“মেয়েগুলো ভাবত শুধু ওরাই পেয়েছে প্রশংসা, তখন ওদের ভালো লেগেছিল!” “এখন একাধিক মেয়ে প্রশংসা পেয়েছে জেনে ওদের হিংসা হচ্ছে তাই অভিযোগ আনছে আমার নামে!”— এবার ঋজুর স্পষ্ট বক্তব্য! ‘বাই দ্যা ওয়ে ইউ লুক গুড ইন শাড়ি’ বিতর্কে আসলেই কি হিংসার গল্প? কেন উঠল এই ট্রোল ঝড়?

সাম্প্রতিক সময়ে সমাজ মাধ্যমে তুমুল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে টেলি অভিনেতা ঋজু বিশ্বাস (Riju Biswas)। ‘বাই দ্যা ওয়ে ইউ লুক গুড ইন শাড়ি’ (Btw you look good in saree)— এই একটিমাত্র বাক্য ঘিরেই যেন আগুন লেগেছে নেটদুনিয়ায়। বহু মহিলার মেসেঞ্জারে এই মেসেজ পৌঁছেছে বলে অভিযোগ এবং সেই স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়তেই নেটপাড়ায় ট্রোল, মিম, সমালোচনায় ঋজু কার্যত নাজেহাল। জনপ্রিয় ধারাবাহিক বউ কথা কও-এর ‘নিখিল’ চরিত্রে অভিনয় করা এই অভিনেতাকে এখন অনেকে ‘চরি’ত্রহীন’ বলেও কটাক্ষ করছেন।

তবে এই ঘটনার নেপথ্যে আসল সত্যি কী, তা নিয়ে এখনও বিভাজিত নেটদুনিয়া। একদল বলছেন, একাধিক মহিলাকে একই ধরনের মেসেজ পাঠানো মানসিকতার প্রশ্ন তোলে, অন্যদিকে অনেকে মনে করছেন, বিষয়টি অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। এমনও অভিযোগ উঠেছে— কিছু মানুষ নাকি এই সুযোগে পুরনো কথোপকথনের অংশ তুলে ধরে নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে চাইছেন। কেউ আবার মজার ছলে বলছেন, এখন “শাড়ি পরা” মানেই নাকি ঋজুর মেসেজ পাওয়া!

একসময় বন্ধুত্বের উদ্দেশ্যে পাঠানো কথাগুলিই এখন তার বিরুদ্ধে অস্ত্র হয়ে উঠেছে বলে দাবি অভিনেতার। বিতর্ক আরও বাড়ে যখন পুরনো স্ক্রিনশট, চ্যাটের অংশ, এমনকি সম্পাদিত ছবি পর্যন্ত শেয়ার করা শুরু হয়। অনেকেই ঋজুর ছবি এডিট করে শাড়ি পরিয়ে মিম বানাতে থাকেন। এই অবস্থায় অভিনেতা আর চুপ করে থাকেননি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জানান— “আমি সবটাই দেখেছি যা সব হচ্ছে আমায় নিয়ে সমাজ মাধ্যমে।

আমি দেখেছি যে অনেকেই আমায় শাড়ি পরিয়ে ছবি এডিট করে মিম তৈরি করছেন, আবার কয়েক বছর আগের কথোপকথন তুলে ধরে বলা হচ্ছে বিরক্ত করেছি। এখন যদিও এটা একটা সুস্থ জায়গায় আছে, শুরুতে তো বলা হচ্ছিল আমি কুমন্তব্য করেছি অশালীন প্রস্তাব দিয়েছি! আচ্ছা যদি তাই হবে, তাহলে আমায় তাঁরা ব্লক করে দিল না কেন? কেন তাঁরা তখন অভিযোগ করল না? এখন শুধুমাত্র আমার পাঠানো ম্যাসেজের অংশ দেখানো হচ্ছে, বলা হচ্ছে ফোন করতে বলতাম।

আমি সত্যিই বেঁচে গেছি যে ওরা ফোন করেনি! নাহলে আরও হয়তো খারাপ অভিযোগ আনা হতো।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমার যেটা মনে হয়, একজন যেহেতু একটি বেশি নজরে এসেছে আমাকে নিয়ে বলে, তাই সবাই যে যার প্রোফাইলের রিচ বাড়াতে আমায় ব্যাবহার করছে। শাড়িতে ভালো লাগছে, এর থেকে ভালো প্রশংসা হয়ত পৃথিবীতে হয় না! আমি একাধিক জনকে পাঠিয়েছি মানছি, কিন্তু তখন তাদের ভালো লেগেছিল। এখন যখন জানতে পেরেছে শুধু তারা নয়, আরও অনেক জন একই প্রশংসা পেয়েছে।

আরও পড়ুনঃ লুকোছাপা প্রেম! ভক্তদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এই শীতেই অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন প্রতীক সোনামনি?

তখন সেটা মেনে নিতে না পেরে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।” ঋজুর এই বক্তব্যের পরও বিতর্ক থামেনি। কেউ বলছেন, তাঁর এমন ব্যাখ্যা আসলে দোষ ঢাকার চেষ্টা। আবার কেউ মনে করছেন, বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত বিচার চলছে, যেখানে একটা সাধারণ প্রশংসা মেসেজকেও বড় করে দেখা হচ্ছে। সমাজ মাধ্যমে এখনও চলছে তর্ক-বিতর্ক, কেউ ঋজুর পাশে, কেউ তাঁর বিপক্ষে। তবে এই ঘটনাই প্রমাণ করে, ডিজিটাল দুনিয়ায় সামান্য কথাবার্তাও কখন কীভাবে বড় আকার ধারণ করতে পারে, তা সত্যিই অনুমান করা মুশকিল।