মায়ের উপর রাগ করে শুরু করেছিলাম নির্জলা উপোস করা! আজও মা শক্তি দেন কে যেন আমায় বলে, ‘আমার পুজোটা কর, শান্তি পাবি, শান্ত হবে অশান্ত মন’ অকপট দেবলীনা কুমার

প্রতি বছর লক্ষ্মীপুজোয় নিজের নাচের স্কুল থেকে শুরু করে শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত সব দায়িত্ব একা হাতে সামলান অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার। নাড়ু বানানো, ভোগ রান্না, ঠাকুর আনা, দেবীবরণ — সবেতেই তিনি একদম পাকা। এমন সংসারী ও কর্মঠ দেবলীনাকে দেখে সবাই প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, কালীপুজোর দিনেও তিনি নিয়ম করে উপোস থেকে পুজো করেন, আর এ বছর সেই দিনেই শুরু করলেন এক নতুন নিয়মে লক্ষ্মীপুজো।

দেবলীনার এই কালীপুজোর উপোসের শুরু কিন্তু ছোটবেলার এক মনখারাপ থেকে। নিজের ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রী লিখেছেন, “ক্লাস টেনে পড়ার সময় থেকে আমি কালীপুজোর উপোস করি। মায়ের উপর রাগ করে, মন খারাপ থেকে এই উপোস শুরু করেছিলাম। আজও মা শক্তি দেন যাতে আমি এই নির্জলা উপোসটা করতে পারি। আর এতে আমি অনেক শান্তি পাই।”

এ বছর থেকে দেবলীনা নিজের ঘরে নতুন করে দীপান্বিতা অমাবস্যার লক্ষ্মীপুজোও শুরু করেছেন। আগে এই বিশেষ পুজোটা হত তাঁর দিদার বাড়ি, ঠাকুমার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়িতে। এবার নিজের মায়ের সঙ্গে একসঙ্গে পুজো শুরু করেছেন তিনি। দেবলীনা লিখেছেন, “মনের মধ্যে কিছুদিন ধরে একটা অশান্তি কাজ করছিল। হঠাৎ মনে হলো — কে যেন বলল, ‘আমার পুজোটা কর, শান্তি পাবি’। তখনই ঠিক করলাম, এবার থেকে আমিও এই পুজো করব।”

এই বিশেষ সিদ্ধান্তে ভক্তরা যেমন খুশি, তেমনি দেবলীনাও মনে পেয়েছেন এক অদ্ভুত শান্তি। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী এই দীপান্বিতা অমাবস্যার লক্ষ্মীপুজো ঘটি পরিবারের ঐতিহ্য হিসেবেই পালন হয়। তাই কোনও নতুন কিছু নয়, বরং নিজের শিকড়ে ফেরার এক প্রয়াস মাত্র।

আরও পড়ুনঃ “কুসন্তান হলেও কুমাতা হয় না…মা কালী নাকি নিয়ম না মানলে পাপ দেবেন!” “কালী ঠাকুর তো মা-ই, নিয়ম-কানুনে বেঁধে কেন তাকে আলাদা করে রাখব?” “আমার বাড়িতে কোনও নিয়ম নেই, যেমন ইচ্ছা পূজা করা যায়”— প্রথাগত ভয়কে পাশ কাটিয়ে কালীপুজো নিয়ে অকপট মানসী সেনগুপ্ত!

শেষে দেবলীনা জানান, কালীপুজোর দিন কালীঘাট মন্দিরেও লক্ষ্মীপুজো হয়, তাই এই দুটি পুজো একসঙ্গে পালন করা একেবারে অস্বাভাবিক নয়। তিনি বলেন, “পুজো মানে শুধু নিয়ম নয়, মন দিয়ে করা ভক্তি আর শান্তি খোঁজার পথ। এবার সেই শান্তিটাই খুঁজে পেলাম।”