স্টার জলসার ‘চিরসখা’ (Chiroshokha) ধারাবাহিকে এই মুহূর্তে কমলিনীর জীবনে নতুন করে এসেছে ভালোবাসার রং। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের পর আজ স্বতন্ত্র এবং সে সামাজিক পরিচয়ে স্বামী-স্ত্রী। সবটা এমনভাবে হোক যদিও চায়নি কমলিনী, কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠছিল যে স্বতন্ত্র বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। তবে, সবটা জানাজানি হতেই পরিবারে জন্ম নিয়েছে নানান অসন্তোষের। প্রতিদিন নতুন রকমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তাদের বিয়েকে ঘিরে।
একদিকে যেমন কমলিনী নিজেই জিনিষটা মানতে অনেকটা সময় লাগিয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে আবার কমলিনীর বড় ছেলে বুবলাই বিষয়টা একটা এমন তিক্ততার জায়গায় নিয়ে যায় যে, নিজেই জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। যদিও পরে জানা যায়, সবটাই মিথ্যে নাটক ছিল শুধুমাত্র মায়ের ফুলশয্যা বন্ধ করতে। বুবলাইয়ের সঙ্গে বর্ষাও বিয়েটা খারাপ চোখেই দেখেছে। এদিকে আবার স্বতন্ত্রর বৌদিও আপত্তি জানায় কমলিনীকে মানতে।
তবে সবচেয়ে বেশি যিনি এই বিয়ে নিয়ে অখুশি, তিনি নিঃসন্দেহে লক্ষ্মীমনি দেবী অর্থাৎ কমলিনীর প্রথম স্বামী চন্দ্রের মা। বিয়ের খবর জানাজানি হতেই তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখে যখন কমলিনী জানতে চায় যে, তিনি কি কমলিনীর এই নতুন জীবন নিয়ে খুশি নন? স্পষ্ট জানায় লক্ষ্মীমনি যে, এক সময় নিজের ছেলের বউকে অন্যের বউ হিসেবে তিনি মানতে পারছেন না! এই নিয়ে দর্শকদের মধ্যে নানান রকম আলোচনা শুরু হয়েছিল সমাজ মাধ্যমে।
কেউ বলেছিলেন, ‘ছেলে চন্দ্র এতবছর নিখোঁজ থাকল। এক প্রকার ইচ্ছে করেই মা, স্ত্রী আর সন্তানদের ফেলে পালিয়ে গিয়ে নতুন সংসার পাতল। তাও নাকি ছেলের শোকে কাতর হয়ে যাচ্ছেন মা!’ আবার অন্য কেউ বলেছিলেন, ‘সহ্য হবে কেন! অপরাধী ছেলের বউয়ের পরিচয় সারাজীবন একাকিত্বে কাটাত আপনার সেবা করে, তবেই না ভালো হতো!’ কিন্তু এবার সবাই রাগ নয়, সহানুভূতির চোখে দেখছেন লক্ষ্মীমনি দেবীকে!
আরও পড়ুনঃ পাঁচতারা হোটেলে ‘দ্বিতীয় ফুলশয্যা’য় মাতলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী? চু’মুর ছবি দেখে উত্তাল নেটপাড়া! ‘বয়সের মাথা খেয়েছেন তো’ কাঞ্চনকে কটা’ক্ষ নেটপাড়ার
সমাজ মাধ্যমে এখন অনেকেই বলছেন, ‘কমলিনীর ওপর রেগে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে ওনার। কারণ এতদিন তারা দু’জনে মিলে বিধবার জীবন যাপন করেছেন। নিরামিষ খাওয়া থেকে শুরু করে, সাদা শাড়ি পরা, কীর্তন করা বা একসাথে পুজো-আচ্ছা করা। এবার হঠাৎ করেই কমলীনি স্বতন্ত্রকে বিয়ে করেছে, এখন নিয়মগুলো ওনাকে একাই মানতে হবে তো!’ মজা করে কেউ কেউ বলছেন, ‘আমরা চাই ওনারও জীবনে আনন্দ আসুক। কমলিনীর বিদেশি কাকুর সঙ্গে ওনার বিয়ে হোক!’ আপনাদের কী মতামত? অবশ্যই জানাবেন!






