অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের জীবনে এখন খুশির বড় কারণ—মেয়ে কৃষভি ২ নভেম্বর এক বছরে পা দেবে। কিন্তু সেই আনন্দের ঠিক আগে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হল তাঁকে। শুটিং চলাকালীন আচমকাই মাথা ঘুরতে শুরু করে, চোখের সামনে অন্ধকার নেমে আসে। তখনই বুঝে যান, আর উপেক্ষা করলে বিপদ হতে পারে। একাই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান তিনি।
দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো—পরপর উৎসব আর টানা কাজের ফলে নিজের প্রতি নজর দেওয়ার সময়ই পাননি। বাড়িতে পুজোর আয়োজন, অতিথি আপ্যায়ন, তার সঙ্গে শুটিং—সব মিলিয়ে যথেষ্ট ক্লান্ত ছিলেন শ্রীময়ী। পুজোর সময় নৈহাটিতে বড়মার কাছে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা, তখন থেকেই শরীরটা ঠিক সায় দিচ্ছিল না। কিন্তু সেই অসুস্থতাই তিনি এড়িয়ে গিয়েছিলেন।
একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে গিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। রক্তচাপ হঠাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে নেমে যায়। সে সময় কাঞ্চন ছিলেন ‘প্রজাপতি ২’-এর সেটে। খবর পেয়ে তিনি ফোনেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরই বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেত্রীকে। তিন দিন ধরে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখতে হয় তাঁকে।
পরীক্ষার রিপোর্টে ধরা পড়ে গুরুতর পেটের সমস্যা তৈরি হয়েছে তাঁর শরীরে। চিকিৎসকদের মতে, একটু দেরি হলেই পরিস্থিতি আরও মারাত্মক মোড় নিতে পারত। আপাতত শ্রীময়ী অনেকটাই সুস্থ, তবে কড়া বিশ্রাম এবং সঠিক ডায়েটের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ “রাস্তায় আমাকে জুতো ছুঁড়ে মেরেছিল, গালাগালিও শুনতে হয়েছিল…”! – প্রকাশ্য রাস্তায় হেন’স্থার শিকার হতে হয় অভিনেত্রী স্বাগতা মুখার্জীকে! কেন এমন অপমানিত হতে হল অভিনেত্রীকে?
এই তিন দিন মায়ের অনুপস্থিতিতে কৃষভি ছিল নানীর কাছে। কিন্তু ছোট্ট মেয়েটির মন খারাপ ছিল ভীষণ। শ্রীময়ীর কণ্ঠেও সেই অভাবের আক্ষেপ—“মেয়েকে ছেড়ে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। ওর জন্মদিনের আগে বাড়ি ফিরতে পেরে যেন নতুন জীবন পেলাম।” কৃষভির প্রথম বর্ষপূর্তি কীভাবে উদ্যাপন করবেন—এখনই সে রহস্য ফাঁস করতে চান না দু’জনে। তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন—মেয়ের হাসিই হবে সব আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু।






