কমলিনীর বিরুদ্ধে বুবলাইয়ের মনে আরও বিষ ঢালছে চন্দ্র-বর্ষা! ‘চিরসখা’য় নতুনকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চায় চন্দ্র! মায়ের প্রেম মেনে নিতে না পেরে বিপদে বুবলাই, মৃ’ত্যুর নাটকের ছক!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আদালতে মামলার শুনানি শুরুর আগে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছে কমলিনী, নতুন এবং মিটিল। এক কাপ চা-কে সাক্ষী রেখে তিনজন মিলে গল্প করতে করতে অনুমান করে যে, কোর্টের রায় কোনদিকে গড়াবে। মিটিল জানিয়ে দেয় যে, আজকের শুনানিতে সে থাকতে পারবে না। কারণ তাকে শহরের বাইরে জরুরি কাজে যেতে হচ্ছে। তবে সে প্রতিশ্রুতি দেয়, আগামী দিনের শুনানির আগে সে অবশ্যই ফিরে আসবে।

কমলিনী কথায়, তাঁর জীবনের কঠিন মুহূর্তে মিটিল যেভাবে তার পাশে দাঁড়িয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। শুধু নতুন কিংবা কুর্চি নয়, মিটিলও হয়ে উঠেছে এক প্রকৃত বন্ধু, একান্ত সহায়। মিটিল স্বীকার করে, সে নতুন আর কমলিনীর সম্পর্কের গভীরতাকে বরাবরই সম্মানের চোখে দেখে এসেছে। পুরীর সফরেই সে বুঝে গিয়েছিল, এই দুইজনের সম্পর্ক নিছক প্রেম নয়—ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার মিশ্রণে তৈরি এক জটিল অথচ মধুর বন্ধন।

এই দিকে কমলিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বুনে চলেছে চন্দ্র, বুবলাই এবং বর্ষা। চন্দ্র কৌশলে নিজের ছেলেকে প্রভাবিত করছে। মায়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বুবলাই এমনকী আ’ত্মহ’ত্যার কথাও বলতে শুরু করেছে। চন্দ্র তাকে ঠান্ডা মাথায় বোঝাচ্ছে, সত্যিই মর’তে হবে না—মৃ’ত্যুর অভিনয় করলেই চলবে। এই কথায় প্রথমে থমকে গেলেও ধীরে ধীরে বুবলাই বাবার ফাঁদে পা দিতে শুরু করে।

সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো, চন্দ্র এবার নতুনকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষছে! তার কথায়, যদি নতুনকে একবার রাস্তাচ্যুত করা যায়, তাহলে এই গোটা সমস্যার মূলে আঘাত হানা যাবে। বুবলাইকে কাজে না লাগিয়ে বাইরে থেকে কিছু লোক দিয়ে এই কাজ সারতে চায় চন্দ্র। যদিও বুবলাই এখনও মন থেকে এতটা অন্ধকারে নামতে চায় না, কিন্তু বর্ষা আর চন্দ্রের লাগাতার মানসিক প্রভাবে সে বিভ্রান্ত হতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুনঃ বাংলা ভাষা আন্দোলনের মঞ্চে প্রসেনজিৎ! অতীতে বলেছিলেন ‘‘বাংলায় কথা বলা দরকার কি?’’ এবার “বাংলা ছিল, আছে, থাকবে” ঘিরে তুমুল বিতর্ক! ‘ভূতের মুখে রাম নাম!’ ‘দ্বিচারিতারও একটা সীমা থাকে!’ ‘নিজে বাংলায় লজ্জা পায়, সে করবে রক্ষা!’— পাল্টা কটাক্ষ সমাজ মাধ্যমে!

এইসব চক্রান্ত আর দ্বন্দ্বের মাঝে দাঁড়িয়ে বড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—বুবলাই শেষমেশ আদালতে কী সাক্ষ্য দেবে? সে কি চন্দ্র ও বর্ষার প্ররোচনায় মায়ের বিরুদ্ধে যাবে? নাকি শেষ মুহূর্তে মায়ের প্রতি ভালোবাসা তাকে সত্যের পথে দাঁড়াতে বাধ্য করবে? চিরসখার গল্প এখন এমন এক বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে প্রতিটি চরিত্রের সিদ্ধান্ত বদলে দিতে পারে কাহিনির মোড়। উত্তর মিলবে আপাতত আগামী পর্বেই।