স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবহিক ‘চিরসখা’তে (Chiroshokha) স্বতন্ত্র ও কমলিনীর দীর্ঘদিনের চিরসখা সম্পর্কটি সবাই স্বীকার করতে শুরু করেছে। কিন্তু হঠাৎ একটি নতুন দ্বন্দ্ব তাদের জীবনে প্রবেশ করে। স্বতন্ত্রের গ্রামের বাড়িতে পুরোহিতের মেয়ে পার্বতীর বিয়ের অনুষ্ঠানে পুলিশ হঠাৎ এসে পাত্রকে গ্রেপ্তার করে। এই পরিস্থিতিতে স্বতন্ত্রকে তাঁকে বিয়ে করতে বলা হয়। যদিও স্বতন্ত্র প্রথমে অসম্ভব মনে করলেও, কমলিনী তাকে সমর্থন দেয়।
বিয়ের কথাটা ওঠার পর পার্বতী আলাদা হয়ে স্বতন্ত্রের সঙ্গে কথা বলে। স্বতন্ত্র পরিষ্কার জানায় যে, সে পার্বতীকে বিয়ে করতে পারবে না। তবে পার্বতী সকলের সামনে বাবাকে ছোট হতে দিতে চায় না। তাই নিজেই নিজে সিঁদুর পরে নেয় এবং বাইরে গিয়ে বলে যে স্বতন্ত্র তাকে বিয়ে করেছে। এরপর সে জোর করে স্বতন্ত্রের বাড়িতে আসে এবং স্ত্রীর অধিকার দাবি করতে থাকে। এইভাবে সে কমলিনীর মনেও সন্দেহ তৈরি করতে শুরু করে।
এক পর্যায়ে স্বতন্ত্র সবার সামনে সত্যিটা প্রকাশ করে, কিন্তু কেউ বিশ্বাস করতে চায় না। সবাই পার্বতীর কথাকে সত্যি মনে করে এবং তার বিয়ে মেনে নেয়। এদিকে, ধারাবাহিকের বর্তমান গল্পে কমলিনীর শরীরে টিউমার ধরা পড়ে এবং তাকে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। স্বতন্ত্র বুদ্ধি করে কমলিনীকে লিখে দেওয়া সম্পত্তি ফিরিয়ে নেওয়ার অছিলায় রেজিস্ট্রি ম্যারেজের কাগজে তার স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এর ফলে স্বতন্ত্র ও কমলিনী আইনত বিবাহিত হয়ে যায়।
তবে স্বতন্ত্র বাইরে সবাইকে নাটক করে বলে যে পার্বতী তার স্ত্রী। এতে পরিবারের সবাই রেগে যায় এবং মনে করে যে সে কমলিনীকে প্রতারণা করেছে। সে পার্বতীর জন্য গয়না ও শাড়ি কিনে বৌভাতের পরিকল্পনা পর্যন্ত করে। এই জটিল পরিস্থিতিতে কমলিনী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে সত্যিটা সবাইকে জানায়। শেষে, পার্বতী একটি চিঠি লিখে বিদায় নেয়। ধারাবাহিকের নতুন প্রোমোতে দেখা গেল, স্বতন্ত্র ও কমলিনীর সম্পর্কের অবশেষে স্বীকৃতি মিলল।
আরও পড়ুনঃ একটা সময় সাঁইবাবার চরিত্রে অভিনয় করে মন মাতিয়েছেন দর্শকদের! আচ্ছা তীব্র অর্থকষ্টে মৃ’ত্যু মুখে সেই অভিনেতা! হাসপাতালের খরচ জোগাতে হিমশিম সুধীর দলবী’র পরিবার!
কমলিনীকে স্বতন্ত্র নিজের হাতে সিঁদুর পরিয়ে তার জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করল, এবং তাদের চিরসখা সম্পর্ক পেল নতুন মানে। ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক এই ঘটনায় অত্যন্ত আপ্লুত হয়ে সমাজ মাধ্যমে তাদের খুশি প্রকাশ করলেও, একটা বড় অংশ কিন্তু সমালোচনা করতে ছাড়ল না! কেউ বলছেন, “লীনা গাঙ্গুলীর ধারাবাহিক যখন, তখন বিয়েটা তো হবেই! তবে আশ্চর্য হলাম, এত তাড়াতাড়ি হল কী করে?” অন্যজনের কথা, “সেই তো প্রেমে মন মজালি, তবে কেন লোক হাসালি?”






