ঘুম থেকে উঠে হঠাৎই হাতে-পিঠে দেখা যাচ্ছে নখের আঁচড়! কোথাও আবার টব ভেঙে পড়ছে, ছবির ফ্রেম গুঁড়িয়ে যাচ্ছে রাতের অন্ধকারে। বাড়িতে না থাকলেও, ফিরে এসে এসব দেখে স্তম্ভিত রণজয় বিষ্ণু। সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে অভিনেতা এই অদ্ভুত ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনেন। বাড়ির ভিতরে এমন একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনা রীতিমতো আতঙ্কে রেখেছে তাঁকে।
রণজয়ের দাবি, গত তিন থেকে চার মাস ধরে এই অদ্ভূতুড়ে ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। শুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে বেশিরভাগ সময় তিনি বাড়ির বাইরে থাকেন। কিন্তু তবু তাঁর অনুপস্থিতিতেই ঘটছে একের পর এক ‘অলৌকিক’ কাণ্ড। অভিনেতা বলেন, “বাড়িতে ফিরে দেখি টেবিলের উপর রাখা টব পড়ে ভেঙে গিয়েছে। আবার দেখি আমার ঘরের দু’টো ছবির ফ্রেমও মাটিতে ভেঙে পড়ে রয়েছে। এমনকি সব জানলা-দরজা বন্ধ করেই বেরোই, বাড়িতে কোনও পোষ্যও নেই। তাহলে এগুলো হচ্ছে কীভাবে?”
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে কয়েকদিন আগে। ঘুম থেকে উঠে রণজয়ের হাতে ও পিঠে পাওয়া যায় নখের আঁচড়ের দাগ। অথচ রাতে ঘুমোনোর আগে তাঁর গায়ে কোনও দাগ ছিল না। অভিনেতা জানান, “আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। কেউ যদি কিছু বুঝতে পারেন, একটু সাহায্য করুন।” এই ঘটনার পর অনেকেই আশঙ্কা করেন, তাঁর বাড়িতে কি তবে কোনও অতৃপ্ত আত্মা বা অদৃশ্য শক্তির প্রভাব পড়েছে?
এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির খবর পাওয়ার পর একটি বিশেষ প্যারানর্মাল ইনভেস্টিগেশন টিম পৌঁছয় রণজয়ের বাড়িতে। দলের অন্যতম সদস্য দেবরাজ সান্যাল এবং তাঁর স্ত্রী ইশিতা দাস সান্যাল, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অতিপ্রাকৃত ঘটনা নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরও তিন সদস্য—অনির্বাণ দাস, সোমাঞ্জন মুখোপাধ্যায় ও আয়ুশ মজুমদার। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবরাজ জানান, রণজয়ের ফেসবুক ভিডিও দেখেই তাঁরা যোগাযোগ করেন এবং পরবর্তীতে রণজয়ের আমন্ত্রণেই তাঁর বাড়িতে যান।
আরও পড়ুনঃ ‘২টো ডায়লগ বলেই ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চলে গেল!’—মানালিকে নিয়ে বি’স্ফো’রক মন্তব্য ইমনের, তবে কি এবার বন্ধুত্বে ফাটল ধরল?
তদন্তের পর দেবরাজ বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে যা দেখেছি, তাতে নিশ্চিতভাবে ভূতের উপস্থিতি বলা যায় না। এটা মানুষের ভয় থেকেও এমনটা হতে পারে। অনেক সময় মানসিক উদ্বেগ থেকেও এমন বিভ্রম হতে পারে। তবে আমরা রণজয়কে আশ্বস্ত করেছি, তাঁর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।” অর্থাৎ, আপাতত ‘ভূতের আতঙ্ক’ কাটিয়ে রণজয়কে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চাইছে এই বিশেষজ্ঞ দল। যদিও ঘটনাগুলিকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়াও সম্ভব নয়, বলছেন অনেকেই। পাঠকের মনে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—তবে কি সত্যিই কিছু রয়েছে রণজয়ের বাড়িতে?