আজ অবশেষে সমস্ত অভিমান কাটিয়ে স্বতন্ত্র মনের কথা খুলে বলল কমলীনিকে। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে আজকের এপিসোডে দেখা যাবে, অনেক ঝামেলার পর শেষমেষ কমলীনি গেছে ফোটোগ্রাফির ক্লাসে। আর সেখানে গিয়েই দেখা হয়েছে একদল ছেলেমেয়েদের সঙ্গে। এই ছেলেমেয়েদের আবদার কমলীনির অ্যাওয়ার্ড সিরিমনিতে তাঁরা যেনো যেতে পারে।
এমন সময়, স্বতন্ত্রকে তাঁরা দূর থেকে দেখতে পায় আর ছুটে গিয়ে তাঁকে বলে, কমলীনির এই প্রাপ্তির জন্য খাওয়াতে হবে। আরও বলে, সে (কমলীনি) যেনো একটু সেজেগুজে থাকে। এক কথায় ছেলেমেয়েগুলো তাঁদের স্বামী-স্ত্রী ভাবছিল। এরপর, ছেলেমেয়েগুলো চলে যাওয়ায় তাঁদের কথা এবং ইঙ্গিতে খুবই অস্বস্তিবোধ করছিল কমলীনি। কারণ, ওরা স্বতন্ত্রদের স্বামী-স্ত্রী ভেবেছে, অবশ্য এতে নতুনের কোনো অসুবিধা হয়নি।
এরপর, নতুন তার বৌঠানের সঙ্গে মন খুলে দুটো কথা বলতে থাকে। প্রথমে, নতুন তাঁকে নিয়ে গিয়ে একটা রেস্টুরেন্ট-এ বসতে চাইলেও সে রাজি হয়নি। এরপর, সংসারের জটিলতা থেকে প্রেম, ভুল বোঝাবুঝি, ভালোলাগা-ভালোবাসা সবটা নিয়েই তাঁরা রাস্তাতে দাঁড়িয়েই আলোচনা করতে থাকে।
নতুন বলে, সে খুব খুশি হয়েছে কমলীনি এই ক্লাসে আসছে বলে। এদিকে, আবার কমলীনি বলে সবটাই হয়েছে তার জন্য। স্বতন্ত্র বলে, বুবলাইয়ের জন্য এখন তার আর ওবাড়িতে যাওয়া হয় না ঠিকই কিন্তু তার জন্য এমন ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হবে তাও ভাবেনি। এরপর, নতুন বলে সে তার বৌঠানের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগে।
আজ যেনো নতুন একের পর এক মনের কথা বৌঠানকে বলে নিজের চিন্তাভাবনাকে তুলে ধরে কমলীনির কাছে। ওদিকে, আবার কমলীনিও তাঁকে বলে, সে চেয়েছে নতুন ঠাকুরপো যেনো বিয়ে করে। কিন্তু, এই শুনে নতুন বলে বৌঠান যেমন তাঁকে বিয়ের কথা বলেছে, তেমনই তাঁরই জন্য বিয়ে করেনি এটাই ঠিক। কারণ, স্বতন্ত্র তাঁর বৌঠানকে ভালোবাসে। আর, এই ভালোবাসাতে কোনো খাত নেই যেমন তেমন এই ভালোবাসা সমাজের সামনে স্বীকারও করা যায় না।
উল্টোদিকে, কমলিনী স্বতন্ত্রর মতো মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারলেও সেও মনে মনে নতুনকে ভালোবাসে আর এই কথাটা সে জানে। এরপর, নতুন কমলীনিকে গাড়ি করে বাড়ি পৌঁছে দিতে চাইলে সে যেতে চায় না। তাই, কমলীনি হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরের দিন সকালবেলা ব্রেকফাস্ট টেবিলে কুর্চি মিটিল-বাবিনের বিয়ের কথা তোলে।
আরও পড়ুনঃ দুঃসংবাদ! শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী চিত্রা সেন! কণ্ঠেও নেই আর চেনা দাপট! অভিনয় থেকে কী তবে চিরতরে বিদায়? কি জানিয়েছে পরিবার?
কুর্চি বলে, একবার তাঁদের বাবিনদের বাড়িতে যাওয়া উচিত। এমন সময়, ঠাম্মি বলে বাবলির বিয়ে হবে তো ঠিকই কিন্তু পরবর্তীকালে নাতপু যদি নিজের চরিত্র পাল্টে ফেলে কিংবা সংসার ভাঙতে চায় তাহলে খুব মুশকিল হবে। এই শুনে বর্ষা রেগে যায় আর জিজ্ঞাসা করে, এই কথাটা কি তাকে বলা হয়েছে? এমন সময়, কুর্চিও বলে, ‘পড়ল কথা সবার মাঝে যার কথা তার মায়া বাজে’। এরপর, নানান কথায় বর্ষাকালে এমনিতেই বাবিন ও মিটিল তাকে পছন্দ করে না তাই কোন অধিকারেই সে যাবে? এরপর, কমলীনি বলে আগামী রবিবার তারা মিটিলদের বাড়িতে যাবে।