যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মার বড় মেয়ে সারা সেনগুপ্ত ধীরে ধীরে নিজের পরিচয় তৈরি করছেন গ্ল্যামার দুনিয়ায়। তবে পেশাগত সাফল্যের মাঝেও ব্যক্তিগত জীবনে তাঁকে পেরোতে হয়েছে বেশ কিছু কঠিন সময়। ২০২৪ সালে শোনা যায়, যিশু ও নীলাঞ্জনার সংসার ভেঙে যাচ্ছে। যদিও এখনও আইনি বিচ্ছেদ হয়নি, দু’জন নাকি অনেক দিন ধরেই আলাদা থাকেন। এমনকি, নীলাঞ্জনা নিজের নাম থেকেও ‘সেনগুপ্ত’ বাদ দিয়ে বাবার পদবি ‘শর্মা’ ব্যবহার করছেন। দুই মেয়েকে নিয়ে এখন একাই থাকেন তিনি, আর যিশুকে দেখা যায় না কোনও পারিবারিক অনুষ্ঠানে—না মেয়েদের জন্মদিনে, না উৎসবে।
এই আবহেই সম্প্রতি সারা-র একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি হঠাৎই চর্চায়। সেখানে তিনি এমন এক উক্তি শেয়ার করেছেন, যা দেখে অনেকেই ভাবছেন—কাউকে কি ইঙ্গিত করছেন অভিনেতা-কন্যা? কোটেশনটিতে লেখা, “আমি জানি তুমি ম্যানিপুলেশনের মাস্টার, স্বভাবসিদ্ধ মিথ্যেবাদী। কিন্তু আমার নামে ভুলেও মিথ্যে বলো না, আমিও তোমার নামে সত্যি বলব না।” সঙ্গে কফির মগ আর চোখ ঢাকা ইমোজি। সারা যদিও কিছু বলেননি সরাসরি, কিন্তু তাঁর পোস্ট ঘিরে নেটপাড়া জুড়ে চলছে নানা জল্পনা।
অভিনেতা-অভিনেত্রীর মেয়ে হলেও সারা নিজেকে তৈরি করেছেন আলাদা পথে। ছোটবেলায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় সিনেমা ‘উমা’-তে শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে, যেখানে ছিলেন যিশুও। কিন্তু অভিনয়ের বদলে পরবর্তীকালে তিনি বেছে নেন মডেলিংয়ের জগৎ। পড়াশোনার পর থেকেই দেশি-বিদেশি বহু ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি, এবং ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফ্যাশন সেন্স নিয়ে তরুণদের মধ্যে উচ্ছ্বাস স্পষ্ট।
অন্য দিকে, নীলাঞ্জনা নিজের নতুন জীবনে বেশ দৃঢ়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “২০২৪ সাল আমাকে বন্ধু চিনতে শিখিয়েছে।” তাঁর কথায়, আগে যারা ঘনিষ্ঠ ছিলেন, আজ তাঁদের অনেকেই দূরে। তবু তাতে কোনো তিক্ততা নেই তাঁর মনে—বরং এখন তিনি নিজের জন্য সময় বের করতে শিখেছেন।
আরও পড়ুনঃ “আজ আমার জীবনে যা আছে, তাতেই আমি সম্পূর্ণ!”— কেরিয়ারের ঊর্ধ্ব গগনে সফল কেরিয়ার ছেড়ে বেছে নিয়েছেন সংসারকে, প্রেম নয়, বাবা-মায়ের পছন্দের বিয়েতেই জীবনের মানে খুঁজে পান তিনি! বরাবরই ব্যতিক্রমী অভিনেত্রী রুশা চট্টোপাধ্যায়
অপরদিকে, যিশু অবশ্য সবসময়ই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন। তবে মেয়ে সারা-র পোস্টে যে নতুন করে চর্চার ঝড় উঠেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নেটিজেনদের কৌতূহল—এই “মিথ্যে” বার্তাটি আসলে কাকে উদ্দেশ্য করে? মা-বাবার অশান্ত সম্পর্কের মাঝেই কি সারা নিজের মনের কথাই জানালেন?






“আগে মা-বাবারা গল্প পড়ে শোনাতেন, এখন বাচ্চারা বিরক্ত করলেই মোবাইল ধরিয়ে দেয়!” “বাচ্চারা চুপ করলেও জ্ঞানের বিকাশ কি হয়?”— বর্তমান প্রজন্মের অভিভাবকদের সংবেদনশীলতা নিয়ে খোঁচা শ্রীকান্ত আচার্যের! প্রজন্মের বদলে যাওয়া শিক্ষার ধরণেও কি খেদ পড়ছে?