“শুভাশিসের কথায় ‘হরিদাস পাল’ নই বলেই এখনও রাজনীতিবিদ হইনি!” “অভিনেতাদের নেতা হওয়ার দরকার নেই, কিন্তু কাজ করেছি বলেই মানুষ তিনবার জিতিয়েছে!”— অভিনেতাদের রাজনীতিতে আসা নিয়ে শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্যে, জোরালো প্রতিক্রিয়া চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর!

টলিউডের এক সময়কার জনপ্রিয় এবং দক্ষ অভিনেতা ‘চিরঞ্জিত চক্রবর্তী’ (Chiranjeet Chakraborty) এখন অনেকটাই আলোচনার বাইরে জীবন কাটাচ্ছেন। নব্বইয়ের দশকে প্রসেনজিৎ আর তাপস পালের সঙ্গে সমান তালে দর্শকের মনে রাজত্ব করেছেন তিনি। শুধুমাত্র তাঁর নামেই তৈরি হয়েছে বহু হিট ছবি। সময় বদলেছে, সিনেমার ধরণও পাল্টেছে, তবু চিরঞ্জিত এখনও মাঝে মধ্যে ওটিটি পর্দায় উপস্থিত হয়ে দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়ে নেন। দেবের ‘ধূমকেতু’-র মতো বড় ছবিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। এখনও নতুন প্রজেক্টের প্রস্তাব তাঁর হাতে আসছে।

একসময়ের এই তারকা আজও প্রমাণ করছেন, বড়পর্দা থেকে খানিকটা দূরে থাকলেও দর্শকের কাছে তাঁর আবেদন কমেনি। তবে কেবল অভিনয়েই সীমাবদ্ধ থাকেননি তিনি। অনেকেই জানেন, অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সমান সাফল্য অর্জন করেছেন চিরঞ্জিত। ২০১১ সাল থেকে তিনি বারাসাতের বিধায়ক হিসেবে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। একাধিকবার বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। গত বছর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার সদস্যও ছিলেন।

রাজনীতি এবং অভিনয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই এগিয়েছেন এত বছর। একদিকে বাংলা সিনেমায় তাঁর অবদান অস্বীকার করা যায় না, অন্যদিকে রাজনীতির মঞ্চেও তিনি সমান দৃঢ়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাকে জানতে চাওয়া হয়, বর্ষীয়ান অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায় কিছুদিন আগে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বদের রাজনীতিতে যাওয়া নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, “তুমি কোন হরিদাস পাল যে কাজ করবো বলে অজানা গ্রাম বাংলার রাস্তায় নেতা সেজে চলে যাচ্ছ? কোনও জ্ঞান আছে রাজনীতি সম্পর্কে!

আর তুমি কাজ করতে চাইলেই বা উপর-মহল তোমাকে করতে দেবে?” এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিনেতা চিরঞ্জিতের কী মত? তিনি এর উত্তরে বলেন, “আমার মতে কেউ কেউ সত্যিই কাজটা করতে পারছে। যদিও আমি শুভাশিসের সঙ্গে সহমত যে, অভিনেতাদের নেতা হওয়ার দরকার নেই। আমি যেমন এখনও রাজনীতিবিদ হতেই পারলাম না। কিন্তু কাজ করেছিলাম বলেই তিনবার আমায় জনসাধারণ জিতিয়েছে ভোট দিয়, কাজেই শুধুমাত্র সুপারস্টার হয়ে আমি একবার জিততে পারি।

আরও পড়ুনঃ “মানসিক চাপ, রে’প থ্রেট পর্যন্ত দিয়েছিল আমায়…ওই ভিডিওটা বানিয়েছিলাম শুধুই ওর জন্য!”— কিরণের স্বীকারোক্তি ঘিরে সরগরম সমাজ মাধ্যম! নতুন করে সায়ন্তর ভূমিকায় প্রশ্নচিহ্ন! দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার কারণই বা কী? মুখ খুললেন অভিনেত্রী!

কিন্তু প্রত্যেকবার ফলাফলটা একই হয় না। তার মানে কিছু কাজ সত্যিই করতে হয়েছে আমায়। রাজনীতিতে আসার দিন থেকেই আমার শর্ত ছিল, কখনও মিটিং-মিছিলের মুখ হব না। বরং পিছনে থেকে জনগণের স্বার্থে কাজ করব, পার্টি ফান্ডের টাকা যাতে সঠিক কাজে ব্যবহার হয় সেটাই নিশ্চিত করব। একজন রাজনীতিবিদ হওয়ার প্রধান শর্তই হচ্ছে সম্মান দিতে হবে। আমি যেমন আমার ভক্তদের থেকে শুরু করে সেটের টেকনিশিয়ানদেরও সমান সম্মান দিই। আমার কাছে সবার মতামত সমান গুরুত্বপূর্ণ!”