এখন সব ইগোর লড়াই, কেউ ন্যূনতম অ্যাডজাস্ট করার চেষ্টা করে না! আর সেই জন্যই এত তাড়াতাড়ি ভেঙে যাচ্ছে সম্পর্ক! বর্তমান সময়ে দাম্পত্য ভাঙনের কারণ বললেন অঞ্জনা বসু!

সবে মাত্র কিছুদিন হল বাংলা জুড়ে পালন হয়েছে নববর্ষ। আর এই বাংলার নতুন বছরকে কেন্দ্র করেই ইতিমধ্যেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েকটি বাংলা ছবি। তবে সেই সিনেমার রেষ কাটতে না কাটতেই আবারো শোনা যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই আসতে চলেছে আরো একটি বাংলা সিনেমা।

ছবির নাম শ্রীমান v/s শ্রীমতি। পথিকৃৎ বসুর পরিচালনায় এই সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তী এবং অঞ্জনা বসুকে। দীর্ঘ ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি এই সিনেমার প্রচার চলছে এখন জোরকদমে। আর, এই ছবিতে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতির সম্মুখীন হয়েছেন অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু।

শহরের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ২২ বছরের অভিনয়ে জীবনে এই সিনেমা তার জীবনের অন্যতম মাইলস্টোন। সাক্ষাৎকারের শুরুতেই অভিনেত্রী মিঠুন চক্রবর্তীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বললেন এক অসাধারণ ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। এমনকি, অঞ্জনার প্রথম শর্ট দিয়ে মনে হয়েছে এই অভিনেতার সঙ্গী হয়তো তিনি দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় করে আসছেন।

কথায় কথায় অভিনেত্রী জানান, কিংবদন্তি শিল্পী মিঠুন বাবু স্বয়ং তাকে এই সিনেমার জন্য নির্বাচন করতে বলেছিলেন পরিচালককে। এই ছবিতে দেখানো হচ্ছে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে চলছে এক বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা। আর সিনেমার মূলত এই বিষয়কে নিয়েই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি জানান, কোনো সম্পর্কে কেউ একেবারে সম্পূর্ণ সঠিক হয় না। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য বোঝাপড়া, ভালোবাসা ভীষণ দরকার।

অভিনেত্রী আজকালকার দিনের সম্পর্কের তুলনা টেনে বলেন, ইদানিং কোনো স্বামী বা স্ত্রীয়ের মধ্যেই মেনে নেওয়া বা মানিয়ে নেওয়া এই ব্যাপারটা দেখতে পাওয়া যায় না, ফলত কিছুদিনের মধ্যেই বিবাহবিচ্ছেদের সম্মুখীন হয়ে তারা। সম্পর্ক নিয়ে অভিনেত্রী বললেন, “আজ বিয়ে ভাঙলে কি কাল গোলাপ ছড়ানো রাস্তা পাবো?” এটা কখনোই হয় না বরং আগামী দিনে যে মানুষটা জীবনে আসবে সেই আগের মানুষটার থেকে আরো খারাপ হতে পারে।

“সব মানুষের মধ্যেই কমতি রয়েছে, তোমাকে মেনে মানিয়ে নিতে হবে”, বললেন অঞ্জনা। “মেনে এবং মানিয়ে নেওয়ার মধ্যে হেরে যাওয়া নেই বরং জিতে যাওয়াই রয়েছে” সম্পর্ক নিয়ে এমনটাই চিন্তাধারা রাখেন অভিনেত্রী। অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনে নীরবতা নিয়ে অভিনেত্রী বললেন একা থাকতে তিনি ভীষণ ভয় পান তাই বাড়িতে থাকলেও অনবরত নিজেকে কাজের লিপ্ত রাখতে পছন্দ করেন।

আরও পড়ুনঃ “নিজের দেশের পরিস্থিতিতে মুখ খোলে না, অথচ যে দেশ ভারতকে নিত্য গালিগালাজ করছে সেই বাংলাদেশের ‘কাচ্চি’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ রিয়াজ-অনিন্দ্য! সোশ্যাল মাধ্যমে কটাক্ষ নেটিজেনদের !

আর জীবনের কোনো কিছুর অপেক্ষা নিয়ে জিজ্ঞাসা করাতে অভিনেত্রী বললেন ছেলে এবং স্বামীর বাড়ি আসা নিয়ে অপেক্ষায় তিনি আজও করেন। কিন্তু এমন একটি মানুষের অপেক্ষায় আজও রয়েছেন যার কোনো ফেরার আশা নেই তিনি হলেন অঞ্জনার মা। না ফেরার দেশে চলে গেছে অভিনেত্রীর মা। অবশেষে এই সিনেমা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী রয়েছেন ছবির কলাকুশলী সহ পরিচালক এবং প্রযোজক।