জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর (Chirodini Tumi Je Amar) অনস্ক্রিন জুটিকে ঘিরে সম্প্রতি এক বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। অভিনেতা ‘জীতু কামাল’ (Jeetu Kamal) একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সহ-অভিনেত্রী ‘দিতিপ্রিয়া রায়’কে (Ditipriya Roy) নিয়ে। যার ক্যাপশন ছিল প্রেমঘন, যদিও অভিনেতার দাবি—এটি কেবল প্রযোজকের অনুরোধে ধারাবাহিকের প্রচারের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ঘোরতর হয়েছে, যখন এই পোস্ট ঘিরে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন দিতিপ্রিয়ার মা সহ অনেকে, এবং দিতিপ্রিয়াও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে গুঞ্জন।
এরপর জীতুর স্পষ্ট ইঙ্গিত করেন, একটি পেশাদার পোস্টকেও দিতিপ্রিয়া হালকা ভাবে নিতে পারেনি, যার জেরে তৈরি হয়েছে অকারণ দূরত্ব। ফলে এখন শুটিং ফ্লোরে দুই তারকার মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্কের চিহ্ন নেই, বরং জীতু বেশ একাকীভাবেই কাজ সারছেন। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর এবার গর্জে উঠেছেনা দিতিপ্রিয়া! সহ-অভিনেতাকে কেন্দ্র করে সমাজ মাধ্যমে বিস্ফোরক অভিযোগে মুখ খুললেন তিনি। জীতুর পোস্ট করা বিতর্কিত সেই ছবি পরে নাকি ডিলিট করে দেন অভিনেতা।
দিতিপ্রিয়ার দাবি, তিনি কেবল প্রোডাকশন হাউজকে জানিয়েছিলেন ছবিটি তাঁর ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দের— কারণ সেটি ছিল ‘ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট’। কিন্তু তাঁর অজান্তেই ইন্টারভিউতে জীতু নাকি বলে বসেন, ছবিটিতে অশালীন মন্তব্য দেখে দিতিপ্রিয়া কষ্ট পেয়েছেন। এই ‘ভুল বক্তব্য’ ঘিরেই অভিনেত্রী ক্ষুব্ধ। লম্বা পোস্টে দিতিপ্রিয়া লেখেন, তিনি কখনওই কোনও ‘নোংরা’ কমেন্টের অভিযোগ করেননি। কিন্তু পরবর্তীতে ‘স্পন্টেনিয়াস হ্যান্ডেল’ করতে না পারা নিয়ে নানা কথা শুনতে হয়েছে তাঁকে।
এখানেই থেমে থাকেননি অভিনেত্রী। তিনি বলেন, এক মাস শ্যুটিং করার পর থেকেই তাঁর কো-অ্যাক্টর আর তাঁর সঙ্গে কথাই বলেন না। শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপেই যোগাযোগ রাখেন। এমনকী একবার নাকি জীতু তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে? তুমি কি প্রেগন্যান্ট?’’— যা শুনে স্তব্ধ হয়ে যান দিতিপ্রিয়া। এই সমস্ত কিছু ধীরে ধীরে এতটাই অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে যে, তাঁর পরিবার পর্যন্ত টের পায় সেই চাপ। দিতিপ্রিয়ার আরও অভিযোগ, গভীর রাতে একটি এআই-তৈরি ছবি পাঠান জীতু, যেখানে তাঁদের দু’জনকে চুম্বনের ভঙ্গিমায় দেখা যাচ্ছে।
View this post on Instagram
সঙ্গে জীতু লেখেন, “বেশ হয়েছে, এটা বয়ফ্রেন্ডকে পাঠাও, এই রাতেই ব্রেকআপ হয়ে যাবে।” আরেকবার অভিনেত্রী মেসেজ পান, ‘‘তোমার সঙ্গে কথা আছে, যেন তোমার মা না জানতে পারেন। কাকিমাকে আমি ভয় পাই।’’ এইসব অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো অনেকদিন পর্যন্ত তিনি উপেক্ষা করেছেন বলে জানান। আরও জানান, সেটে বহুবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা জানতেন অনেকেই, তবু কেউ মুখ খোলেননি। অভিনেত্রীর সাফ কথা, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং করবেনও না। সবশেষে দিতিপ্রিয়া মনে করিয়ে দেন, তিনি প্রোমোশনের কৌশল বোঝেন।
আরও পড়ুনঃ দু’বেলা দুমুঠো খাওয়ার পর্যন্ত ক্ষমতা ছিলনা! তীব্র আর্থিক অনটনেও মা আমাদের বুঝাতে দেননি যে আমাদের কিছু নেই! খলনায়িকা হয়েও জীবনে নায়িকা, জানুন অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষের শৈশবের কাহিনী!
কিছুদিন আগেই ‘ডাকঘর’-এর প্রচারের জন্য ঘনিষ্ঠ ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, “ইটস অফিসিয়াল”। তাহলে কেন ‘স্পন্টেনিয়াস’ শব্দ উঠছে —সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। শেষে লেখেন, “দ্বিচারিতা একেবারেই অপছন্দ।” এদিকে জীতুকে আর কোনও দর্শক বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাঁদের অধিকাংশের কথা, “জিতু তো ক্যারেক্টারলেস এজন্যই নবনীতার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছে। অহংকারী, প্রতিপক্ষ চ্যানেলের সিরিয়ালকে পিঞ্চ মেরে কথা বলে।” খবর অনুযায়ী, হয়তো শীঘ্রই ধারাবাহিক থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন দিতিপ্রিয়া। অনুরাগীরা পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রীর। এখনও পর্যন্ত জীতুর পক্ষ থেকে কোনও পাল্টা প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।