স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ (Chiroshokha) নিয়ে এখন নেটপাড়ায় প্রবল আলোচনা চলছে। এতদিন ধরে যে কমলিনী ও স্বতন্ত্রর সম্পর্ককে অনেকেই মেনে নিতে শুরু করেছিলেন, সেই সম্পর্ককেই নতুন মোড়ে দাঁড় করিয়ে দিল সাম্প্রতিক পর্ব। তার আগে, চন্দ্রের অনুপস্থিতিতে কমলিনীর ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্বতন্ত্র, এই কথা সবার জানা। শুরুতে নিছক সহানুভূতির জায়গা থেকে এগিয়ে এসে সে কমলিনীর পাশে দাঁড়িয়েছিল, প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সহায়তাই যেন কমলিনীর জীবনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
প্রতিটি সমস্যার সমাধান বা প্রতিটি বিপদের মুহূর্তে স্বতন্ত্রকে আশ্রয় করাই এখন কমলিনীর স্বাভাবিক ভরসার জায়গা। আর সেখান থেকেই দর্শকদের একাংশের অভিযোগ— স্বতন্ত্রর উদারতাকে কমলিনী প্রয়োজনের অতিরিক্ত নির্ভরতার হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছে। উল্লেখ্য, পুরোহিতের মেয়ে পার্বতীর বিয়েতে আচমকাই পাত্রকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলে গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঠিক সেই সময় পুরোহিত স্বতন্ত্রকে বিয়েটা করার আকুতি জানান। স্বতন্ত্র প্রথমে আপত্তি করলেও কমলিনীর সম্মতি অবাক করে তাঁকে।
এখানেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক— স্বতন্ত্র কি ভালোবাসা বেছে নেবে, নাকি দায়িত্ব? ধারাবাহিক এই চমকই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু দর্শকের একটা বড় অংশের ক্ষোভ গিয়ে পড়ছে কমলিনীর উপরেই। যাঁরা ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্ব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন, তাঁদের অনেকেই মনে করছেন, স্বতন্ত্রকে ঘিরে বারবার একই নাটক ঘুরে ফিরে আসছে। এই সুযোগে নেটপাড়ায় কটাক্ষের ঝড় উঠেছে। কেউ লিখেছেন, “পার্বতীর বিয়ের মেকআপ করছে কমলিনী, সে নাকি আগেও অনেককে সাজিয়েছে।
তাহলে সংসার চালানোর জন্য মেকআপ আর্টিস্ট হয়ে কাজ করতে পারত না কেন? গান জানে, ফটোগ্রাফি জানে, কিন্তু সব জেনেও পরজীবী!” আরেকদল আরও তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন কমলিনী চরিত্রকে ঘিরে। তাঁদের কথায়, “সর্বব জ্ঞানী, সর্ব কাজে পারদর্শী, অথচ আত্মসম্মানহীন মহিয়ষী কমলিনী শুধু ন্যাকামির ভরসায় বেঁচে আছে। আর স্বতন্ত্র বুড়োকার্তিক, বুড়োভাম, কমলিনীর পেছনেই ঘোরে। এটাই পুরো সিরিয়ালের সারকথা।” সমালোচকরা মনে করছেন, বারবার এই নাটকীয়তা দেখিয়ে নির্মাতারা দর্শকদের ধৈর্য হারাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ “চারপাশ থেকে যা খবর…দক্ষিণী স্টাইলে ঝুলন সাজানো দেখতেই যদি চান, ‘রঘু ডাকাত’ দেখুন!”— দেবকে নিয়ে ফের কুণাল ঘোষের খোঁচা! দলীয় সাংসদকেই কেন নিশানায় রাখছেন তিনি? তবে শুধুই ছবি, নাকি পিছনে রয়েছে কোনও রাজনৈতিক কারণ?— প্রশ্ন উঠছে নেটপাড়ায়!
শুধু তাই নয়, কেউ কেউ সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন কমলিনীর চরিত্রের যৌক্তিকতা নিয়ে। যেমন, এক দর্শক লিখেছেন, “খুব সত্যি কথা। মনে হয়, একমাত্র স্বতন্ত্রর সঙ্গে ন্যাকামি করা ছাড়া কমলিনী আর কিছুই পারে না। রান্নায় নাকি সে দারুণ, তাহলে সংসার চালাতে পরিশ্রম করতে পারে না কেন? আসলে কমলিনী নির্গুণ পদার্থ। এই সিরিয়ালে সবচেয়ে বিরক্তিকর চরিত্র। কারণ ও জানে স্বতন্ত্র ঠিক চালিয়ে নেবে।” সব মিলিয়ে বলা যায়, ‘চিরসখা’ বর্তমানে কমলিনী-স্বতন্ত্রর অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে পর্ব যত এগোচ্ছে, সমালোচনা আর প্রত্যাশা ততটাই মিশে যাচ্ছে একসঙ্গে।
“চারপাশ থেকে যা খবর…দক্ষিণী স্টাইলে ঝুলন সাজানো দেখতেই যদি চান, ‘রঘু ডাকাত’ দেখুন!”— দেবযে নিয়ে ফের কুণাল ঘোষের খোঁচা! দলীয় সাংসদকেই কেন নিশানায় রাখছেন তিনি? তবে শুধুই ছবি, নাকি পিছনে রয়েছে কোনও রাজনৈতিক কারণ?— প্রশ্ন উঠছে নেটপাড়ায়!