কাজের লোকের বেশে কাজ করতে গিয়ে ধরা পরা থেকে বাঁচলো শুভ। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিককে আজকের পর্বে দেখা যাবে, সেবন্তী তাঁর নাতিকে নিয়ে মন খারাপের কথা বলছে আর সেই সময়ে ঘরে পূরবী এসে শুভর নামে নানান খারাপ কথা বলতে থাকে তাঁকে। এমন সময়, সেবন্তী শুভর পক্ষ নিয়ে কথা বলায় পূরবী বলে তাঁর ছেলের দিকে কেউই লক্ষ করে না।
এরপর, সেবন্তী পূরবীকে নিয়ে ভাবতে থাকে তাঁর মনে এত ক্ষোভ এটা সে এতদিন সংসার করেও বুঝতে পারেনি, এই কথা ভাবতে থাকে। এরপর, পূরবী ওই লাকিকে কাজ বোঝাবে বলে সেবন্তীকে রান্নাঘরে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর, কাজ করতে গিয়ে শুভ মনে মনে ভাবছে আজ এই চেনা রান্নাঘরে অচেনার মতো থাকতে হচ্ছে। আরও ভাবে, সে এই বাড়িতে যে কাজের জন্য শব্দ বিজ ধারণ করেছে সেই কাজে তাকে সাফল্য পেতেই হবে।
এমন সময়ে, শুভকে এসে বলে সেবন্তী চা বানাতে। এরপর, ছদ্মবেশী শুভকে নিয়ে ভাবতে থাকে সেবন্তী। কিন্তু, শুভ তাঁদের মন ঘোরাতে আর নিজের চরিত্রকে আরও দৃঢ় করে তুলতে রান্নাঘরের নানা মসলা নিয়ে কথা বলতে থাকে। এমন সময়ে, এই লাকিকে বাড়ির মেজো বউয়ের সন্দেহ হতে থাকে।
কিন্তু, এদিকে ঘরে আদি শুভর ফটো নিয়ে মন খারাপ করতে থাকে। এমন সময়, ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে মোহনা আদির সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তাঁর কথা বলার ইচ্ছা নেই। এরপর মোহনা আগেকার কথা তুলে এদিকে বলতে থাকে তারা কেমন রাতের পর রাত গল্প করে কাটাত। কিন্তু, এইসব কোনো কথাই শুনতে ভাল লাগে না আদির।
এরপর, শুভ কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠে আর এই সময়তেই তার খুব হজমিগুলি খেতে ইচ্ছে হয়। তাই, শুভ বাধ্য হয়েই ওপরে নিজের ঘরের দিকে যায় সেই হজমিগুলি খেতে। এমন সময়, আদিও ঘরের বাইরে যায় মোহনার সঙ্গে কথা বলতে। কথায় কথায়, মোহনা আদির কাছে অ্যাভোকাডো খেতে ইচ্ছা হয়। তাই, আদি সঙ্গে সঙ্গে শিরিনকে ফোন করে সেই অ্যাভোকাডোর ব্যবস্থা করে দেয়।
আরও পড়ুনঃ “লোকদেখানো আমার পছন্দ নয়, অনেক টাকাও মানসিক প্রশান্তি দিতে পারে না!” “খ্যাতি কিংবা বিলাসিতার মধ্যেই জীবনের সম্পূর্ণতা খোঁজা ভুল!”— নিজের চারপাশে পজিটিভিটি ছড়াতে বিশ্বাসী ঐশী! ছোট পর্দার ‘খনা’ বাস্তব জীবনে কেমন?
এরপর, ঘরে লাকিকে দেখে ধরে ফেলে আদি। আদি তাঁকে জিজ্ঞাসা করে সে কেন এ ঘরে এসেছে? এই সময়, লাকি বলে তাঁর জন্য কফি করে এনেছে। এরপর, কোনোরকমে শুভ সেখান থেকে সরে যায়। এদিকে, দেখা যায় আকাশ ফোন করে তাঁর বোনের খোঁজ নিচ্ছে। এমন সময়ে, সুনন্দা বলে আকাশ আজ যা করেছি তা ঠিক করেনি কারোর ঘর ভেঙে অন্য কারোর ঘর গড়ে তোলা যায় না। এই শুনে আকাশ বলে এ তার বনে চোখের জল সহ্য করতে পারে না। সে তাঁর বোনকে ন্যায় পাইয়ে দেবে। অবশেষে সেই লাকির দিয়ে যাওয়া কফি খেয়ে আদি মনে মনে ভাবতে থাকে এই কফির স্বাদ খুবই চেনা।