেন। অন্যদিকে সেবন্দী ও পুলক ঘরে এসে তাদের ছেলেকে নিয়ে বড় চিন্তা করে ঘটনা আবার ঘটানো হলে যদি আদিতালি থেকে দূরে চলে যায় তাহলে কি হবে? এই ভাবনাতেই অস্থির হয়ে ওঠে পুলক আর তাকে শান্ত করতে থাকে সেবন্তী।