বিনোদন জগতের আলো ঝলমলে দুনিয়া বাইরে থেকে যতটা রঙিন, ভেতরে ততটাই হিসেব-নিকেশে বাঁধা। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের এই জগতে প্রতিটি পদক্ষেপই ক্যালকুলেশনের উপর নির্ভর করে। জনপ্রিয়তার চাপ, কাজের প্রতিযোগিতা, আর নিজের জায়গা ধরে রাখার লড়াই—সব মিলিয়ে এই গ্ল্যামার দুনিয়ার জীবন কখনওই সহজ নয়।
বিশেষ করে যখন একজন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনের প্রশ্ন ওঠে, তখন সেই ক্যালকুলেশন আরও গভীর হয়। মা হওয়া, সংসার সামলানো আর ক্যারিয়ার—এই তিনের মধ্যে ভারসাম্য রাখা যেন এক অদ্ভুত সমীকরণ। অনেক অভিনেত্রীই মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কেরিয়ারের নির্দিষ্ট সময়ে, যাতে কাজের ব্যাঘাত না ঘটে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পেছনে থাকে প্রচুর চাপ, আত্মসংযম আর সমাজের দৃষ্টি।
আজকের দিনে টলিউডের অনেক অভিনেত্রীই একদিকে সন্তানকে সামলাচ্ছেন, অন্যদিকে কাজের দায়িত্বও পালন করছেন সমান দক্ষতায়। কেউ শুটিং সেটে বাচ্চাকে নিয়ে যান, কেউ আবার রাতে ফিরে সন্তানকে সময় দেন। তাদের জীবনের প্রতিটি দিনই এক সংগ্রাম, যেখানে পেশাদারিত্ব ও মাতৃত্ব পাশাপাশি চলে।
এই বাস্তবতার মাঝেই নিজের জীবনের গল্প শুনিয়েছেন অভিনেত্রী কনীনিকা ব্যানার্জি। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, মা হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কোনওরকম ক্যালকুলেশন করেননি। বরং মা হওয়ার ইচ্ছে তাকে পাগল করে তুলেছিল। ‘মুখার্জি দার বউ’ ছবির জন্য হ্যাঁ বলার সময়ই তিনি প্রেগন্যান্ট ছিলেন। তবুও তিনি সেই সময় ছবির শুটিং শেষ করেন।
আরও পড়ুনঃ “এরপর তো লোকে গ্রামের লোকেদের বিশ্বাস করতে ভয় পাবে!” “গ্রামের লোকেরা নাকি সহজ, সরল এই তার নমুনা!” পার্বতী ও পুরোহিত মশাইয়ের কুটনামি দেখে স্তব্ধ নেটপাড়া
এরপর ডাক্তারদের পরামর্শে কিছুদিনের জন্য কাজ থেকে সম্পূর্ণ বিরতি নেন অভিনেত্রী। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন—এই সময় মা হওয়া কি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল? কিন্তু কনীনিকার উত্তর ছিল স্পষ্ট—একজন নারী হিসেবে মাতৃত্বই তার কাছে সবচেয়ে বড় উপহার। সন্তান জন্মের ছ’মাস পর তিনি আবার কাজে ফিরেছেন, প্রমাণ করেছেন—একজন অভিনেত্রী যেমন শক্তিশালী পেশাজীবী, তেমনই স্নেহময়ী মা।