“আমাদের দিদি নাম্বার ওয়ান একজনই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বাংলার নন, ভারতের দিদি নাম্বার ওয়ান!”— রচনার মন্তব্যে ফের উত্তাল নেটপাড়া! শুরু বিতর্ক, নেটিজেনরা বলছেন, ‘চাটুকারিতা’ ‘সস্তা রাজনৈতিক মন্তব্য!’

নব্বইয়ের দশকে তাঁর রূপ আর অভিনয়ের ঝলকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন দুই ইন্ডাস্ট্রিই। টলিউড (Tollywood) থেকে ওড়িয়া ছবি, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবিতে অভিনয় করে সেই সময়ের শীর্ষে ছিলেন অভিনেত্রী ‘রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Rachna Banerjee) । আজ বড় পর্দা থেকে কিছুটা সরে এলেও ছোট পর্দায় দাপট অটুট! জি বাংলার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ (Didi No.1) অনুষ্ঠানে তিনি হয়ে উঠেছেন সকলের প্রিয় ‘দিদি’। তবে এই প্রিয় মুখ আজ রাজনীতির (Politics) ময়দানে পা রেখে যেন বারবার বিতর্কেই নাম লেখাচ্ছেন।

বাংলার ঘরে ঘরে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ নামে পরিচিত হলেও, বর্তমানে রাজনৈতিক ময়দানে নামার পর থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিটা মন্তব্য যেন নেটিজেনদের চোখ রাঙানি কুড়োচ্ছে। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের তরফে রচনাকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলা টেলিভিশনের দীর্ঘতম রিয়েলিটি শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর সঞ্চালিকা হিসেবে, তাঁর চোখে আসল দিদি নাম্বার ওয়ান কে? বিন্দুমাত্র সময় না নিয়ে রচনার জবাব, “আমাদের দিদি নাম্বার ওয়ান একজনই আছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুধু বাংলার নয়, গোটা ভারতের দিদি নাম্বার ওয়ান।”

ব্যস! নেত্রী হিসেবে মঞ্চে উঠে রচনার এহেন ‘দিদিভক্তি’ শুনে চমকে উঠেছেন বহু দর্শক। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, জনপ্রিয়তা আর রাজনৈতিক আনুগত্য কি এইভাবেই গুলিয়ে ফেলা যায়? এই উত্তর শুনেই সামাজিক মাধ্যম কার্যত ফেটে পড়েছে প্রতিক্রিয়ায়। যে মানুষটিকে এক সময় পর্দায় দেখে হাততালি দিয়েছে বাংলা, যাঁর মুখের হাসিতে দুঃখ ভুলেছে বহু দর্শক, সেই রচনাকে আজ ‘সস্তা রাজনৈতিক মন্তব্য’ করে হাসির খোরাক হতে দেখে অনেকেই দুঃখ পাচ্ছেন। জনপ্রিয়তা আর দায়িত্বের মাঝে একটা ভারসাম্য থাকা উচিত—এমনটাই মত নেটিজেনদের।

তাঁদের প্রশ্ন, “রিয়েলিটি শো-এর ‘দিদি’ হয়ে মঞ্চ মাতানো আর রাজনীতির ‘দিদি’ হয়ে রাস্তায় নামা, দুটোর ফারাক কি এখনও বোঝেন না রচনা?” তবে এখানেই শেষ নয়, কিছুদিন আগে গরম নিয়ে নিজের ‘ভোগান্তি’র কথা বলতে গিয়ে রচনা জানান, “গতবারের নির্বাচনের প্রচারের সময় খুব গরম পড়েছিল। আবার নির্বাচনের প্রচারে নামলেই, দেখবেন গরম কাকে বলে!” এই কথাটাই রীতিমতো মাথায় আগুন ধরিয়েছে নেটপাড়ার। কেউ লিখছেন, “জনগণের স্বার্থে রাস্তায় নামলে এইটুকু গরম সহ্য করতেই হবে!”

আরও পড়ুনঃ “বাবা এখনও বটগাছের ছায়ার মতো আগলে রেখেছে”— প্রতি দিনই ফাদার্স ডে, বাবার প্রশংসায় পঞ্চমুখ টলি অভিনেত্রীরা! ‘সুপারম্যান’ বাবার কথা বলতে গিয়ে আবেগে ভাসলেন মানালি ও শ্বেতা!

আবার কেউ কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “নেত্রী হতে গেলে মুখের গ্লো না, মাথার ঘাম দরকার হয়। সেলিব্রেটি লুক দিয়ে ভোট টানা যায়, কিন্তু জনসংযোগ হয় না!” রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক যেন রচনার নিত্যসঙ্গী। ইটভাটার ধোঁয়াকে কলকারখানা বলা হোক, কিংবা হুগলিতে এসে ‘ভালো দই’ খোঁজা, এমন আজব মন্তব্য শুনে অনেকেই ভাবেন, তিনি বোধহয় ভুল জায়গায় পা রেখেছেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

You cannot copy content of this page