স্টার জলসার ‘চিরসখা’-র (Chiroshokha) সাম্প্রতিক পর্ব ঘিরে দর্শকরা এখনএমন ক্ষোভ দেখাচ্ছেন, যা সাধারণ সমালোচনার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কারণটা একটাই, বর্ষার অত্যাধিক লোভ আর তাঁর থেকেও নিম্নমানের মানসিকতা। কিন্তু কী এমন করেছে বর্ষা এবার? গতকালের পর্বে দেখা গেছে, বাড়ির সবাই নতুনের ইনস্টিটিউটে একটি অনুষ্ঠানের জন্য গেলেও নতুন কিছু দরকারি কাজে বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরতেই দরজা খোলা দেখে তার সন্দেহ হয়।
ঘরে ঢুকতেই সে দেখে বর্ষা, তার স্ত্রীর গয়না আর শাড়ি নিয়ে কিছু একটা করছে। রাগে ফেটে পড়ে বর্ষাকে নতুন সাবধান করতেই, সে নিজের ব্লাউজ ছিঁড়ে দিয়ে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করতে থাকে আর বাড়ির বয়স্করা ছুটে এল বর্ষা জানায়, তার অসহায়তার সুযোগ নিয়েছে নতুন! সেই দৃশ্যটি সম্প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই সমাজ মাধ্যমে চলছে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক। বহু দর্শকই মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা কেবল পর্দায় নয়, সমাজের একটা কঠিন বাস্তবও তুলে ধরছে!
অনেকেই লিখেছেন, বর্ষার মতো চরিত্র শুধু সিরিয়ালে নয়, এখন বাস্তবেও আছে। অভিযোগ উঠেছে যে, সামান্য সুযোগ পেলেই পুরুষকে বিপদে ফেলার জন্য কিছু মানুষ মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ফেলে, এটাই নাকি আজকের পর্বে তীক্ষ্ণভাবে ধরা পড়েছে! দর্শকদের একাংশ বলছে, ‘নতুন কাকুকে অসহায় দেখানোর দৃশ্যটা শুধু নাটকীয় নয় বরং পুরুষদের প্রতি সামাজিক অবিশ্বাস আর চাপের একটা বড় প্রতিচ্ছবি।’ বিশেষত যখন দেখা গেল বর্ষা নিজেই চিৎকার করে নিজের কাপড় ছিঁড়ে ‘বাঁচাও’ বলে নাটক সাজাচ্ছে।
তখনই যেন দর্শকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তবে, সবচেয়ে বড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে ঠাম্মি লক্ষ্মীমণি দেবীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই তাঁর নতুনের দিকে আঙুল তোলা নাকি সমাজের এক বড় সমস্যাকে তুলে ধরেছে! ‘মেয়েদের কথাই প্রথমে বিশ্বাস করা হয়, পুরুষের কথা পরে শোনা হয়।’ দর্শকদের মতে, বড় মাসির নির্লিপ্ত উত্তর আর লক্ষ্মীমণির রঙ পাল্টানো মনোভাব, দুটোই নতুনকে আরও অসহায় করে দেখিয়েছে। এবার স্বাভাবিক ভাবেই জীবনে আবার ঝড় উঠবে তার।
কেউ বলেছেন, ‘বিশ্বাস করুক বা না-ই করুক, কিন্তু বিচারবুদ্ধিটা কোথায় গেল?’ এদিকে বর্ষার সাজানো পরিস্থিতিটাই যেন আজ পর্যন্ত তার সমস্ত চক্রান্তের সীমা ছাড়িয়ে গেছে, ঠিক এতটাই আপত্তিকর! দর্শকদের মতে, গয়নার প্রতি লোভ, ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় আর তারপরের মুহূর্তেই চরিত্র বদলে ফাঁসানোর চেষ্টা শুধু নারী-পুরুষ প্রসঙ্গ নয়, বরং দুর্বল মানসিকতার প্রতিচ্ছবি। অনেকে বলছেন, সিরিয়ালটি দর্শকদের এমন এক চরিত্র দেখাল, যা মানবিকতার সীমা ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নয়ডার রাস্তায় মর্মান্তিক দুর্ঘ’টনায় প্র’য়াত জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেত্রী! শেষ হয়ে গেল এক উজ্জ্বল প্রতিভার জীবন
একদমই নোংরা মানসিকতার উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! সব মিলিয়ে, ‘চিরসখা’র সাম্প্রতিক পর্বটা শুধু একটা দৃশ্য বা গল্পের নতুন মোড় ছিল না, বরং দর্শকদের মনে ঢেউ তুলেছে সামাজিক আচরণ থেকে বিচারবুদ্ধি এবং পুরুষের নিরাপত্তা আর নারীর দায়িত্ববোধ– এইসব বিষয় নিয়ে। কেউ সমর্থন করছেন সাহসী গল্প দেখানোর জন্য, আবার অনেকে রীতিমতো তোপ দেগেছেন নির্মাতাদের দিকে। তবে একটা বিষয় নিয়ে দর্শকদের মত এক, যে এই পর্বটা ঝড় তুলেছে এবং সেই ঝড় এখনই থামার মতো নয়।






“১০ মাস গর্ভে ধারণ করছি…” গর্ভবতী শ্বেতা? দাম্পত্যের দশ মাসে নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত টেলিপড়ার সেরা জুটি শ্বেতা-রুবেলের! তবে কি খুব তাড়াতাড়ি সংসারে আসছে নতুন অতিথি?