একসময় ছিলেন ছোট পর্দার মিষ্টি মেয়ে, এখন তিনি মিষ্টি মা এবং তার থেকেও বড়, একজন ‘কন্টেন্ট ক্রিয়েটর’ (Content Creator) ! হ্যাঁ, কথা বলছি অভিনেত্রী ‘মধুবনী গোস্বামী’ (Madhubani Goswami) কে নিয়ে। সংসার ধর্ম, সন্তান লালনপালন, ঠাকুর পূজো, পার্লার ব্যবসা, এই সবকিছুর মাঝে কখন কী নিয়ে ভিডিও বানাতে হবে সেই ব্যপারটা বেশ ভালোভাবেই রপ্ত করে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু এবার যেন একটু তাল হারিয়ে ফেললেন অভিনেত্রী, ফলে যা ঘটে গেল তা নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়!
সম্প্রতি মধুবনীর ঠাকুর দাদা প্রয়াত হয়েছেন। পরিবারের এই শোকের সময় মানুষ যেখানে কিছুদিন অন্তরালে চলে যায়, সেখানে অভিনেত্রী ঠিক তখনই ফেসবুকে পোস্ট করে বসলেন একটি ভিডিও। ভিডিওতে ‘ওম শান্তি’ লিখে শুরু হলেও, মুহূর্তের মধ্যে তা পরিণত হলো একটি ‘কনটেন্ট’-এ। অভিনেত্রী সেখানে ভাগ করে নিলেন, দাদুর সাথে ছোটবেলার স্মৃতি, তাঁর সাথে কাটানো বিশেষ মুহূর্ত, ইত্যাদি। মধুবনী আরও বললেন, তিনি নাকি কষ্ট প্রকাশ করতে পারেন না।
কাঁদতেও পারেন না, এমনকি ভিডিওটি বানানোর কোনও প্ল্যান ছিল না, হয়তো ভবিষ্যতে ভিডিওটি ডিলিট করে দেবেন। দাদুর মৃত্যু তাও কিনা কনটেন্ট! কষ্ট দেখাতে পারেনা কাউকে, কিন্তু ক্যামেরার খুলতেই অনায়াসে বলে গেলেন সবকিছু! নেটিজেনদের একাংশের চোখে এ যেন স্পষ্ট ভণ্ডামি! কেউ বলছেন, “এই স্পর্শকাতর বিষয়েও যদি ক্যামেরা অন করতে হয়, তাহলে তো কন্টেন্টই জীবন!”
আবার কেউ ঠাট্টা করে লিখেছেন, “মধুবনী এমনিতে নাকি কাঁদতে পারেন না, কিন্তু ভিডিও বানানোর সময় কষ্টের অভিনয় করতে বেশ ভালোই পারেন!” কেউ তো আবার প্রশ্ন তুলেছেন, “ঠাকুর দাদার মৃত্যু কি ‘টাকা’ কামানোর উপাদান?” এই ভিডিও সামনে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে তৈরি হয়েছে দুই দল! একদল সহানুভূতিশীল, অন্যদল কড়া সমালোচক। অভিনেত্রীর কান্না, মুখ ঢেকে আবেগে ভেসে যাওয়ার সেই মুহূর্তকে কেউ কেউ আবার বলেছেন ‘নাটকীয় ও সুপরিকল্পিত’।
আরও পড়ুনঃ শুটিংয়ের ফাঁকে পড়াশোনা, বোর্ড পরীক্ষায় বাজিমাত ‘আরশি’র ওরফে মোহনার! রেজাল্টে কি খুশি ‘তুই আমার হিরো’র নায়িকা?
অভিনেত্রী নিজেই ভিডিওতে বলে ফেলেছেন, ভবিষ্যতে এই ভিডিও মুছে দিতে পারেন, আর এই বক্তব্যেই যেন ধরা পড়ে গেছে তার অস্বস্তি। সব মিলিয়ে মধুবনীর ভিডিও যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিল—এই প্রযুক্তির যুগে দুঃখও একটা কনটেন্ট! বাস্তবে যিনি দাবি করেন দুঃখ প্রকাশ করতে পারেন না, কিন্তু ক্যামেরা অন হলেই আবেগ, স্মৃতি, কান্না—সবকিছুই করে ফেলেন, e যেন এক স্ক্রিপ্টবিহীন বাস্তবতায়! প্রশ্ন এখন একটাই কনটেন্টই কি জীবন?