“দেব আর জিতের পর টলিউডে সুপারস্টার নেই! ওদের যুগ শেষের পথে, নতুন হিরো কোথায়?”— প্রশ্ন তুলেই ক্ষোভ প্রকাশ অভিনেতা সাগ্নিকের! টলিউডের বর্তমান পরিস্থিতি আর নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের হাল নিয়ে সরব অভিনেতা!

ছোট-বড়পর্দা সর্বত্রই তাঁর জনপ্রিয়তা। দাপুটে খলনায়ক থেকে শুরু করে চরিত্রাভিনেতা, অভিনয়ে তাঁর সাবলীলতা বারবার ধরা পড়েছে। তিনি হলেন টলিউড (Tollywood) অভিনেতা ‘সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়’ (Sagnik Chatterjee)। ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে হিরো হবেন, মিঠুন চক্রবর্তী ছিলেন তাঁর সেই অনুপ্রেরণা। বাবা বড় ব্যবসায়ী, চেয়েছিলেন ছেলেও সেই ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাক। কিন্তু তিনি পড়াশোনা মাঝপথেই বন্ধ করে দেন অভিনয়ের টানে। এরপর একাধিক ছবি এবং বর্তমানে ধারাবাহিকেও অভিনয় করছেন তিনি। কিছুদিন আগেই ‘একেন বেনারসে বিভীষিকা’ ছবিতে তাঁকে দেখা গেছে।

এদিন তিনি এক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন বর্তমানে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির উদাসীনতা এবং নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সমাজ মাধ্যমে আসক্তি নিয়ে। তিনি বলেন, “আমাদের সময়ে নতুন কোনও কাজে গেলে ভয় লাগত, যে সামনে এত অভিজ্ঞ সব অভিনেতা-অভিনেত্রীরা থাকবেন আর আমি যদি কিছু ভুল করে ফেলি। এমনকি আমার আজও নতুন কাজের প্রথমদিন হাত পা কাঁপে, বুক ধড়পড় করে। কিন্তু এই নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যেন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী।

রিল করার সময় আছে তাঁদের কাছে, তার জন্য উপযুক্ত গান খোঁজার সময় আছে, তবু অভিনয়ের স্ক্রিপ্টটা পড়ার বেলায় অনীহা। সেটার প্রতিফলন তাঁদের অভিনয়েই ফুটে ওঠে।” এছাড়াও তিনি বলেছেন, “আমাদের সময়ে একটা ছবির কাজ হতো এক থেকে তিন মাস ধরে, এখন পনেরো-কুড়ি দিনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সময় একদিনে একটাই সিন শুট হতো, ফলে বারবার সংশোধন করে নিখুঁত দৃশ্য তুলে ধরা যেত দর্শকদের কাছে।

এখন একদিনে সাত থেকে দশটা দৃশ্যের শুটিং হয়, তার কারণে পুরোটাই ধর তক্তা মার পেরেক অবস্থা।” তাঁর আরও ক্ষোভ ইন্ডাস্ট্রির নতুন হিরো তৈরির ক্ষেত্রে যে উদাসীনতা রয়েছে, তাকে ঘিরে। তিনি বলেন, “একটা সময়ে মানুষ যাদের জন্য হলের টিকিট পেতে মারপিট করত, তাঁরা কোথায়? এখন আর ক’টা লোক যায় সিনেমা হলে? কেনই বা যাবে, দেব আর জিতের পর টলিউডে আর কোনও সুপারস্টার হয়েছে?

আরও পড়ুনঃ স্বামীর থেকে আলাদা থাকছেন অভিনেত্রী? ডিভোর্সের জল্পনায় মুখ খুললেন শ্রীপর্ণা রায়! স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে কি বললেন তিনি?

ভিন্ন ধারার ছবি অবশ্যই তৈরি হওয়া দরকার, কিন্তু সেটা সবাই গ্রহণ করে না বরং উচ্চ মধ্যবিত্তরা মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে দেখে। কটা সিঙ্গেল-স্ক্রিন আছে শহরে? দিনমজুরের কাজ করা লোকটার পক্ষে সম্ভব মালটিপ্রেক্সে গিয়ে হাজার টাকা ওড়ানো? সাধারণ জনগণের জন্য কমার্শিয়াল ছবি বানাতে হবে, নতুন সুপারস্টার তৈরি করতে হবে। বিনিয়োগ করতে হবে, তবেই টলিউডের হাল ফিরবে।”

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।