“রবীন্দ্রনাথের জন্যই আমার বাড়িঘর সব হয়েছে, গান ভালোই লাগত না, মায়ের জন্যই আজ গায়িকা হয়েছে”—অকপট সংগীতশিল্পী শ্রাবণী সেন!

বিনোদন জগতে এখন গান মানেই শুধুই সুর বা তাল নয়, এটি হয়ে উঠেছে অনুভূতির প্রকাশের এক শক্তিশালী মাধ্যম। আজকের প্রজন্ম গানকে শুধু বিনোদনের জন্য নয়, জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেও দেখছে। নতুন নতুন শিল্পীরা নিজেদের প্রতিভা দিয়ে জায়গা করে নিচ্ছেন, আর সেই ধারায় অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছেন অতীতের কিংবদন্তিরাও।

রবীন্দ্রসঙ্গীতের জগতে শ্রাবণী সেন এমন এক নাম, যিনি নিজের গানে মায়া ও গভীরতা দুটোই মিশিয়ে দিতে পারেন। তিনি কিংবদন্তি শিল্পী সুমিত্রা সেনের কন্যা এবং জনপ্রিয় গায়িকা ইন্দ্রাণী সেনের বোন। তাঁর কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান যেন এক নতুন প্রাণ পায়, আর সেই কারণেই তিনি বাংলার শ্রোতাদের হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান দখল করেছেন।

প্রায় পঁয়ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে শ্রাবণী সেন সঙ্গীত জগতে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীত নয়, বাংলা আধুনিক গানেও সমানভাবে পারদর্শী। ‘অমল ধবল পালে’ গানের জন্য ২০০১ সালে তিনি BFJA পুরস্কারে ‘সেরা মহিলা প্লেব্যাক গায়িকা’র সম্মান পান। এছাড়া ‘দেখা’, ‘রাজকাহিনী’, ‘আবর ব্যোমকেশ’-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে তাঁর কণ্ঠ শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রাবণী সেন জানিয়েছেন, ছোটবেলায় তাঁর গান শেখার কোনো আগ্রহই ছিল না। মায়ের অনুপ্রেরণায়ই তিনি এই পথে পা বাড়ান। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, “গান আমার জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে শুধু মায়ের জন্য।”

আরও পড়ুনঃ নৈহাটিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে নারী পাচা’র চক্র! রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে বিধায়ক রাজ! অভিযুক্তরা ধরা পড়বে কবে?

গায়িকার কথায়, রবীন্দ্রনাথের গানই তাঁকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ না থাকলে হয়তো আমার জীবন, আমার বাড়িঘর, এমনকি আমার অস্তিত্বই আজ ভিন্ন হতো।” তাঁর এই কথাগুলো প্রমাণ করে, সঙ্গীত শুধু তাঁর পেশা নয়—এটাই তাঁর জীবনধারা।