“নিজের সিদ্ধান্ত নিজেরই নেওয়া উচিত, সমাজের বাধা মানলে জীবন নষ্ট!” — বি’স্ফোরক মন্তব্য ‘চিরসখা’-র কমলিনীর, দীর্ঘ দাম্পত্যে ভাঙনের কারণ টেনে সমাজের মূল্যবোধকেই প্রশ্ন করলেন অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষ দাস!

সমাজ আজও অনেক ক্ষেত্রে তার পুরনো নিয়মে আটকে। মেয়েদের সিদ্ধান্ত, মধ্যবয়সে নতুন সম্পর্ক, কিংবা নিজের মতো করে জীবন বেছে নেওয়া—সবকিছুতেই যেন চোখ রাঙায় সমাজ। অথচ সময় বদলেছে, মানুষ বদলেছে, কিন্তু মানসিকতার অনেকটাই থেকে গেছে আগের জায়গায়। আর সেই কথা উঠে আসতেই মাথায় আসে জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’র কথা।

এই ধারাবাহিকের মূল কেন্দ্রবিন্দু কমলিনী—এক মধ্যবয়সী নারী, যিনি নিজের সংসার সামলে আবারও খুঁজে পেয়েছেন নতুন জীবনের মানে। চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষ, যিনি দর্শকের হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন নিজের অভিনয়ের জোরে। তাঁর চোখেমুখের অভিব্যক্তি, সংলাপ বলার ভঙ্গি—সব কিছুই যেন জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতিফলন।

সম্প্রতি সমাজ নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষ। তাঁর কথায়, “নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেওয়া উচিত। সমাজের বাধা মেনে চললে নিজের জীবনের ক্ষতি হয়।” অভিনেত্রীর মতে, এখনকার দিনে ২০–৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনের পরেও অনেক সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে, কারণ মানুষ নিজের সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করছে। তাই তিনি পরামর্শ দিয়েছেন—নিজের সুখের দায়িত্ব নিজেরই নিতে হবে।

অভিনেত্রীর আরও জানান, জীবনে বন্ধুত্ব থাকা খুব জরুরি। কারণ মানুষ একা থাকতে পারে না। বন্ধুত্ব আমাদের মানসিকভাবে শক্তি দেয়, জীবনের কঠিন সময়গুলো সহজ করে তোলে।

আরও পড়ুনঃ “বন্ধুত্বই সম্পর্কের মেরুদণ্ড, জীবনের সব পর্যায়ে সবার একটা বন্ধুর প্রয়োজন…ঋত্বিক আমার সেই বন্ধু!” “আমি ছেলেকে বকি না, বরং বন্ধুর মতো ঠিক-ভুলের বিচার করতে শেখাই!”— বাস্তবেও কমলিনীর মতোই বন্ধুত্বে বিশ্বাসী অপরাজিতা ঘোষ দাস!

‘চিরসখা’-র কমলিনীর মতোই বাস্তব জীবনের এই অভিনেত্রী সমাজকে মনে করিয়ে দিয়েছেন—বয়স কিংবা সমাজের চোখ নয়, নিজের সিদ্ধান্তই শেষ কথা। আর সেই ভাবনাই আজ ছুঁয়ে যাচ্ছে দর্শকের মনকে।