“সব জায়গায় বলা হলো কৌশিক রায়ের চরিত্র সমান গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে প্রথম প্রোমোতে তাঁকে রাখা হলো না কেন?”— নতুন ধারাবাহিক ‘মিলন হবে কত দিনে’ নিয়ে স্টার জলসার দর্শকদের মনখারাপ! শোলাঙ্কি-গৌরবের প্রত্যাবর্তনের মাঝেও, নির্মাতার সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সমাজ মাধ্যমে!

ছোট পর্দায় ফিরলেন শোলাঙ্কি রায় (Solanki Roy), সঙ্গে আবার গৌরব চট্টোপাধ্যায় (Gourab Chatterjee)। ‘গাঁটছড়া’র পর আবারও এই জনপ্রিয় জুটি ফিরছে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘মিলন হবে কত দিনে’-তে (Milon Hobe Koto Dine)। প্রথম প্রোমো সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে মূলত এলার চরিত্র এবং গল্পের প্লট কিছুটা তুলে ধরা হয়েছে। তবে প্রোমোটি ঘিরে দর্শকদের উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি হতাশাও চোখে পড়ার মতো। কারণ, শুরু থেকেই ধারাবাহিকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছিল কৌশিক রায়ের (Koushik Roy), অথচ প্রোমোতে তাঁকে কোথাও দেখা গেল না।!

প্রোমোটি প্রকাশের পর সমাজ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। কেউ শোলাঙ্কি-গৌরবকে আবার একসঙ্গে দেখে আপ্লুত, কেউ আবার বলছেন, একই জুটি আর চরিত্রেও তেমন কোনও ভিন্নতা নেই— পুরনো ছকেরই পুনরাবৃত্তি। তবে দর্শক কৌশিক রায়ের অনুপস্থিতি নিয়েই বেশি সরব। তাঁদের মতে, যেখানে শুরু থেকেই বলা হচ্ছিল ধারাবাহিকের তিনটি মুখই গুরুত্বপূর্ণ– সেক্ষেত্রে প্রথম প্রোমোতেই কৌশিককে বাদ রাখা একপ্রকার অস্বচ্ছতা। একজন লিখেছেন, “সব জায়গায় বলা হলো কৌশিক রায়ের চরিত্র সমান গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে প্রথম প্রোমোতে তাঁকে রাখা হলো না কেন?”

আবার কেউ বলছেন, “প্রোমোতেই কৌশিক নেই, মানে শুরু থেকেই তাঁর চরিত্রকে সাইডলাইনে রাখা হবে!” এই প্রোমোয় মূলত শোলাঙ্কির চরিত্র এলার উপরে ভিত্তি করেই। গান-কবিতা প্রেমী মেয়েটি ভাঙা মনের কষ্ট নিয়ে বাঁচা আর ভালোবাসা নিয়ে একরকম দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি– এইভাবে দর্শকদের সামনে হাজির করা হয়েছে ‘এলা’কে। তার বিপরীতে গৌরবের ‘গোরা’ চরিত্রটি একেবারে বিপরীত মেরু। প্রেমকে স্ক্যাম মনে করা, একরকম কঠোর বাস্তববোধ নিয়ে বেঁচে থাকা। এমন বিপরীত স্বভাবের দুই চরিত্র কীভাবে কাছাকাছি আসবে, সেটাই সম্ভবত ধারাবাহিকের মূল গল্প।

তবে কৌশিক রায়ের চরিত্র নিয়ে নির্মাতারা যে ধোঁয়াশা তৈরি করেছেন, সেটাই প্রোমোর প্রধান দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন অনেকে। অনেকেই এই বিষয়ে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন স্টার জলসার দিকেই। তাঁদের বক্তব্য, প্রথম থেকেই যখন প্রচারে বলা হয়েছে এই ধারাবাহিক তিনটি চরিত্রনির্ভর, তখন প্রোমোতে কৌশিককে না রাখাটা অবিচার। বিশেষ করে যখন তাঁর আগের কাজগুলিতে অভিনয়ের প্রশংসা পেয়েছেন এবং এই ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্র নেগেটিভ হলেও তা গুরুত্বপূর্ণ— তখন প্রাথমিক পরিচিতিতেই তাঁকে বাদ দেওয়াটা যথেষ্ট প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ মৃ’ত্যুর মুখে আর্য, গলায় দড়ি বেঁধে টানল গ্রামবাসী! আর্যকে রক্ষা করতে ত্রিশূল হাতে রনংদেহি অপর্ণা! গ্রামবাসীর ভুল সিদ্ধান্তে বিপদ, গুন্ডাদের গু’লিতে কেঁপে উঠল গ্রাম! ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’র আজকের পর্বে চরম উত্তেজনা!

কারোর মতে, “কৌশিকে রেখে গৌরবকে নায়ক বানালেন, বুড়ো লোক একটা! কৌশিকও তো জনপ্রিয় মুখ, সেটা কি মানেন না নির্মাতারা?” শোলাঙ্কির লুক নিয়েও নানারকম মতামত এসেছে। কেউ কেউ প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ বলেছেন– বয়সের ছাপ গোপন করে তাকে বাচ্চা মেয়ের মতো দেখানোর চেষ্টা করে লাভ নেই, বরং চরিত্রের গভীরতা নিয়ে ভাবা উচিত ছিল নির্মাতাদের। সব মিলিয়ে, প্রোমো নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। কারও কাছে এটি রোম্যান্টিক, কারও চোখে একঘেয়ে পুরনো ছকের পাল্টা প্রচেষ্টা। তবে কৌশিক রায়ের জায়গা না পাওয়াটা নিয়ে দর্শকদের ক্ষোভ যে নির্মাতাদের ভাবতে বাধ্য করবে, তা বলাই যায়।