“বুকের সামনে ব্যাগ নিয়ে হাঁটতাম…ইভ’টিজা’ররা ভিকটিম সেজে ঘুরছে!” “জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত, ওরাই আসল থ্রেট!”— নারীদের পোশাকে বিতর্ক নয়, অপরাধীর বাড়বাড়ন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুললেন টলিউডের ‘সাহসী সুন্দরী’ মিমি চক্রবর্তী!

এইমুহুর্তে ইডির সন্দেহের তালিকায় টলিউড সুন্দরী ‘মিমি চক্রবর্তী’ (Mimi Chakraborty)। বেআইনি বেটিং অ্যাপ মামলায় নাম জড়িয়েছে অনেক তারকাদের, তার মধ্যে মিমিও একজন। যদিও দিল্লির ইডি দফতরে গিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এসেছেন তিনি। সবরকম তথ্যপ্রমাণ জমা দিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী- প্রাক্তন সাংসদ। তবে, বিতর্কের ছায়া পিছু ছাড়ছে না। অন্যদিকে কাজের ব্যস্ততায় মিমি এখন নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন সমান তালে।

আসন্ন দুর্গাপুজোতে বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘রক্তবীজ ২’। যেখানে ‘সংযুক্তা মিত্র’ চরিত্রে দেখা যাবে মিমিকে। এই চরিত্রে তিনি যেমন লাস্যময়ী রূপে ধরা দেবেন, তেমনই দর্শকরা দেখবেন তাঁর লড়াকু দিকও। উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে এটি তাঁর চতুর্থ কাজ। এর আগে ‘পোস্ত’, ‘শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী’ আর ‘রক্তবীজ’-এ ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন তিনি। প্রতিটি ছবিতেই তাঁর অভিনয় আলাদা মাত্রা এনেছে, তাই নতুন ছবিতেও প্রত্যাশা স্বাভাবিকভাবেই বেশি।

শুধু তাই নয়, খুব শিগগিরই শুরু হতে পারে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিকের শুটিং। সেই ছবিতে সৌরভের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অভিনয় করবেন মিমি। বিক্রম মোতওয়ানের পরিচালনায় তৈরি হতে চলা এই বায়োপিক নিয়ে আগ্রহ আগেই তুঙ্গে উঠেছে, আর মিমির কাস্টিং ঘোষণার পর প্রত্যাশা আরও বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, গুঞ্জন রয়েছে তিনি পরিচালক সুজিত সরকারের সঙ্গেও কাজ করতে চলেছেন।

উল্লেখ্য, ‘রক্তবীজ ২’তে মিমির বিকিনি লুক ঝড় তুলেছে টলিউড থেকে বলিউডেও। ইতিমধ্যেই সেই গান প্রকাশ্যে এসেছে, এবং বেশ জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে। এমনকি এই লুকের জন্য মিমিকে ‘কিয়ারা আডবাণী’র সঙ্গেও তুলনা করেছেন অনেকেই। কিন্তু আজকের এই সাহসী মিমি কি শুরুর দিনগুলোতে পোশাক নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন? সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “আমি যখন কলকাতায় প্রথম আসি বুকের সামনে ব্যাগ দিয়ে ঢেকে হাঁটতাম, পাছে কেউ কনুই মেরে দেয়।

এখন আমি প্রতিষ্ঠিত সেই ভয়টা হয়তো কেটেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষদের ক্ষেত্রে, বিশেষত অল্পবয়সী মেয়েরা আজও একই ভয়তে ভুগছে। একটা দেশ যেখানে অবলা প্রাণীদের ক্ষতিকারক মনে করা হয়, অথচ নির্দ্বিধায় যাঁরা ইভটিজিং, রেপ বা মোলেস্টেশন করছে— তাঁরাই মুক্ত। কেউ তাদের থ্রেট হিসেবে দেখছে না, এদের পপুলেশন কন্ট্রোল করা হচ্ছে না, এরা ভিকটিম সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” সমাজের এই অসুস্থ মানসিকতা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মিমি, যেটার সঙ্গে হয়তো অনেকেই সহমত হবেন।

আরও পড়ুনঃ “অন্য ভাষার ছবির সঙ্গে লড়াই হলে সবাই একসঙ্গে দাঁড়ায়, কিন্তু বাংলায় নিজেদের ছবির মধ্যে লড়াই হলে কেউ পাশে থাকে না”— পুজোয় শো বণ্টন নিয়ে বিস্ফোরক শিবপ্রসাদ! টলিউডের ঠুনকো ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পরিচালক!

তবে, আজকের এই মিমি নিছক একজন অভিনেত্রী নন। বরং তিনি সাহসী কণ্ঠস্বরও বটে। বড়পর্দায় নানা চরিত্রে যেমন তিনি রঙ ছড়ান, বাস্তব জীবনেও খোলাখুলি মত প্রকাশে তিনি পিছপা হন না। একদিকে বিতর্ক, অন্যদিকে অভিনয়ের সাফল্য— দুটো পথই যেন সমান্তরাল ভাবে চলছে তাঁর জীবনে। তবে তিনি নিজেই প্রমাণ করেছেন, সমালোচনা বা ভয়ের কাছে হার মানার মানুষ নন। দর্শকরাও তাই প্রত্যাশা করছেন, আগামী দিনে আরও অনেক ভালো চরিত্র এবং চমক নিয়ে ফিরবেন তিনি।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।