স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় মিঠি বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যায় একটা ক্যাফেতে। শেখানে বন্ধুরা মিঠিকে প্লুটো আর মৌ এর কথা জিজ্ঞেস করতেই মিঠি রেগে যায়। পরিষ্কার করে মিঠি জানিয়ে দেয়, প্লুটো একজন মেরুদণ্ডহীন এবং চরি’ত্রহীন যার সঙ্গে তাঁর আর কোনও সম্পর্ক নেই। সেই সময় ক্যাফেতে উপস্থিত হয় প্লুটো। নিজের কানে সবটা শুনে, মিঠিকে বোঝাতে আসে সে।
মিঠিকে প্লুটো বলে, সব সময় চোখে যেটা দেখা যায় সেটা সত্যি হয় না। আর প্লুটোর বিশ্বাস ছিল মিঠি তাকে চোখ দিয়ে নয়, মন দিয়ে দেখবে। মিঠি কিছুতেই আর প্লুটোর কথায় আশ্বস্ত হয় না, এক মুহূর্তও সেখানে না থেকে বেরিয়ে যায়। এদিকে বাড়িতে অনেক রাত করে কমলিনী ফিরলে চন্দ্র এবং তার মা অনেক কথা শোনাতে থাকেন। এমনকি চন্দ্রও অধিকার ফলাতে চাইছে কমলিনীর উপর।
আলমারিতে সম্পত্তির দলিল না খুঁজে পেয়ে কমলিনীকে প্রশ্ন করেন শাশুড়ি। কমলিনী জানিয়ে দেয়, সে ওটা তার আসল মালিকের কাছেই ফিরিয়ে দিয়েছে। চন্দ্র আবার কথা শোনাতে এলে, কমলিনীর পাল্টা জবাবে সে বলে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। কিন্তু বুবলাই আর বর্ষা আপত্তি করে চন্দ্রের চলে যাওয়া নিয়ে। বুবলাই বলে, চন্দ্র এখানেই থাকবে তাঁদের বাবা হয়ে। বরং তৃতীয় ব্যক্তির কোনও জায়গা নেই।
চন্দ্রের মা চান নিজের ভাগের সম্পত্তি চন্দ্রকে হস্তান্তর করতে, নাহলে ভবিষ্যতে তাঁকে কেউ তাড়িয়ে দিতে পারে। বুবলাই আবার বলে, এই বাড়ি থেকে তাদের কেউ বের করতে পারবে না। আর যদি দরকার হয় তো কোর্টে মামলা করবে সে। কমলিনী বলে, এই বাড়ি প্রথমত তাঁদের নয় আর বর্ষাকে নিয়ে তাঁর চলে হওয়ার কথা থাকলেও আজও সে যায়নি। এমন সময় মিটিল নতুনকে নিয়ে উপস্থিত হয়।
আরও পড়ুনঃ শেষরক্ষা হল না! আদৃতের চোখে ধরা পড়ল শুভ, ‘গৃহপ্রবেশ’-এ তুঙ্গে উত্তেজনা!
নতুনকে দেখেই চন্দ্রের মা প্রশ্ন করেন, যদি বাড়িটা পুরোটাই কমলিনীকে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল, তাহলে কেন অর্ধেক তাঁর নামে করেছিল? নতুন বলে, ভুল করেছিল সেটাকেই এবার শুধরে নেব। কিন্তু বুবলাই বলে, আসলে এই বাড়িটা কমলিনীর নামে করার উদ্দেশ্য ছিল তাদের বাবার জায়গা নেওয়া আর সুখে সংসার করা। নতুনের সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায়, বুলাইকে চড় মেরে তাঁর নিজের জায়গা দেখিয়ে দেন তিনি।