বাধ্য হয়ে চন্দ্রর সঙ্গে সংসার, চোখের জলেই অতীত ফাঁস করল সোহিনী! অন্ধ বিশ্বাসের শাস্তি, চন্দ্রর আসল রূপ দেখে ভেঙে পড়লেন মা! বুবলাইয়ের বিশ্বাসে ভাঙন, নিজের বাবার অপরাধ শুনে মানতে পারছে না সেও! ‘চিরসখা’র আজকে কমলিনী অবশেষে মুক্ত!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্ব শুরুতেই দেখা যায়, সোহিনী শিকার করে নেয় যে চন্দ্রের সঙ্গে সেও যুক্ত ছিল, কিন্তু বাধ্য হয়েই। চন্দ্রের সঙ্গে যখন সোহিনী প্রথম আলাপ হয়, তখন সন্তানসম্ভবা ছিল সে। স্বামী অনেক আগেই তাকে বাপের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। এমন অবস্থায় চন্দ্রকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে মন্দিরে বিয়ে করেছিল দু’জনে।

তারপর থেকেই সংসার করতে শুরু করে, কখনও আইন মেনে বিয়ে হয়নি তাদের। সংসার শুরু করার কিছু দিনের মধ্যেই সোহিনী জানতে পারে যে চন্দ্র এই সমস্ত অসামাজিক কাজ করছে। জিজ্ঞেস করতেই চন্দ্র তাকে উত্তর দেয় যে, সোহিনী নাকি একই ভাবে যুক্ত। সোহিনীকে দিয়েছে সই করিয়ে নিয়েছে একটা কাগজে। আক্ষেপ করে সোহিনী বলে পুলিশকে, সেদিন সবটা বলে দিতেই পারতেন।

কিন্তু মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি চুপ করে থেকেছেন। সোহিনী কমলিনীকে বলে, তার কাছে কমলিনী বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য কৃতজ্ঞ। তাই সোহেলিয়াকে যেন কমলিনী একটু দেখে, তাড়িয়ে না দেয়। এই কথাতে কমলিনীর তিনি সন্তানই আপত্তি করে, কিন্তু কমলিনী বলে যে মেয়েটার তো কোনও দোষ নেই। বরং ওর কপালটা খারাপ যে এমন মা-বাবার সন্তান সে।

কমলিনী পুলিশকে জানায় তার আলমারিতে কোনও গয়না খুঁজে পাচ্ছে না সে। চন্দ্রদের গ্রেফতার করার আগে যেন একবার জিনিসপত্র খুঁজে দেখা হয়। বুবলাই এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না। যে বাবাকে সব সময় সমর্থন করে গেছে, সেই নাকি এইসব কাজ করছে। বর্ষা বোঝানোর চেষ্টা করে তার বাবাকে ফাঁসানো হচ্ছে। পুলিশ জানায় বর্ষার অতীত সবার জানা, তাই এ ব্যাপারে কোনও কথা না বলতে।

এরপর ঘটনাস্থলে নতুন আর কমলিনী1র বাড়ির লোকেরা এসে উপস্থিত হয়। সবাই চন্দ্রকে মনে করিয়ে দিতে থাকে সময় ভালো মানুষই দেখি কেমন অত্যাচার করেছে সে। কমলিনী পুলিশের কাছে আবেদন করে, এতগুলো মেয়ের জীবন নষ্ট করার জন্য চন্দ্র যেন সারা জীবন শাস্তি পায়। চন্দ্র যাওয়ার আগে তার মাকে কিছু কথা বলতে গেলে, অবশেষে তিনি চন্দ্রকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন।

আরও পড়ুনঃ পর্দার দুঁদে ভিলেন আজ সময়ের কাছে পরাজিত! শরীরের ভ’গ্নদশায় চূড়ান্ত পরিণতি বর্ষীয়ান অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের! লাঠি ভর করেও চলতে অক্ষম, সাহায্য করছে অন্যের হাত! শোকাহ’ত দর্শক থেকে শিল্পী মহল!

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।