“আমি কাউকে বলিনি আমার মতো সন্তান মানুষ করুক!”— ছেলেকে কড়া নিয়মে বড় করার অভিযোগে নেটিজেনদের চোখে ‘টক্সিক মা’ অঞ্জনা! এবার ট্রোলারদের একহাত নিলেন পর্দার ইন্দ্রাণী!

বরাবরই খুব স্পষ্টভাষী অভিনেত্রী ‘অঞ্জনা বসু’ (Anjana Basu)। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা কিংবা সামাজিক পরিস্থিতি—সব কিছু নিয়েই অকপটে নিজের মত প্রকাশ করে থাকেন তিনি। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের ছেলেকে বড় করে তোলার পদ্ধতি নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, কঠোর শাসনের মধ্যেই তিনি ছেলেকে মানুষ করেছেন। তাঁর এই বক্তব্যই এখন সমাজ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।

অনেকে তাঁর এই মনোভাবকে ‘টক্সিক পেরেন্টিং’ (Toxic Parenting) বলে অভিহিত করছেন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ‘কুসুম’ (Kusum) ধারাবাহিকে দুই সন্তানের মায়ের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অঞ্জনাকে। ধারাবাহিকের গল্প মূলত পারিবারিক মূল্যবোধ ও সন্তান প্রতিপালনের নানা দৃষ্টিভঙ্গিকে কেন্দ্র করে। সেই প্রেক্ষিতেই সাক্ষাৎকারে ছেলেকে বড় করার বিষয়ে নিজের মত জানান তিনি। নিজেও আশা করেননি, যে এটা নিয়ে এমন বিতর্ক তৈরি হতে পারে।

কিন্তু দর্শকদের একাংশ তাঁর বক্তব্যকে ঘিরে যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, তা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় এবং কে কী বলছে তা নিয়ে তিনি মোটেও বিচলিত নন। সমাজ মাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন, আধুনিক প্রজন্মের ক্ষেত্রে এমন কড়া শাসন মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। কেউ কেউ লিখেছেন, “দমবন্ধ করে সন্তান বড় করার কোনও মানে হয় না।”

আবার কেউ বলেছেন, “আপনি সত্যিই একজন টক্সিক মা!” এইসব মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে অঞ্জনা বলেন, “আমি কাউকে বলিনি আমার মতো সন্তান মানুষ করতে। তাই আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে কারও মন্তব্য শুনতে ইচ্ছুক নই।” অভিনেত্রী আরও জানান, তাঁর ছেলে বর্তমানে বিদেশে থাকে। স্কুল পাশ করার পর থেকেই সে বাইরে চলে যায়। কলকাতায় থাকাকালীন রাত ৯টার পর বাড়ির বাইরে থাকার অনুমতি ছিল না তার। কিন্তু সেই নিয়মকানুনের মধ্যেই ছেলে গড়ে উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ বলিউডে যেতেই কি প্রেমে পড়েছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়? সংসার ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেনো অভিনেত্রী!

অঞ্জনা স্পষ্ট করে দেন, তিনি কড়া শাসনের পাশাপাশি ছেলেকে ভালবাসা, স্নেহ, বন্ধুত্বের মিশেলে মানুষ করেছেন। এই গোটা ঘটনায় পরিষ্কার, সামাজিক মাধ্যমের একাংশের মত কখনওই সবার মনোভাবকে প্রতিফলিত করে না। অঞ্জনা বসু যেমন নিজের সিদ্ধান্তে অটল, তেমনই ব্যক্তিগত জীবনকে নিয়ে অন্যের মন্তব্যে বিচলিত হওয়ার মানুষ তিনি নন। একজন মা হিসেবে নিজের পথে হাঁটতে গিয়েই হয়তো কিছু সমালোচনার মুখে পড়েছেন, কিন্তু তাতেও তিনি আজও আত্মবিশ্বাসী।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।