স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আবারও স্বতন্ত্র এবং কমলিনীকে নিয়ে টানাপোড়েন। সম্পর্কের জটিলতাকে ঘিরে একাধিক কথার লড়াই হয়, যেখানে স্বতন্ত্র স্পষ্ট জবাব দিলেও আশেপাশের মানুষদের কটূক্তি থামেনি। বিশেষ করে স্বতন্ত্রর বৌদি অন্যন্যা এবং কমলিনীর বৌদি মিলে তাদের হেয় করতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতেই অন্যদিকে মিঠির জীবনে আরও একটা অপমানের মুহূর্ত এসে দাঁড়ায়। মৌ ইচ্ছে করে তাকে কষ্ট দিতেই প্লুটোর সঙ্গে নিজের ছবি তোলার জন্য বলে।
অবাক করার মতো বিষয়, মিঠি হাসিমুখে সেই দায়িত্ব পালন করে, যদিও অন্তরে ব্যথা অনুভব করছে সে। এদিকে অনুষ্ঠান শেষে কুর্চি চায়, বৌদিভাই কমলিনীকে বাপের বাড়ি থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। কুর্চির যুক্তি, এখানে আসতে বলে সে চেয়েছিল কমলিনীকে কিছুদিন স্বস্তি দিতে, কিন্তু তাতেও কোনও ফল হয়নি। বাপের বাড়িতে নিজের বৌদি পর্যন্ত কমলিনীকে কটূক্তি করছে, ফলে কুর্চিদের আর সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয়, কমলিনীকে নিজের বাড়িতেই নিয়ে যাবে।
সেই মতো কমলিনী তাদের সঙ্গে যেতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু সেখানে পা রাখতেই নতুন অস্বস্তি শুরু হয়! কমলিনী কবে এবং কোথায় আসবে-যাবে, তার প্রাক্তন শাশুড়ি অর্থাৎ চন্দ্রের মা যেন নিজের ইচ্ছেমতো ঠিক করতে চান। কমলিনীও জানিয়ে দেয় যে, তিনি কেন ভুলে যান যে তিনি এই বাড়ির মালিক নন, বরং কমলিনীর দয়াতেই এখানে আছেন? কমলিনী মন থেকে কাউকে আঘাত করতে চান না, কিন্তু ক্রমাগত অপমান তাকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও কঠোর এই কথা বলতে বাধ্য করছে।
মিঠিও মায়ের প্রতি এই অবমাননা সহ্য করতে পারছেন না, সরাসরি নিজের বাবার মুখের উপর প্রতিবাদ করে সে এবার। তাতে বাবার কাছ থেকেও অতীত নিয়ে কড়া কথা শুনতে হয় তাকে, কিন্তু মিঠির কাছে সেই কটূক্তির কোনও মূল্য নেই, কারণ সে চন্দ্রকে বাবা বলে স্বীকার করে না। মিঠি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মায়ের সম্মান রক্ষায় সে আর কোনও আপস করবে না। মিঠির রাগ চরমে ওঠে যখন ঠাকুমার প্রতি মায়ের অতিরিক্ত যত্নের কথা ওঠে। সে বলে, যারা তার মাকে অপমান করেছে, তাদের জন্য মা যেন কোনো কাজ না করেন।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে প্রাক্তন জুটি ফের এক মঞ্চে, দেবের পাশে থেকেও আলো কেড়ে নিলেন দশভুজা শুভশ্রী! ‘ধূমকেতু’র রূপা থেকে ইউভান-ইয়ালিনীর মা, বড়মার দরবারে অভিনেত্রীর সৌন্দর্য আর পেশাদারিত্ব-ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ ভক্তমহল!
কমলিনীকে মিঠি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এমনকি ঠাকুমার জন্য এক কাপ চা পর্যন্ত না বানানোর কথা বলে। আর যদি মা সেই নিয়ম ভঙ্গ করেন, তবে সেই কাপ সে ছুঁড়ে ফেলবে, এমন সতর্কবার্তাও দেয় সে। মিঠির এই সিদ্ধান্তে গোটা পরিবারই হতবাক হয়ে যায়। কেউ কেউ মিঠির এই আচরণে ক্ষুব্ধ হলেও, তার চোখে এটা ছিল মায়ের মর্যাদা রক্ষার একমাত্র উপায়। সম্মানের জন্য লড়াইয়ে মিঠি কোনোদিন পিছপা হবে না, এমনকি সে যদি নিজের পরিবারের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে হয়, তবুও।