মৃ’ত্যুর মুখে আর্য, গলায় দড়ি বেঁধে টানল গ্রামবাসী! আর্যকে রক্ষা করতে ত্রিশূল হাতে রনংদেহি অপর্ণা! গ্রামবাসীর ভুল সিদ্ধান্তে বিপদ, গুন্ডাদের গু’লিতে কেঁপে উঠল গ্রাম! ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’র আজকের পর্বে চরম উত্তেজনা!

জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণাকে অপহরণ করতে আসা গ্রামের লোকেদের আর্য খুব মারতে থাকে। চিৎকার শুনে বাকি গ্রামবাসীরা ছুটে এসে দেখতে পায় যে আর্য একজনের বুকের উপর বসে খুব মারছে আর দূরে ভয়ে দাঁড়িয়ে আছে অপর্ণা।

তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় গ্রামের লোকেরা যে আর্য অপর্ণাকে উচিত শিক্ষা দেবে, যাদের প্রাণে বাঁচল তারাই এখন ক্ষতি করছে বলে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে আর্যর দিকে। গ্রামের প্রধান অনেক করে বোঝানোর চেষ্টা করে যে নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে, নাহলে অসুস্থ শরীরে কেন আর্য কাউকে মারবে। গ্রামের লোকেরা কোনও কথা শোনে না। আর্যর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।

Zee Bangla, New Serial, Chirodini Tumi Je Amar, Ditipriya Roy, Jeetu Kamal, Arka Jyoti Paul Chaudhury, Arya-Apu, Rebirth Theory, New Episode, জি বাংলা, নতুন ধারাবাহিক, চিরদিনই তুমি যে আমার, দিতিপ্রিয়া রায়, জিতু কমল, অর্কজ্যোতি পাল চৌধুরী, আর্য-অপু, পুনর্জন্মের রহস্য, নতুন পর্ব

আর্য বলে, যা ইচ্ছা তার সঙ্গে করুক কিন্তু অপর্ণার যেন ক্ষতি না হয়। হঠাৎ একজন পেছন থেকে আর্যর গলায় দড়ি বেঁধে দেয়! নিঃশ্বাস নিতে না পেরে, মাটিতে পড়ে ছটফট করতে থাকে সে। অপর্ণা যেতে চাইলেও গ্রামের লোকেরা বাধা দেয়। তখনই তীব্র গু’লির শব্দে সবাই ভয়ে কেঁপে ওঠে। দেখা যায়, কালো পোশাকে একদল দু’ষ্কৃতী হাতে ব’ন্দুক নিয়ে গ্রামবাসীদের হুমকি দিতে এসেছে।

তাঁরা বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবাই যেন গ্রাম খালি করে চলে যায়, নাহলে গ্রামের একটা বাচ্চাকে তারা আটক করেছে আর তাকে মে’রে ফেলবে। গ্রামবাসীরা অসহায় ভাবে আর্তনাদ করতে থাকে। আর্য গিয়ে বাচ্চাটাকে উদ্ধার করে, উল্টে গুন্ডারা আর্যকে মারতে আসলে অপর্ণা পাশের মন্দির দিয়ে ত্রিশূল তুলে নেয় হাতে! এরপর গ্রামবাসীরা উচিত শিক্ষা দিয়ে পালাতে বাধ্য করে লোকগুলিকে।

আরও পড়ুনঃ “আইনগত বিচ্ছেদ হয়নি, ওকে শেষ দিন পর্যন্ত রাজার হালেই রেখেছি”, “আজও মনে হয়, দূরে থাকাটাই আমাদের সম্পর্কের শ্রদ্ধাটুকু বাঁচিয়ে রেখেছিল”— স্বামীর সঙ্গে জটিল সম্পর্ক নিয়ে অকপট শকুন্তলা বড়ুয়া! তিক্ততা নয়, আত্মসম্মানের দূরত্বে দাঁড়িয়ে স্বামীর পাশে থেকেছেন তিনি!

তারপর গ্রামবাসীরা পায়ে পড়ে আর্যর কাছে ক্ষমা চায়। গ্রামের প্রধান চিকিৎসককে ডেকে পাঠান আর্য-অপর্ণার জন্য। তাদের কথা মতো আর্যকে স্নান করিয়ে পথ্য দেওয়া হয়। আর্য বাড়ি যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে, ওদিকে অর্ক থেকে শুরু করে রাজলক্ষ্মী, অপর্ণার বাবা-মা সবাই চিন্তা করছে। গ্রামের প্রধান অনুরোধ করেন যেন কালীপুজো পর্যন্ত আর্য অপর্ণা গ্রামে থেকে যায়, তারা থাকতে রাজিও হয়ে যায়।