বাংলা টেলিভিশনের জগতে যাঁদের নাম শুনলেই দর্শকদের চোখে ভেসে ওঠে অভিনয়ের শক্তিশালী ছাপ, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন সোহিনী সেনগুপ্ত। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা—দুই ক্ষেত্রেই নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। শুধু পর্দার চরিত্র নয়, বাস্তব জীবনের নানা অধ্যায়ও একাধিকবার খবরের শিরোনামে এসেছে অভিনেত্রীর।
জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে নতুন করে শুরু করেছিলেন সোহিনী। বর্তমানে তিনি বিবাহিত অভিনেতা সপ্তর্ষী মৌলিকের সঙ্গে। ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। তবে সপ্তর্ষী সোহিনীর থেকে ১৪ বছরের ছোট—এই বয়সের পার্থক্যই একসময় নেটমাধ্যমে ট্রোলের ঝড় তুলেছিল। কিন্তু সময় প্রমাণ করেছে, বয়স নয়, সম্পর্ক টেকে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায়।
তবে সপ্তর্ষী ছিলেন না সোহিনীর প্রথম স্বামী। তাঁর জীবনের প্রথম অধ্যায়ে ছিলেন অভিনেতা ও নাট্যকার গৌতম হালদার। বহু বছর আগে, প্রায় ২০০৬ সালের দিকে, তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ব্যক্তিগত জীবনের সেই ভাঙনের পর দীর্ঘ সময় সোহিনী ছিলেন অবসাদে।
২০১৩ সালে ‘নাচনি’ নাটকে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই সপ্তর্ষীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সোহিনীর। মাত্র তিন মাসের পরিচয়েই জন্ম নেয় প্রেম, আর সেখান থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত। ট্রোল, কটাক্ষ—সব কিছুকে উপেক্ষা করে আজও একসঙ্গে আছেন তাঁরা। সোহিনী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “দু’জন মানুষের মধ্যে প্রেম আর সম্মান থাকাটাই সবচেয়ে জরুরি।”
আরও পড়ুনঃ “সব জায়গায় বলা হলো কৌশিক রায়ের চরিত্র সমান গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে প্রথম প্রোমোতে তাঁকে রাখা হলো না কেন?”— নতুন ধারাবাহিক ‘মিলন হবে কত দিনে’ নিয়ে স্টার জলসার দর্শকদের মনখারাপ! শোলাঙ্কি-গৌরবের প্রত্যাবর্তনের মাঝেও, নির্মাতার সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সমাজ মাধ্যমে!
দেখতে দেখতে ১২ বছর পূর্ণ করতে চলেছেন এই তারকা দম্পতি। বহু ঝড়-ঝাপটা পেরিয়ে আজ তাঁরা টলিপাড়ার অন্যতম সুখী দম্পতি হিসেবে পরিচিত। একে অপরের সাফল্যে গর্ব করেন, পাশে থাকেন নিঃশব্দে—এটাই তাঁদের সম্পর্কের আসল শক্তি।