বাংলা আধুনিক গানের জগতে এক অত্যন্ত পরিচিত ও জনপ্রিয় নাম হলেন শুভমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বৃষ্টিতে ভিজে এল মন’, ‘ফিরে দেখা’, ‘ইচ্ছে পাড়ি’, কিংবা রবীন্দ্রসংগীত ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’—এই সমস্ত গান আজও শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায় তাঁর কণ্ঠে। তাঁর গলায় রয়েছে এক অভিজাততা, মেলোডি ও আবেগের সংমিশ্রণ যা একদম আলাদা। দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে বাংলা সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে রাজত্ব করে চলেছেন এই শিল্পী।
শুধু স্টেজ পারফর্ম্যান্স কিংবা স্টুডিওতেই নয়, শুভমিতা বরাবরই বিশ্বাস করেন, গানের মতোই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তও একেকটি সুর। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তাঁর সেই বাস্তব জীবনের কাহিনি, যা গানের বাইরে থাকা শুভমিতাকে আরও কাছের করে তুলেছে শ্রোতাদের কাছে। এই ইন্টারভিউতে তিনি জানান, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা তিনি এতদিন বলেননি। এবং সেই গল্পে অন্যতম অংশ ছিল ‘রান্নাঘর’!
গায়িকার ভাষায়, “বিয়ের পর শাশুড়ি মা আমাকে রান্না করতে দিতেন না। ওনারই ছিল রান্নাঘরের একচেটিয়া অধিকার।” যাঁর কণ্ঠে গান শুনে বহু মানুষ চায়ের কাপ হাতে আবেগে ভাসেন, তিনিই নিজে চাইলেও রান্না করতে পারেননি—এমন ঘটনাই জানান শুভমিতা। তবে এতে তাঁর কোনও আপত্তি ছিল না। বরং মুচকি হেসে বলেন, “আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম শাশুড়িমার হাতের জাদু!” এর মধ্যেই ধরা পড়ে এক বাঙালি পরিবারের আন্তরিক সম্পর্ক এবং পরম্পরার ছবি।
এই সময়টাই তাঁকে শিখিয়েছে কীভাবে পরিবারে মানিয়ে চলতে হয়, সম্পর্কের মানে বুঝতে হয়। গায়িকা বলেন, “শুধু গান নয়, জীবনও একটা তাল। সেই তালে সঠিক ছন্দে হাঁটতে শিখতে হয়।” শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের মধ্যে ছিল শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং বোঝাপড়ার মিশ্রণ। অনেকেই মনে করেন, যৌথ পরিবার মানেই দ্বন্দ্ব—তবে শুভমিতার অভিজ্ঞতা বলছে ঠিক তার উল্টো ছবি।
আরও পড়ুনঃ শাশুড়ির বিরুদ্ধে চ’ক্রা’ন্ত, বর্ষা-বুবলাই জোটের মুখোশ খুলল কমলিনীর উকিল! স্বতন্ত্রকে নিয়ে কুম’ন্তব্য, আদালতে জব্দ বুবলাই! বর্ষার মিথ্যে ফাঁস করতেই খেলা শেষ! বাড়ি এসে কমলিনীকে অপমান অনন্যার, মায়ের অপমানের প্রতিবাদে মিঠির হুঙ্কার!
আজকের দিনে যেখানে শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক নিয়ে নানা নেতিবাচক দৃষ্টান্ত সামনে আসে, সেখানে গায়িকার এই স্বীকারোক্তি এক পজিটিভ বার্তা দেয়। এটি শুধু একটি রান্না ঘিরে গল্প নয়, বরং এক নারীর সহনশীলতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং পারিবারিক মানসিকতার প্রতিফলন। শ্রোতারা যাঁর গানে খুঁজে পান মধুরতা, তাঁর জীবনের এই অধ্যায়ও অনুরণিত করল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সুরেই।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।